News Link
বেগম জিয়ার 'মাইল্ড ষ্ট্রোক' হয়েছিল বলে ভাবছেন বেগমজিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা; বৈরি পরিবেশে ৭৩ বছর বয়সে এই ধরণের কিছু হওয়া খুবই সম্ভব। মাইল্ড স্ট্রোকের পর, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে রেষ্ট খুবই দরকার; সাথে সাথে টেনশন কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়ার দরকার; না হয়, পুরোপুরি ষ্ট্রোক হবে কিছু সময়ের মাঝে। শারীরিক সমস্যা ও বয়সের দিক বিবেচনা করে, বেগম জিয়াকে উনার ঘরে ফিরে আসতে দেয়া উচিত; রিজভী মিজভী সাহেবদের কথা কানে না নিয়ে, বেগম জিয়ার ইচ্ছানুসারে উনার চিকিৎসা হওয়ার দরকার।
২০১৫ সাল থেকে যাঁরা ব্লগে আছেন, তাঁরা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, আমার পোষ্টে (ক্যাচাল) ও মন্তব্য আমি বলতে চেয়েছিলাম যে, বেগম জিয়ার জেল হবে, কিংবা হওয়া উচিত! ২০১৫ সালের দিকে ব্লগে বেগম জিয়ার অনেক সমর্থক ছিলেন; তাঁরা আমাকে গণক ইত্যাদিও বলেছেন। আসলে, আমি গণক নই, আমি বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনাকে আমার সীমিত বুঝার ক্ষমতার মাঝে পর্যবেক্ষণ করছিলাম। আমার কথায় কেহ উনাকে জেল দেয়নি, আমি ধরণা করছিলাম যে, উনার জেল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বেগম জিয়া কিভাবে দেশ চালায়েছেন, সেটা মিলিটারী ও ব্যুরোক্রেটরা জানেন; সাধরণ মানুষের জানার কথা নয়; কারণ, তিনি জনগণকে কিছুই জানাতে চাননি কখনো। শিক্ষিতদের জানার কথা ছিলো, কিন্তু শিক্ষিতরা উনাকে বুঝতে পারেননি, কিংবা শিক্ষিতরা নিজদের বিদ্যাবুদ্ধিকে অসন্মান করে, বেগম জিয়াাকে রাজনীতিবিদ হিসেবে সমর্থন করেছেন, উনার কার্যক্রমের পক্ষে কথা বলেছেন; এতে সাধরণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছেন।
বেগম জিয়ার দেশ চালানোর প্যাটার্ণ বুঝা সাধারণ মানুষের পক্ষে কষ্টকর হলেও, ড: এমাজুদ্দিন, ড: মঈন খান, ড: খোন্দকার মোশারফের মতো লোকদের কাছে পরিস্কার ছিলো; এঁরা এই ধরণের প্রশাসনের পক্ষে থেকে দেশের সাধরণ মানুষের ক্ষতি করেছেন; সাথে সাথে এরা বেগম জিয়ার পরিণতি অনুমান করতে অক্ষম হয়েছেন।
বেগম জিয়া যে, ১৫ই আগষ্টে কেক কেটে উনার জন্মদিন পালন করছেন, এবং শেখ হাসিনা যে, তার প্রতিবাদ করছে, সেটা কি ড: এমাজুদ্দিন, ড: মঈন খান, ড: খোন্দকার মোশারফেরা দেখেননি? লাখ লাখ তৃণমুল নেতারা বলেছেন, "কারো বাবার মৃত্যু দিবসের জন্য বাংলাদেশ থেমে থাকবে না" তৃণ মানে ঘাস; আসলে বাংলাদেশের তৃণমুলের নেতা মানেই ঘাস-খাওয়া নেতা: এদের মাথায় ঘাস, পেটেও ঘাস; কিন্তু ড: এমাজুদ্দিন, ড: মঈন খান, ড: খোন্দকার মোশারফেরা তো তৃণমুল নেতা ছিলো না।
যা হওয়ার তা হয়েছে; এখন শেখ হাসিনার উচিত, বেগম জিয়ার বয়স ও শারীরিক অবস্হার কারণে, অতীতের সবকিছু ভুলে উনাকে উনার ইচ্ছানুসারে নিজের বাড়ীতে থাকতে দেয়া; এবং রিজভী সাহেব, ড: এমাজুদ্দিন, ড: মঈন খান, ড: খোন্দকার মোশারফের মতো লোকদের উনার আশেপাশে আসতে না দেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৩৮