প্রথম অপরাধ: তিনি তখন মন্নু সিরামিকের বিলিয়ন ডলার মুল্যের পরিচালক; ২০০৭ সালে, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অফিসে বাংলাদেশ সরকারের অনেক সেক্রেটারীদের নিয়ে রাতে মিটিং করেছেন; গুরুত্বটা বুঝেছেন, কাদের নিয়ে মিটিং করেছেন? বাংলাদেশ সরকারের সেক্রেটারীদের নিয়ে। কেন সেই মিটিং? ২০০৭ সালে বেগম জিয়াকে ও বিএনপি-জামাত'কে জয়ী করানোর জন্য।
কোনকালে, কোন প্রাইভেট সিটিজেন দেশের সেক্রেটারীদের নিয়ে, কোন প্রাইভেট অফিসে মিটিং করার ইতিহাস নেই; এটা জাতির বিপক্ষে ভয়ংকর অপরাধ।
দ্বিতীয় অপরাধ: গণজাগরণ মন্চের সময় তিনি বেগম জিয়া ও মোল্লা শফির সাথে গলা মিলায়ে বাংগলাদেশের ব্লগারদের নাস্তিক ডাকেন মিডিয়ায়।
প্রথম অপরাধের জন্য উনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তিনি জেলে ছিলেন; মন্নু সিরামিকের বদৌলতে তিনি জামিন পেয়েছিলেন; সেটার বিচার চলছে।
গতকাল, তিনি আদালতে গিয়েছেন, সেখানে তাকে ঘেরাও করেছে ছাত্রলীগ; পুলিশ তাকে রক্ষা করার দায়িত্বে ছিলো; তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেনি পুরোপুরিভাবে; ছাত্রলীগ তাকে পিটায়েছে, তার গাড়ী ভেংগেছে; এটা ছাত্রলীগের বিশাল অপরাধ, এটার জন্য শেখ হাসিনাকে মুল্য দিতে হবে আজ, না হয় কাল। সবচেয়ে বড় মুল্য দেবে সাধারণ বাংগালীরা; এই ছাত্রলীগের কারণে, শেখ সাহেবকে সহজে হত্যা করতে পেরেছে মিলিটারী; শেখ সাহেবকে হত্যা করার পর, মানুষ মিলিটারীর বিপক্ষে যায়নি; কারণ, তখন শেখ সাহেবের জনপ্রিয়তা খুবই কম ছিলো; উনার জনপ্রিয়তা কমানোতে ছাত্রলীগের বিশাল ভুমিকা ছিলো । শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা কমাচ্ছে ছাত্রলীগ; বাবা বুঝেনি ছাত্রলীগের বিধ্বংসী ভুমিকা; মেয়ে বুঝতে পারছেন না ছাত্রলীগের বিধ্বংসী ভুমিকা।
শেখ হাসিনার আজীক্বন ক্ষমতায় থাকার মডেলে এক বড় ভুমিকায় আছে ছাত্রলীগ; তিনি জানেন না যে, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার মডলেও বড় ভুমিকায় আছে ছাত্রলীগ। এখন উনাকে ভাবতে হবে, ছাত্রলীগের বড় ভুমিকা কোথায়, আওয়ামী লীগ ও সাধারণ বাংগালীদের বিধ্বংসে, নাকি উনাকে আজীবন ক্ষমতায় রাখায়?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫