somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাহমুদুর রহমান সমগ্র জাতীর বিরুদ্ধে ভয়ংকর ২টি অপরাধ করেছে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রথম অপরাধ: তিনি তখন মন্নু সিরামিকের বিলিয়ন ডলার মুল্যের পরিচালক; ২০০৭ সালে, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অফিসে বাংলাদেশ সরকারের অনেক সেক্রেটারীদের নিয়ে রাতে মিটিং করেছেন; গুরুত্বটা বুঝেছেন, কাদের নিয়ে মিটিং করেছেন? বাংলাদেশ সরকারের সেক্রেটারীদের নিয়ে। কেন সেই মিটিং? ২০০৭ সালে বেগম জিয়াকে ও বিএনপি-জামাত'কে জয়ী করানোর জন্য।

কোনকালে, কোন প্রাইভেট সিটিজেন দেশের সেক্রেটারীদের নিয়ে, কোন প্রাইভেট অফিসে মিটিং করার ইতিহাস নেই; এটা জাতির বিপক্ষে ভয়ংকর অপরাধ।

দ্বিতীয় অপরাধ: গণজাগরণ মন্চের সময় তিনি বেগম জিয়া ও মোল্লা শফির সাথে গলা মিলায়ে বাংগলাদেশের ব্লগারদের নাস্তিক ডাকেন মিডিয়ায়।

প্রথম অপরাধের জন্য উনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তিনি জেলে ছিলেন; মন্নু সিরামিকের বদৌলতে তিনি জামিন পেয়েছিলেন; সেটার বিচার চলছে।

গতকাল, তিনি আদালতে গিয়েছেন, সেখানে তাকে ঘেরাও করেছে ছাত্রলীগ; পুলিশ তাকে রক্ষা করার দায়িত্বে ছিলো; তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেনি পুরোপুরিভাবে; ছাত্রলীগ তাকে পিটায়েছে, তার গাড়ী ভেংগেছে; এটা ছাত্রলীগের বিশাল অপরাধ, এটার জন্য শেখ হাসিনাকে মুল্য দিতে হবে আজ, না হয় কাল। সবচেয়ে বড় মুল্য দেবে সাধারণ বাংগালীরা; এই ছাত্রলীগের কারণে, শেখ সাহেবকে সহজে হত্যা করতে পেরেছে মিলিটারী; শেখ সাহেবকে হত্যা করার পর, মানুষ মিলিটারীর বিপক্ষে যায়নি; কারণ, তখন শেখ সাহেবের জনপ্রিয়তা খুবই কম ছিলো; উনার জনপ্রিয়তা কমানোতে ছাত্রলীগের বিশাল ভুমিকা ছিলো । শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা কমাচ্ছে ছাত্রলীগ; বাবা বুঝেনি ছাত্রলীগের বিধ্বংসী ভুমিকা; মেয়ে বুঝতে পারছেন না ছাত্রলীগের বিধ্বংসী ভুমিকা।

শেখ হাসিনার আজীক্বন ক্ষমতায় থাকার মডেলে এক বড় ভুমিকায় আছে ছাত্রলীগ; তিনি জানেন না যে, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার মডলেও বড় ভুমিকায় আছে ছাত্রলীগ। এখন উনাকে ভাবতে হবে, ছাত্রলীগের বড় ভুমিকা কোথায়, আওয়ামী লীগ ও সাধারণ বাংগালীদের বিধ্বংসে, নাকি উনাকে আজীবন ক্ষমতায় রাখায়?




সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫
৪৮টি মন্তব্য ৪৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×