পার্লামেন্টে মোট সীট সংখ্যা ২৭২, ভোট হচ্ছে ২৭০ টি'তে; ২ সীটের এলাকায় জংগী আক্রমনে প্রার্থী ও অনেক মানুষের মৃত্যু হওয়ায় ভোট হয়নি। সরকার গঠন করতে ১৩৭ জন এমপি'র দরকার। পাকিস্তানের লোক সংখ্যা ২০ কোটী ৭০ লাখ; ভোটার হচ্ছেন ১০ কোটী ৬০ লাখ। ৩৩ দলের ৩ হাজারের বেশী প্রাথী ভোটে অংশ নিয়েছে। অফিসিয়েল ফলাফল এখনো হয়নি, যথাসম্ভব।
ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পাচ্ছে: ১১৯ সীট
নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ পাচ্ছে: ৬৩ সীট
বেনজীর ভুট্টোর ছেলের দল, পিপলস পারটি : ৩৮ সীট
অন্যে সব পার্টি মিলে: ৫০ সীট
পাকিস্তানী ভোটের ফলাফল বাংগালীদের জানার দরকার আছে; ওরা ১৯৭৫ সাল থেকে আমাদের রাজনীতিতে কৌশলে হস্তক্ষেপ করে আসছিলো। এখন হয়তো সেটা সরাসরি কাজ করছে না; তবে, তারা এই সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে।
১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খান ক্যু করে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছিল; সেই থেকে শুরু করে, আজ অবধি পাকিস্তান মিলিটারী দেশ চালনায় সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে জড়িত। এবার তারা ইমরান খনের উপর ভর করেছে। মনে হচ্ছে, এমরান খান এত সীট পাওয়ার কথা নয়; ভোট গ্রহন শেষ হওয়ার সাথে সাথে ইমরান খান নিজ দলের বিজয়ের কথা ঘোষণা করেন। ফলাফল সঠিক সময়ে ঘোষণা করা হয়নি; মনে হচ্ছে, মিলিটারী ফলাফল কিছুটা বদলাচ্ছে। ইলেকশান কমিশন বলছে যে, টেকনোলোজিক্যাল সমস্যার ফলে ভোট গণনায় সমস্যা হচ্ছে।
মুসলিম লীগ, পিপলস পার্টি ও অনেকগুলো ছোট দল দাবী করেছে যে, ভোট গণনার সময় রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্টদের গণনার রুমে থাকতে দেয়নি মিলিটারীর লোকজন।
বর্তমান বিশ্বে, মিয়ানমার, মিশর, সিরিয়া, পাকিস্তানে মিলিটারী দেশের ক্ষমতায় আছে সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে; এসব দেশের মানুষ দীর্ঘ সময় মিলিটারী শাসনের পক্ষে ছিলো; বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাঝে প্রায় অর্ধেক এক সময় মিলিটারী শাসনের পক্ষে ছিলো। ২০০৭ সালেও মিলিটারী বাংলাদেশে বিপুল সমর্থন পেয়েছিলো; মানুষের সমর্থন থাকা সত্বেও মিলিটারী নিজের ভারে নিজে কাত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের এক বৃহৎ অংশ মানুষের মিলিটারী প্রীতি মিলিটারীকে সব সময় ক্ষমতা নিয়ে খেলতে উৎসাহিত করেছে; এখনো মিলিটারী সমর্থনকারীদের সংখ্যা বিরাট।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:০৬