News Link
১৯৫৮ সালে, এক রক্তপাতহীন ক্যু'এর মাধ্যমে জেনারেল আইয়ুব খান পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেন; এরপর, উনার বরপুত্ররা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিল সব সময়, কখনো প্রত্যক্ষভাবে, কখনো পরোক্ষভাবে। উনার বরপুত্র জেনারেল জিয়া, বাবার নিয়ম ভেংগে ভয়ানক রক্তপাত ঘটায়; অপরদিকে জেনারেল এরশাদ বরাবরই উনার সুপুত্র ছিলেন।
এবার পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মিলিটারী ভর করেছে ইমরান খানের উপর; ইমরান খান পাকিস্তানের বিশৃংখল রাজনীতিরই ফসল; তবে, ইমরান খান তাঁর বিজয় ভাষণে এমন কিছু বিষয়ে বলেছেন, যা পাক ভারতীয় কোন নেতা কোনদিন উচ্চারন করেনি; উনার বিজয় ভাষণ আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
তিনি বলেছেন যে, পাকিস্তানে তরুণদের চাকুরী নেই, শিক্ষিত তরুণরা বেকার; এই সমসাার সমাধান দরকার। বুঝা যাচ্ছে যে, তিনি এই সমস্যার সমাধান করবেন, কিংবা করার চেষ্টা করবেন। আরো সঠিক হতো, যদি তিনি বলতেন যে, তিনি চাকুরী সৃষ্টি করে, নিজেই এই সমস্যার সমাধান করবেন, এটা হতো ঐতিহাসিক ঘটনা।
তিনি বলেছেন যে, বিশ্বে অনেক দেশ আছে, যেসব দেশের জনসংখ্যাই ২৫ মিলিয়নের নীচে; কিন্তু পাকিস্তানের স্কুল ও মাদ্রাসায় ২৫ মিলিয়ন শিশু আছে। তিনি জনসংখ্যার বিস্ফোরণকে বুঝাতে গিয়ে এই কথা বলেন। কোনকালে, কোন পাকিস্তানী রাজনীতিবিদ জনসংখ্যার বিস্ফোরণ নিয়ে এই ধরণের কথা বলেননি।
তিনি বলেছেন যে, পাকিস্তানের প্রচন্ড তাপের মাঝে খুবই দরিদ্র ও বয়স্ক মানুষজন বড় আশা নিয়ে ভোট দিয়েছেন; তাঁদের আশা পুর্ণ করা হবে।
তিনি বলেছেন যে, পাকিস্তানের দারিদ্রতা বিমোচন করতে হবে, পাকিস্তানীদের নিজ চেষ্টায়; ঋণ ও ভিক্ষা কোনভাবে দারিদ্রতার অবসান ঘটাতে পারবে না; সাহায্য নিতে হবে প্রবাসী পাকিস্তানীদের থেকে। পাকিস্তানে দরিদ্র মানুষদের সন্তানেরা পুষ্টির অভাবে শারীরিকভাবে ছোট হয়ে যাচ্ছে; এর সমাধান দরকার।
তিনি বলেন করাচীতে মানুষ বস্তিতে অমানবিক জীবন যাপন করছে; কিন্তু দেশটি ম্যানশনে ভরা, এবং এসব ম্যানশন ট্যাক্সের টাকায় করা; এগুলোর অবসান ঘটতে হবে।
ইমরান বলেন, পাকিস্তানীদেরকে নিজ দেশ গড়তে হবে; প্রবাসী পাকিস্তানীরা এতে সাহায্য করবেন; অতীতে পাকিস্তান অন্যদের সাহার্যের জন্য বসে থাকতো, হিসেব করতো, কোন দেশ কত বিলিয়ন ডলার ভিক্ষা দেবে। চীনারা যেভাবে নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করেছেন, আমি চেষ্টা করবো পাকিস্তানীদের সাহায্য নিয়ে পাকিস্তানের সমস্যা সমাধান করতে।
আফগানিস্তানের মানুষ সম্পর্কে ইমরান বলেন, দীর্ঘ যুদ্ধের ফলে জাতিটি সবকিছু হারায়েছে; পাকিস্তান ব্যবস্হা নেবে যাতে সেই দেশের মানুষ নিজেদের দেশ গড়ে তুলতে পারে।
ইমরান ভারতের সাথে খুবই ভালো সম্পর্কে গড়ে তুলতে চান; তিনি বলেন যে, অতীতের সব তিক্ততা পেছনে ফেলে তাঁরা শান্তিতে বসবাস করতে চান; শান্তির জন্য ভারত যদি এক পা সামনে আসে, তিন ২ পা সামনে যাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩১