শেখ হাসিনা স্কুলের বাচ্চাদের ৯ দফা যেভাবে সুরসুর করে মেনে নিয়েছেন; বুঝা যাচ্ছে যে, উনার প্রচুর দুর্বলতা আছে; উনার মুখের কড়া কথা শুনলে মনে হয়, উনি ভয় পাননা; ৯ দফা উনি খুশী হয়ে মেনে নেননি, এবং সাহস করে এই ব্যাপারে এখনো কিছু বলেননি। তিনি একবার সাহস করে আমেরিকার ফরেন সেক্রেটারী জন কেরির কথা শুনেননি, এতে আওয়ামী লীগাররা উনাকে বিশ্বের সবচেয়ে সাহসী মহিলা হিসেবে প্রচার চালাচ্ছে; তবে, ৯ দফা পুরণের প্যাটার্ণ দেখে উনার সাহসের নমুনা বুঝা গেছে; উনি সাহসী নন, উনি জেদী!
স্কুল ছাত্রদের নাড়াটা উদার আওয়ামী লীগ ও দেশের উদার বাংগালীরা মনে রাখবে; আওয়ামী লীগের উদার অংশ শাহজাহানের মত মাফিয়া, শামীম ওসমানের মত মাফিয়াকে সহ্য করে না, কিন্তু এই মাফিয়ারা শেখ হাসিনার খুবই কাছের লোক, এটা উদার আওয়ামী লীগার ও উদার বাংগালীদের জন্য খুবই খারাপ অবস্হা। নাড়াটাকে শেখ হাসিনা যদি বুঝতে পারে, সবার জন্য ভালো হবে; কারণ, সামনে আরো নাড়া আসার কথা, অনেক দুর্বল পয়েন্ট আছে; এবং প্যাটার্ণ দেখে মনে হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এক সময় শেখ হাসিনার পতন হবে।
স্কুলের ছেলেরা এর আগে আন্দোলন করেছে আইয়ুব খানের আমলে, সালটা আমার মনে নেই, হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিপক্ষে; তখন এত ছাত্র ছিলো না, শতকরা ২০ ভাগ পরিবারের ছেলেমেয়রা স্কুলে যেতো; সারাদেশের ছেলেমেয়েরা মিছিল করেছিল।
এবার বিপুল পরিমান ছেলেমেয়ে রাস্তায় ছিলো; তারা সফল হয়েছে; তারা বাহবা পেয়েছে, আগামী কোন এক বড় আন্দোলন অবধি তারা হিরো হয়ে থাকবে।
ব্লগে ও মিডিয়ায় তাদেরকে "কোমলমতি" বলা হয়েছে; আমার একটু সন্দেহ হচ্ছে, তারা কোনভাবেই কোমলমতি নয়; কারণ, হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিপক্ষে মিছিলের সময়, পুলিশকে গালি দেয়া হয়েছিল "ঠোলা" বলে; এই "ঠোলা" শব্দটা তখন সবার মাঝে প্রচলিত ছিল; এবার "ঠোলা"র চেয়ে বেশী বলা হয়েছে; ঠোলা না বলে, প্লাকার্ডে অণু-কবিতা লিখে ছাত্রছাত্রীরা বিনা লাজে সেগুলো সবাইকে দেখায়েছে।
আন্দোলন মানে মিলাদ নয়, এটা সঠিক; তবে, এদের হাতের প্লাকার্ডে যা লেখা ছিলো, সেগুলো তারা দেখাতে কোনভাবে লজ্জিত হয়নি; এটা একটা ব্যাপার প্রমাণ করেছে, "এরা পর্ণ দেখছে নিয়মিত, এদের লজ্জা ভেংগে গেছে, এরা আমাদের জাতিরই সন্তান, এরা কোমলমতি নেই"; এবং এটা এখন একটা প্রমাণিত সমস্যা।
শেখ হাসিনা এবার যদি না বদলায়, উনি নিজকে বদলানোর সময় পাবেন না, উনার সমস্ত পাওয়া ও সামান্য যা অবদান আছে, সবই মুছে যাবে।