শেখ হাসিনা বলেছিলেন, "কোটা থাকবে না"; এখন বলছেন, "মুক্তিযোদ্ধাদের কোটায় হাত দেয়া যাবে না"; এই ২টি ষ্টেইটমেন্ট কে কিভাবে নিয়েছেন? উনি কোটা সংস্কারের জন্য কমিটি করে ভার দিয়েছেন, তারা কিছু একটা করবেন, সেটা বের হলে বুঝা যাবে যে, উনি কতটুকু করলেন! তার আগে উনাকে প্রতিশ্রুতি ভংগকারী, মোনাফেক ইত্যাদি বলা ঠিক হবে কিনা?
শুধুমাত্র "মুক্তিযোদ্ধাদের কোটায় হাত দেয়া যাবে না" বলার পরিপ্রেক্ষিতে কারা উনাকে "প্রতিশ্রুতি ভংগকারী ও মোনাফেক" ডাকছেন? এরা তারা, যারা মনে করেন যে, কোটা সংস্কার বলতে "মুক্তিযোদ্ধা কোটা" সংস্কার, কোটা থাকবে না মানে "মুক্তিযোদ্ধা" কোটা থাকবে না; এটা সঠিক যে, এরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধী, পুরো কোটা নিয়ে এদের মাথাব্যথা নেই। শেখ হাসিনা সেটা বুঝতে পেরেই বেঁকে বসেছেন; উনি সরকারের যেই পদে আছেন, সেখানে জেদ করে, বেঁকে বসা হচ্ছে ভয়ংকর খারাপ উদাহরণ।
কোটাতে লাভবান হচ্ছে বিএনপির ৯০/৯৫ হাজারের কাছাকাছি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা , আওয়ামী লীগের লাখ'খানেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা; আসল ৫০ হাজার মুক্তিযোদ্ধরা সামান্যভাবে উপকৃত হচ্ছেন, ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতার বিপক্ষের লোকদের কাছে ভালোভাবেই হেয় হচ্ছেন; ভুয়ারা মিথ্যুক, চোর, ওরা কিছুতেই হেয় হওয়ার কথা নয়।
স্কুল কলেজের ছাত্রদের "নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে" বিশ্ববিদয়ালয়ের ছাত্ররা আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছে আজকে দিনের বেলায়; এখন ধরে নিতে পারেন যে, শেখ হাসিনা স্কুলের ছেলেমেয়েদের ৯ দফা পুরণের যে আশ্বাস দিয়ে ছিলেন, সেটার প্রতি উনি আর গুরুত্ব নাও দিতে পারেন; এটা উনার স্বভাব; এবং উনার ব্যাপারে এটা আমার অনুমান।
সরকারের ধারণা, কোটা আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রদের সাথে শিবিরও ছিলো, এবং স্কুলের বাচ্চাদের আন্দোলনে শিবির ঢুকে গেছে; ফলে, কোটা আন্দোলন ও স্কুলের বাচ্চাদের প্রতিবাদ এখন ভিন্ন চোখে দেখা হবে। জামাত-শিবিরের নাম যোগ করে, উনি কি কৌশলে আন্দোলনগুলোর গুরুত্ব নাকচ করছেন? আমার ধারণা, উনি বিএনপি, জামাত-শিবিরকে অন্যদের চেয়ে আলাদা চোখে দেখেন, এবং তাদের বেলায় তিনি অনড়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৫৫