বাচ্চারা ঘরে ফিরেছে, বস্তির টোকাই ছাত্ররা বস্তিতে ফিরেছে, ইউনিভার্সিটির বড় ভাইয়েরা ইউনিভার্সিটিতে ফিরেছে; সরকার জয়ী(?) হয়েছে, সবকিছু আগের মত, ব্যবসা চলছে, শাহজাহান তার বাহিনী নিয়ে উৎসব করছে, সরকারের পতন হয়নি, মির্জা সাহেব বেগম জিয়া সমস্যা নিয়ে বয়স্ত হয়ে যাবেন শীঘ্রই! এখন ছাত্রদের ধরাধরি করলে পুলিশের পকেটে টাকা যাবে, যে ছাত্র কোনভাবে দায়ী নয়, পুলিশ তাকে ধরেও টাকা আয় করবে; শেখ হাসিনা এগুলো জানার ক্থা।
যেহেতু, ধরাধরি করলে পরিবারগুলো সমস্যায় পড়বে, তাদের বাচ্চার জন্য তারা চিন্তিত হবে, হয়রাণী হবে, টাকা হারাবে, আওয়ামী লীগের লোকদের পেছেন দৌঁড়তে হবে; এসব ভেবে টেবে শেখ হাসিনা এ্যামনেষ্টী ঘোষনা করতে পারেন। ২ প্রতিবাদে যখন শেখ হাসিনার পতন হয়নি, ভোটের আগ অবধি উনার পতন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
উনি সাথে শুধু একটি শর্ত জুড়ে দিতে পারেন, স্কুলের ছাত্রদের আশেপাশে যেন জামাত-শিবির ঘোরাফিরা না করে; স্কুলের বাচ্চাদের মাঝে যারা শিবিরে নাম লিখায়েছে, তারা বাড়ীতে থেকে পড়ালেখা করবে, পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দেবে স্কুলে এসে; শিশুদের কষুষমুক্ত রাখার জন্য এটা দরকার।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের নিয়ে বেশী টানাটানি করলে বিপদ হবে, ওখানে মন্ত্রী শাহজাহানের সাগরেদদের ছেলমেয়েরা আছে, সরকারী চাকুরেদের ছেলেমেয়েরা আছে, ব্যবসায়ীদের ছেলেমেয়েরা আছে; ওরা মাঝেমাঝে চে'গয়েভারার পোষ্টার কিনে, এটুকুই।
বাসের নীচে বাচ্চা মরলে বাচ্চারা রাস্তায় আসা অন্যায় নয়; চাকুরী না থাকলে, চাকুরীর জন্য রাস্তায় আসা অন্যায় নয়; রাস্তায় নামলে কেহ মিলাদ ও নামায পড়ে না মওলানা ভাসানীর মতো; ছেলেপেলে রাস্তায় নামলে পুলিশকে ইট পাথর মারবেই; পুলিশও তাই চায়, টাকা আসে ইট পাথর মারার পর, বাস পোড়ানোর পর।
এসব কিছু হিসেবে নিকেশ করে, শেখ হাসিনা এ্যামনেষ্টী দিলে ভালো হবে; হাজার হলেও এটা রাজতন্ত্র নয়, ইহা মরাধরা রিপাবলিক!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৩