জেনারেল জিয়াকে যখন হত্যা করা হলো, এটা ছিলো ক্যু'এর প্রচেষ্টা; এটা পুরো ক্যু'তে পরিণত হতে দেয়নি জেনারেল এরশাদ। ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসার জেনারেল জিয়াকে চট্টগ্রাম শহরে হত্যা করে, চট্টগ্রাম কেনটনমেন্টে গিয়ে, জেনারেল মন্জুকে নিজেদের পক্ষে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন; কিন্ত পুরো কেন্টনমেন্ট তাঁদের পক্ষে ছিলো না; ১৩ জন সামরিক অফিসার ঢাকা, কুমিল্লা ও বগুড়া থেকে সমর্থন পেতে চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু জেনারেল এরশাদ সবগুলোকে কন্ট্রোল করতে সমর্থ হয়। তারপর অনেক ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু উহা পুর্ণ ক্যু'তে পরিণত হয়নি।
শেখ সাহেবের বেলায়, ঘটনা ছিলো পুরোপুরি একই; কিন্তু এতে সাধরণ সৈনিক ছিলো হয়তো ২/৩ শত, অফিসার ছিলো ২০/২২ জন; তারা মুল সেনাবাহিনীর অজান্তে শহরে গিয়ে বিশাল হত্যাকান্ড ঘটায়; তারপর, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ফিরে এসে, সিনিয়র কমান্ডদের সমর্থন চায়, ইহাকে পুর্ন ক্যু'তে পরিণত কর্তে। যদি তখনকার সেনাপতি ও সিনিয়র অফিসারেরা সমর্থন না করতো, ইহা ক্যু'তে পরিণত হতো না; তখন হত্যাকারীদের অপশন থাকতো: পালিয়ে যাওয়া, আত্মসমর্পণ করা, কিংবা পুরো সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকা, কিংবা পরাজিত হওয়া এবং অবশেষে জিয়া হত্যার অফিসারদের মত শাস্তির সন্মুখীন হওয়া।
এখন কারো থেকে কিছু না জেনে, শুধু মেটেরিয়েল এভিডেন্স থেকে বলা যায় যে, শেখ হত্যাকারীরা জেনারেল শফি উল্লার সাপোর্ট পায়নি; তারা কার সাপোর্ট পেয়েছিলো, কে ইহাকে পুর্ণ ক্যু'তে পরিণত করলো? যদি সেনাপতি সাপোর্ট না করে, অন্যকেহ কি কারণে সাপোর্ট করলো? যদি সিনিয়র অফিসারেরা সাপোর্ট না করতো, তা'হলে ২০/২২ জন অফিসার কি করতো? সিনিয়র কমান্ড সাপোর্ট না করলে, সেনা বাহিনীর সাধারণ সৈনিকেরা কখনো ইহাকে সাপোর্ট করতো না।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৭