আসছে ১০ই অক্টোবর, গ্রেনেড হত্যার বিচারের রায় হবে; এই বিচারের রায় নিয়ে অভিযোগ, ক্ষোভ, অসন্তুষ্টি, শংকা, হতাশা, ভয় প্রকাশ করেছে মির্জা ফখরুল, বিজভী, ড: খোন্দকার মোশারফ হোসেন, মওদুদ সাহেব, গয়েশ্বর রায়, আমীর খসরু ও আমান উল্লাহ আমান; কিন্তু এরা, তাদের বিবৃতি ও বক্তব্যে মৃত ও আহতদের জন্য দু:খ, বা সহানিভুতি প্রকাশ করেছে কখনো? মৃত আইভি রহমানের নাম কি আছে তাদের বিবৃতিতে, আহত শেখ হাসিনার নাম কি আছে তাদের বিবৃতিতে; বিবৃতিতে ১ লাইনে কোথায়ও দু:খ প্রকাশ করা হয়েছে এদের জন্য? মির্জা ফখরুলেরা কোথায়ও দু:খ, বা সহানুভুতি প্রকাশ করেনি; এরা অমানুষ, এদের বিবৃতি বক্তব্যের ২ পয়সাও মুল্য নেই!
সামনাসামনি যুদ্ধের সমান আক্রমণে ২৪ জনমানুষকে হত্যা করা হয়েছে, ৩০০ জন মানুষকে আজীবনের জন্য পংগু করা হয়েছে; এই আক্রমণ ও হত্যাকান্ড, আমাাকে ও যাদেরকে বিশালভাবে মানসিক কষ্ট দিয়েছে, আমরা চাবো সঠিকভাবে বিচারের মাধ্যমে কমপক্ষে ২৪ জনের ফাঁসী হোক, ৩০০ জনের জেল হোক, এদের সবার সম্পতি কেড়ে নিয়ে, সেই সম্পত্তি থেকে মৃতদের ও পংগুদের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ দেয়া হোক।
এরা কেন হত্যাকারীদের পক্ষে কথা বলছে? সেদিন যারা বিচার করেনি, যারা "জর্জমিয়া"কে জেলে ঢুকায়ে গ্রেনেড হত্যার বিচারের নাটক করছিলো, তাদের সবার ফাঁসী হোক: তারেক জিয়া, চোরাকারবারী স্বরাস্ত্রমন্ত্রী, মন্ত্রী পিন্টু, ডিজিএফআই প্রধান, পুলিশ প্রধান, তদন্তেযুক্ত গোয়েন্দা, সবার ফাঁসি হোক! দেশের নাগরিকদের যারা হত্যা করেছে, যারা বিচারের নামে নাটক করেছে তাদের বাঁচার অধিকার নেই। এই বিচারে বেগম জিয়ারও জেল হওয়া উচিত; কারণ, উনিও জানতেন যে, "জর্জমিয়ার" বিচার হচ্ছে! একজন অসহায় নাগরিককে নাটকের নায়ক করে জেলে আটকানো যে অন্যায়, সেটার বিপক্ষে প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া ক্থা বলেনি, ব্যবস্হা নেয়নি।
যারা হত্যাকারী, পরিকল্পনাকারী, ও সেদিন যারা বিচারের নামে নাটক করেছে, তাদের পক্ষ হয়ে আজ যারা অভিযোগ, ক্ষোভ, অসন্তুষ্টি, শংকা, হতাশা, ভয় প্রকাশ করছে, এরা গ্রেনেড আক্রমণকারীদের সমর্থক; এদেরকে পুলিশ দিয়ে পিটানোর দরকার আছে!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫