'জাতীয় ঐক্যের' নামে, ড: কামাল হোসেন ও ডা: বদরুদ্দোজা চৌ: জাতির সামনে ভয়ংকর খারাপ উদাহরণ'এর সৃষ্টি করলেন, তাদের ২ জনের মাঝেই ঐক্য নেই, তাঁরা কিভাবে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন? জাতি মোটামুটি হিসেবে ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে; ড: কামাল সাহেব, ঠিক কোন ভাগেই পড়েন না; তবে, ডা: বদরুদোজ্জা পরিস্কারভাবে জাতির দ্বিতীয়ভাগে পড়েন, যারা মিলিটারী শাসনের পক্ষে ছিলেন বরাবরই। ড: কামাল হলো বাংলাদেশের প্রফেশানেল এলিট, রাজনীতির দিক থেকে ক্লীবলিংগের লোক, কিন্তু উনার উপর শেখ সাহেবের প্রভাব আছে; আর ডা: বদরুদ্দোজা হলো, যিনি বিএনপি'র ২ নং পোষ্টে থেকেও আমাদের যুদ্ধকালীন প্রাইম মিনিষ্টার, তাজুদ্দিন সাহেবের হত্যার বিচার চাননি, শেখ সাহেবের কথা বাদ দিলাম; উনি বড় বড় পোষ্টে থাকলেও জাতি উনাকে সন্মান করে না। ডা: বদরুদ্দোজা সাহেবের ছেলেটাও ক্রিমিন্যাল মাইন্ডের লোক।
ড: কামাল বাংলাদেশের এলিট সমাজের লোক, উনি রাজনীতিবিদ নন; তবে, শেখের সংস্পর্শে থাকায়, উনি নিজকে রাজনীতিবিদ মনে করেন। তিনি কয়েক দেশের অপ্রয়োজনীয় সংবিধান দেখে, বাংলাদেশের জন্য পংগু এক সংবিধান কপিপেষ্ট করায়, অনেক উনাকে রাজনীতিবিদ মনে করেন; আসলে, উনি একজন ক্যাপিটেলিষ্ট মনোভাবের রিএ্যাকশনারী মানুষ যার কাছে টাকা আছে, আইনী বুদ্ধি আছে, কিন্তু জনহৈতিষী মন নেই, যা আসলে রাজনীতির মুল উদ্দেশ্য।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে, ডা: বদরুদ্দোজা বাংলাদেশ চাননি, তিনি 'এক পাকিস্তানে বিশ্বাসী'; ১৯৭১ সালে উনি যদি বাংলাদেশের ভেতরে কোথায়ও মেজর জিয়ার অবস্হান জানতেন, পাকী মিলিটারীকে অবশ্যই খবর দিতেন; কিন্তু জেনারেল জিয়া যখন দেশে ক্যু করে, কেনটনমেন্টে বসে দল গঠন করলেন, সেই জিয়ার দলের ২য় ব্যক্তির পদ পেলেন, এগুলো স্বাভাবিক ব্যাপার নয়, এগুলো বাংলার রাজনীতির ক্যান্সার মাত্র।
যাক, ড: কামাল যতই এলিট মেলিট, রিএ্যাকশনারী হোক না কেন, উনার উপর শেখের সামান্য প্রভাব আছে, উনি জিয়ার শিষ্য নন; ফলে, ড: কামাল ও বদরুদোজা বিপরিত মুখী স্রোত, ওদের মাঝে ঐক্য হতে পারে না; দেশের দুর্সময়ে, উনারা কিসব যুক্তফ্রন্ট ম্রন্ট করছেন শুনে, মানুষজন হাসাহাসি করছিলো!
মানুষের হাসাহাসিই সত্য হলো, অথর্বরা আবারো নিজদের অথর্ব হিসেবে প্রমাণ করলেন; মাঝখানে 'জাতীয় ঐক্য' শব্দটি আরেকটি লাথি খেলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১