শেখ সাহেব, তাজুদ্দিন সাহেব, ২ জনেই, ড: কামাল হোসেনকে একজন তরুণ প্রফেশালে হিসেবে খুবই সন্মান করতেন, ভালোবাসতেন, এবং নতুন বাংলাদেশে সবচেয়ে দায়িত্বপুর্ণ ও সন্মানিত পদে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিলেন; উনাকে জাতির সংবিধান রচনার কমিটির প্রধান করা হয়েছিলো, আইনমন্ত্রী ও বিদেশ মন্ত্রী করা হয়েছিলো। ড: কামালের উচিত এই ২ জন মানুষকে সন্মান দেখানো; উনাদের হত্যাকারীদের বেনেফিসারীদের দলকে সাহায্য করা উনার উচিত নয়।
শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের প্রতি ন্যুনতম কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশের চিহ্ন হিসেবে, ড: কামালের উচিত, যেসব সভায় জেনারেল জিয়া, বেগম জিয়া ও তারেক জিয়ার প্লাকার্ড থাকে, সেসব সভায় না যাওয়া।
১৯৭১ সালে, ড: কামাল বাংলাদেশের একজন নবীন আইনজীবি ছিলেন, যাঁর কোন রাজনৈতিক পরিচায় ছিলো না; শেখ সাহেব, ইয়াহিয়ার মিটিং'এ যাবার সময় বিদেশে পড়ালেখা করা, স্যুট কোট টাই-পরা একজন বাংগালীকে ইয়াহিয়ার সামনে নিয়ে বসে, ইয়াহিয়াকে দেখাতে ছেয়েছিলেন যে, বাংগালীদের মাঝে স্মার্ট প্রফেসানেল আছে। ড: কামাল জানতো না, শেখ সাহেব কিভাবে ভোটে জিতেছেন, বাংগালী জাতীয়তাবাদ কোন লেভেলে আছে, বাংগালীরা কতটুকু শক্তিশালী; উনার কোন ধারণাই ছিলো না। ড: কামাল আওয়ামী লীগের কেহ ছিলো না, শেখ সাহেব উনাকে তাজুদ্দিন, মোল্লা জালাল, আবদুস সামাদ আজাদের সমপর্যায়ে স্হান করে দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগে।
ড: কামাল বর্তমান বাংলাদেশের এলিট সমাজের লোক, উনি রাজনীতিবিদ নন; তবে, শেখের সংস্পর্শে থাকায়, উনি নিজকে রাজনীতিবিদ মনে করেন। তিনি কয়েক দেশের অপ্রয়োজনীয় সংবিধান দেখে, বাংলাদেশের জন্য পংগু এক সংবিধান কপিপেষ্ট করায়, অনেক উনাকে রাজনীতিবিদ মনে করেন; আসলে, উনি একজন ক্যাপিটেলিষ্ট মনোভাবের রিএ্যাকশনারী মানুষ যার কাছে টাকা আছে, আইনী বুদ্ধি আছে, কিন্তু জনহৈতিষী মন নেই।
ড: কামাল সাহেব বিএনপি'র পেছনে অকারণ সময় নষ্ট করছেন, উনার সাথে বিএনপি'র কোন বিষয়ে মিল নেই; দেশে দুষ্ট ধনীদের সংখ্যা বেড়েছে সম্প্রতি, ড: কামাল সাহেব এলিট ধরণের সরকার গঠন করে একটু নাম টাম করতে চান; কিন্তু দেশ সেই অবস্হায় নেই; উনাকে উনার উৎপত্তির স্হানে ফিরে যেতে হবে, তা'হলে যদি কিছু ঘটে।
উনাকে মনে রাখতে হবে যে, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব উনাকে সন্মান করতেন ও ভালোবাসতেন; এবং '৭১'এর জেনারেশনের মানুষেরা এখনো জীবিত আছেন, উনার কার্যকলাপ পর্যবেকণ করছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:০৮