Student League News
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, ছাত্র রাজনীতির দরকার ছিলো না; ছাত্ররা ছাত্র, এরা রাজনীতিবিদ নয়, এরা ইন্জিনিয়ার নয়, এরা ডাক্তার নয়, এরা প্রফেশালে নয়, এরা শুধুমাত্র ছাত্র; এবং ছাত্র অবস্হায় রাজনীতি করার মতো দরকারী লব্ধজ্ঞান কারো থাকার কথা নয়; তাদের মেধা, মনন, সবকিছু পড়ালেখায় নিয়োগ করার কথা; পড়ালেখার সাথে সাথে, সব ধারণার মতো তাদের মাঝে রাজনৈতিক ধারণাও গড়ে উঠার কথা; কিন্তু ছাত্র অবস্হায় ওদের লব্ধজ্ঞান প্রয়োগের মতো প্রফেশাল গ্রেইডে থাকে না, উহা অভিজ্ঞতাহীন, অপক্ক অবস্হায় থাকে।
এরা নিজেরা পড়ে না, অন্যদের পড়তে দেয় না, সেই কারণে, আজ পদ্মাসেতু গড়ছে চীনারা ও গার্মেন্টস'এ ভারতীয়রা ও বাহিরের লোকজন বড় কাজ করছে; এরা ছাত্র নন, এরা মধুর কেন্টিনের গ্রেজুয়েট!
পাকিস্তানী আমলটা কেটে গেছে প্রতিবাদে; সেই সময়, শতকরা ৮৫ জন বাংগালী ছিলেন নিরক্ষর, সরকার কি করছে, নিরক্ষর জনতার চেয়ে ছাত্ররা একটু বেশী বুঝতো হয়তো; কিন্তু আসলে, কি করা উচিত, সেটা ছাত্ররাও জানতো না; কিন্তু তারা প্রতিবাদ করতো। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, জামাতের ছাত্র সংগঠন, "ইসলামী ছাত্র সংঘ" জাতি ও নতুন দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়, তারা গণহত্যা চালায়; যুদ্ধের পর, তারা প্রাকৃতিকভাবে হারিয়ে যায়, একইভাবে হারিয়ে যায় মুসলিম লীগের ছাত্র সংগগঠন; ছাত্রলীগের অনেক ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন; ছাত্রলীগের নেতারা যুদ্ধের মাঝে মুক্তিযোদ্ধাদের এক নতুন শাখা খুলে বসে, "বিএলএফ"; ইহা করে, মুক্তিযুোদ্ধাদের মাঝে এক অপ্রয়োজনীয় বিভক্তির সৃষ্টি করেছিলো। ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো।
১৯৭২ সাল থেকে, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রতিবাদের আর দরকার ছিলো না; আমাদের নিজস্ব জাতীয় সরকার ছিলো; তখন থেকে নিয়ম করার দরকার ছিলো যে, যারা রাজনীতি করবে, তারা রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করবে; ছাত্র অবস্হায় কেহ রাজনীতি করতে পারবে না, শিক্ষংগণ হবে রাজনৈতিক কার্যক্রমমুক্ত; রাজনীতি করতে হলে, রাজনৈতক দলের সদস্য হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্টানের বাহিরে কার্যক্রম করতে হবে। ততকালীন সরকার সেটা না করাতে, একদিন ঠিকই জামাতের "ছাত্র সংঘ" ছামড়া বাদলায়ে, নতুন নাম, "ইসলামী ছাত্র শিবির" নিয়ে আগের মতো রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে উপস্হিত, শুরু হয় ছাত্র হত্যা, ওদের প্রফেশাল কাজ ছিলো ছাত্রদের "রগ কেটে দেয়া"; ঠিকই ২০১৩ সালে, তারা আবার দেশের বিপক্ষে গেরিলা আক্রমণ চালায়; এখন আগামী আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ছাত্রলীগ যা করছে, এটা বেশ ভালো অপরাধ, ওখান থেকে ২/৪ জনকে সরায়ে উহাকে মেরামত করা সম্ভব নয়; কারণ, উহার দরকার নেই, উহার সঠিক কোন উদ্দেশ্য, আদর্শ কিছুই নেই। দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকার কারণে শেখ হাসিনা গতকাল ছাত্রলীগের ২ শীর্ষ নেতাকে সরায়ে, নতুন ২ জনকে উহাদের স্হলে এনেছেন! এরা ২ জন কি দুর্নীতি করেনি? নিশ্চয় করেছে, হয়তো এখনো স্হুল চোখে ধরা পড়ছে না, অথবা পরিমাণটা ছোট। দেশের প্রয়োজন অনুসারে এই ধরণের সংঠনের কোন উদ্দেশ্য, আদর্শ নেই; যদি এদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থাকে এদেরকে আওয়ামী লীগে নেয়া হোক, ও ছাত্রলীগ বন্ধ করে দেয়া হোক; সাথে সাথে শিবির, ছাত্রদল ও সকল ধরণের ছাত্র সংগঠন ও তাদের কার্যকলাপ বন্ধ করার দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৯