সবাই ভালোবাসা চায়, সবাই ভালোবাসতে চায়, নারীরা হয়তো একটু বেশী চান, এটাই প্রকৃতির নিয়ম! কোন দেশ তার নাগরিকের কাছে কোনদিন ভালোবাসা চাইতে আমি শুনিনি; বিশেষ করে, বাংলাদেশ উনার সন্তানদের কাছে ভালোবাসা চাইতে পারে, এই কথা ভাবতেই যেন কেমন অপ্রাকৃত শোনায়; রাস্তাঘাটের টোকাই মোকাই, হাল-চষা চাষী, রিকসা-ড্রাইবার, ভুমধ্য-সাগরে নোকায় বসা রেমিটেন্স সৈনিক, ক্যাসিনোর মালিক, থানার বড় দারোগা, দেশের চীফ সেক্রেটারী, ইয়াবা-খাওয়া ছাত্র, মুক্তিযোদ্ধা-কোটা-বিরোধী ডাকসু'র সভাপতি, পেটের অসুখে আক্রান্ত প্রেসিডেন্ট, বড় লাঠির মালিক শেখ হাসিনা, ব্লগের কবি বিদ্রোহী ভৃগুর কাছে নাকি বাংলাদেশ ভালোবাসা চায়, আপনাদের বিশ্বাস হয়?
ভালোবাসা চেয়ে, এবং না পেয়ে, আমাদের ব্লগের কবি নঈম জাহাংগীর, রূপক বিধৌত সাধু, সেলিম আনোয়ার ব্লগের সার্ভারের হার্ডড্রাইভ ভরে ফেলেছেন কবিতা লিখে; কিন্তু বাংলাদেশকে হা-হুতাস করতে আমি শুনিনি; হয়তো শুধু আমি শুনিনি, যাদের হাতীর মতো বড় ও গাধার মতো লম্বা কান আছে, তারা হয়তো শোনেন!
দেশের অবস্হা দেখে, মনে হয়, দেশ সীমাহীন ভালোবাসার নীচে চাপা পড়ে, শ্বাস ও বাকহীন হয়ে গেছে! শেখ হাসিনা বলেছেন যে, দরকার হলে প্রাণ দিয়ে দেবেন! শেখ সাহেবকে জীবন দিতেই হয়েছে, এখন কি আমরা শেখ হাসিনার জীবনটা নিয়ে দেশের প্রতি উনার ভালোবাসার প্রমাণ করা ঠিক হবে!
আমাদেরকে কিভাবে দেশকে ভালোবাসতে হবে, ফ্রান্সের জোয়ান অব আর্কের মতো, ভাষা সৈনিক গোলাম আজমের মতো, আতা-তুর্কের মতো, নাকি জে: এরশাদের মতো, শেখ সাহেব কিংবা জে: জিয়ার মতো, মুক্তিযোদ্ধা মনামিয়ার মতো, প্রেডিডেন্ট আবদুর রহমান বিশ্বাসের মতো, নাকি , আমাদের মোল্লা শফি সাহেবের মতো, কিংবা আমাদের ব্লগার রাজিব নুরের মতো? সমস্যা, অনেক বেশী চয়েস, মাথা ঘুরে যাবার উপক্রম!