somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যাসিনো একটি বিশাল চাকুরী সৃষ্টিকারী ইন্ডাষ্ট্রী, বিশাল ট্যাক্সের উৎস

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ধনী দেশগুলোর জন্য ক্যাসিনো হচ্ছে বিনোদন কেন্দ্র, ইহাতে দেশের সাধারণ মানুষই বেশী যায়; ইহা চাকুরী সৃষ্টিকারী ইন্ডাষ্ট্রী, ট্যাক্সের উৎস; এবং সেইসব দেশের সংস্কৃতি ও অর্থনীতি ইহাকে সাপোর্ট করে।

আমেরিকার আটলান্টিক সিটিতে ২২০০ বাংগালী পরিবার বাস করেন; এঁরা ক্যাসিনোতে চাকুরী করার জন্য নিউইয়র্ক ও নিউজার্সির অন্য শহর থেকে আটলান্টিক সিটিতে গিয়েছেন বাস করতে। আর লাস ভেগাসের রূপকাহিনী আপনারা জানেন। আমেরিকান আইনে ক্যাসিনো ব্যবসা বিরাট ইন্ডাষ্ট্রিজ। আটলান্টিক সিটিতে ৫ লাখ ও লাস ভেগাসে ১৫ লাখ মানুষ বাস করেন।

ক্যাসিনো নিয়ে আজ ২/৩ দিন বাংলাদেশ কাঁপছে, বিশ্বের অন্যদেশের কথা বাদ দেন, আমেরিকার ২ টি শহর: লাস-ভেগাস ও আটলান্টিক সিটির সব ব্যবসা, সব সার্ভিস, সব চাকুরী ক্যাসিনোকে কেন্দ্র করে। এই ২টি শহর থেকে সরকার সবচেয়ে উচ্চ হারে ট্যাক্স পায়; ট্রাম্প ক্যাসিনো নির্মাণ করে অনেক ডলার আয় করেছে, বিশাল পরিমাণ ডলার হারায়েছে, ব্যাংক-রাপছি করেছে।

২০১৮ সালেে, লাস ভেগাসের রেভেনিউ ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশী; আটলান্টিক সিটির রেভেনিউ এখন ৩ বিলিয়ন ডলার, এক সময় ৬ বিলিয়ন ডলার ছিলো।

আমেরিকান ক্যাসিনোতে, জুয়া খেলাটা মুল ব্যবসা হলেও, ক্যাসিনোতে শুধু জুয়া খেলা হয় না, এখানে মানুষ আসে বেড়াতে, শো দেখতে, লাইভ কনসার্ট দেখতে, পতিতা নিয়ে থাকতে, ছুটি কাটাতে, ব্যবসা করতে, এমন কি বিয়ে করতে। এগুলো আমেরিকার আইন অনুসারে চলছে, এগুলো চাকুরীর সৃষ্টি করেছে, মানুষ পরিবার নিয়ে বসবাস করছে ক্যাসিনো শহরে, এখানে স্কুল কলেজ আছে, অন্য শহরের মতো সবই চলছে।

কিন্তু আমরা আমেরিকা নই, আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি আমেরিকান নয়; আমাদের আইন আমেরিকার আইন নয়; আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, সমাজ ব্যবস্হা আছে!

ঢাকায় যেটা ঘটেছে, সেটা হলো আইনের বাহিরে, আমাদের সস্কৃতির বাহিরে, আমাদের জাতির স্বার্থের বাহিরে; ঢাকায় যারা গোপনে ক্যাসিনো খুলেছে, এরা দেশের আইন মানে না, দেশের সংস্কৃতি মানে না; এখানে যারা আসে তারা অসতভাবে আয়করা নিজের কালো টাকায় জুয়া খেলে, কালো টাকায় মদ খায়, কালো টাকায় পতিতা নিয়ে ঘুমায়; এবং এরা জানে যে, এগুলো বেআইনী। এটাতে আমাদের পুলিশ, প্রশাসন, মন্ত্রী, এমপি, রাজনৈতিক দলের লোকেরা জড়িত।

ঢাকার ক্যাসিনোর ভালো দিক হলো, এখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নেই; এখানে যারা ব্যবসা করে ও কাষ্টমার হিসেবে আসে, তারা অসৎ, চাঁদাবাজ, ঘুষখোর, অসৎ ব্যবসায়ী, অসৎ আমলা, অসৎ রাজনীতির দুষ্ট লোকেরা; এরা একজন অন্যজনকে সাহায্য করে, মাঝে মাঝে সুযোগ পেলে এরা একে অন্যের ঘাঁড় মটকায়, এবং এজন্যই সম্প্রতি ধরাধরি শুরু হয়েছে।

তবে, ঢাকার মানুষের কাছে যেই পরিমাণ "কালো টাকা" আছে, এই ধরণের ৬০০ ক্যাসিনো, ৫০ টি "টপলেস বার" থাকা কিছুই না; ঢাকায় কার কার "হেরেম" আছে, সেটা বের করলে পাবলিক আমাদের এরশাদ সাহেবকে পীর ভাববেন।

পুলিশ, প্রশাসন, মন্ত্রী, এমপি, রাজনৈতিক দলের লোকেরা ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত, এবং এদের একাংশ এখানকার কাষ্টমার; আবার এরাই দেশ চালাচ্ছে! অর্থাৎ আমাদের দেশ চালাচ্ছে যারা, তারা নিজেরা জেনেশুনে বেআইনী কাজ করছে; এজন্য দেশে এই রকম ভয়ংকর বিশৃংখলা। এখানে যারা ব্যবসা করছে, এরা কি বেকারদের চাকুরীর জন্য বিনিয়োগ করবে? এরা যদি এখান থেকে টাকা আয় করে, ভয়ে এই টাকা দেশে রাখবে? বেআইনীভাবে আয়ের টাকা কেহ বিনিয়োগ করে না, এরা বাড়ীঘর কিনে ও টাকা বাইরে নিয়ে যায়, এদের পরিবারের লোকজন আমেরিকায়, লন্ডনে, দুবাই ও মালয়েশিয়ায় বাস করে।

ঢাকার ক্যাসিনো প্রমাণ করছে যে, আমাদের পুলিশ, আমাদের প্রশাসনের উঁচু পদের লোকেরা, মন্ত্রী ও এমপিরা, রাজনৈতিক দলের লোকেরা বেআইনী কাজ ও আয়ের সাথে জড়িত; এরা আমাদের দেশের বর্তমান বিশৃংলার সৃষ্টিকারী।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫
২৩টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×