যোগাযোগ
মোট ৫ দিন খরচ ৪৫০০ টাকা
যা হোক , খরচের ধরনটা হবে এমন-
-- ঢাকা থেকে বান্দরবান = ৫৫০ টাকা (নন এসি)
অথবা, ঢাকা- চিটাগাং=৪২০টাকা, চিটাগাং-বান্দরবান=১৩০টাকা
--প্লাস্টিকের মজবুত স্যনডেল।
পুরান ঢাকা থেকে ১৩০ টাকা দিয়ে কিনছিলাম। অসাধারন গ্রিপ আর পারফরমেনস। ওডোমস মাঝারি -৪৫ টাকা, ম্যালরিয়া প্রতিষেধক ট্যাব ক্লোরোকুইন ১৫ টাকা( ট্যুর শেষে এসে ১ সপতাহ পর আরেকটা খেতে হবে), নাপা, ওরস্যালাইন, ব্যাথানাশক, ব্যানড এইড- প্রয়োজনমত।
--বানদরবান- থানচি বাস= ২২০ টাকা, রাস্তা ভান্গা থাকার কারনে একবার বাস চেন্জ করতে হয় তাই টিকেট টা যত্ন করে রাইখেন - নৈলে ঐ বাস চেন্জ করার পর আবার ভারা দেয়া লাগতে পারে । চাইলে মাঝখানে নেমে নীলগিরি রিসোরট টা দেখে ফেলতে পারেন, পরের বাস ২ ঘন্টা পর আসে তখন ওটায় উঠে পরবেন। বাসের টাইম হল
বান্দরবন থেকে সকাল ৮টা, ১০.৩০টা, ১২.৩০ এবং ২.৩০।
থানচি থেকে- সকাল ৮টা, ১০টা, ১২টা, ২টা।
-- থানচি পৌছে নৌকা পারাপার ৫ টাকা।
-- বিজিবি এবং থানচি পুলিশের কাছে দলের সবার নাম, ঠিকানা, বাবার নাম, পেশা, ফোন নম্বর সেইসাথে মাঝি ও গাইডের নাম জমা দিতে হবে। থানচি থেকে গাইড নেয়া বাধ্যতামূলক করে ফেলেছে বিজিবি।
-- গাইড এর থাকা-খাওয়া আপনের দায়িত্ব সেই সাথে তাকে ৫০০টাকা/দিন হিসেবে দিতে হবে,আর ১০০টাকা গাইড সমিতিতে জমা দিতে হবে। এই গাইড আবার ণাফাখুম যাবে না- যাবে রেমাক্রি পর্যন্ত!! বাংগালী গাইড দের ধান্দা থাকে কিভাবে আপনার টাকা খসানো যায়।
-- নৌকা ভাড়া পরবে রেমাক্রি যাওয়া আসা ৪৫০০ টাকা (২ দিনের হিসেবে)।পাহড়ি মাঝি নেয়া ভাল তবে আজকাল কিছু অযোগ্য পাহাড়ি নাকি মাঝি হয়েছে। তাই বিজিবি এর কাছে পরামর্শ করে নেবেন।
-- থানচি থেকে বড় সাইজের পলিথিন(পিস ২০-২৫টাকা) এবং রশি কিনে নেবেন। পলিথিনে আপনাদের ব্যাগগুলা ঢেকে নিবেন যাতে পানি না লাগে। আর রশি লাগবে ণাফাখুম যাবার সময়। লাইফ জ্যাকেট নিতে পারেন ৫০ টাকা/দিন। লাইফ জ্যাকেটে আমার কোনো ভরসা নাই।
-- ফোনের নেটওয়ারক আছে টেলিটক আর রবি-র। সেটা আবার তিন্দু পৌছহার আগেই নাই হয়ে যায়। সো নৌকায় উঠার সময় মোবাইল ঐ পলিথিনে ঢুকিয়ে নেবেন।
-- তিন্দু তে থাকার হোটেল হয়েছে , নাম- হোটেল ওয়ান আবাসিক। ৩ জনের ছিলাম এক রুমে- একটা ডাবল খাট আর আর একটা সিংগেল খাট এর । ভাড়া পরেছে ৩০০ টাকা. খাওয়া পড়বে ৯০টাকা পার প্লেট। পাহাড়ি মুরগি সাথে ভাত আর আলু ভরতা/ ভাজি। চা ৫টাকা করেই। বেনসন কিনতে হলে এখানেই কিনে নিন। এরপর আর পাওয়া যায় না।
-- পানি বেশি থাকলে রাজাপাথর পার হতে হবে পাশের জোকের পাহাড় ধরে। জোক ধরলেও ভয়ের কিছু নাই। রক্ত বেশি পরলে- ব্যান্ড এইড ক্রস করে লাগিয়ে নেবেন। পানি বেশি থাকলে আর মাঝি ভাল না হলে ঐ অংশে নোউকায় পার না হওয়ায় উচিত
সাতার না জানলে ভয় কারে কয় পাওয়া শুরু করবেন এর পর থেকে..।
দুর্গ পাহার- বন্দর নামক একটা খরস্রোতা জায়গা পার হবার পর....
--রেমাক্রি থেকে আবার ঐ নাম-ধাম জমা দিবেন বিডিআরের কাছহে। গাইড নিবেন। গাইড ৫০০টাকা আর সমিতি চারজ ১০০টাকা=টোটাল ৬০০ টাকা। সাথে নিবেন কলা - বিস্কিট-স্যালাইন। কলা ১.৫০টাকা করে। (থানচি থেকে নিয়ে আসা গাইড বৈসা ঘুমাইবো, বিড়ি ফুকবো -- ফাউ ফাউ টাকাও লইব)
এরকম কিছহু জায়গায় নৌকার বদলে হেটে পার হতে হবে....
--নাফাখুম এর দিকে যাবেন, ২ঘনটা লাগে, ৩বার খাল পার হতে হবে- তাই সাতার না জানলে সাবধান। ঐ দড়ি যে নিয়া আসছহিলেন থানচি থেকে - ঐটা ইসতেমাল কৈরেন। স্রোত বেশি থাকলে আর সাহস বেশি নেয়ার দরকার নাই। ২য়বার ও ৩য়বার যখন খাল পার হটে হয় তখন গভিরতা বেশি। ২য়বার খাল পার হবার পর রাস্তা যায় আরো খারাপ হয়ে...।
-- নাফাখুম দেইখেন কিন্তু অনুরোধ নোংরা কইরেন না জায়গাটা। খাবারের প্যাকেট টা কস্ট করে সাথে করে নিয়ে এসেন। ঐখানে ফেলায়েন না।
করনীয়
খুব কম কাপড় নিতে হবে যেন ব্যাগ হালকা হয়।
ওডোমস ক্রিম নিতে হবে মশা হতে বাচার জন্য
হাটার জন্য ভাল গ্রিপ করে এমন প্লাষ্টিকের স্যান্ডেল পরতে হবে। তবে স্যান্ডেলটি আগেই পরে পায়ের সাথে মানিয়ে নিতে হবে।
থ্রি কোয়ার্টার বা শর্ট প্যান্ট পরে নিতে হবে।
রেমাক্রী হতে নাফাখুমের পথে যথেষ্ঠ পরিমান খাবার ও পানিয় নিয়ে নিতে হবে।
ফাষ্ট এইড ও চর্ট লাইট নিতে হব।
প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সাথে নিয়ে যাওয়া উত্তম
প্রত্যেক টুরিষ্টের নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, বাসার ফোন, পেশা ইত্যাতি লিতে কমপক্ষে ১০ টি ফটোকপি করে নিয়ে যেতে হবে।