ব্লগার সীমানা ছাড়িয়ে নিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে ৭ ই নভেম্বরের ইতিহাসকে বিকৃত করার প্র্রয়াস চালিয়েছেন। কিন্তু সবকিছু নিরপেক্ষ দৃস্টিতে দেখা যায় না। ইতিহাসে যা ঘটেছে তা বলতে হবেই। তার পোস্টের জবাবেই এই পোস্ট। ব্লগার সীমানা ছাড়িয়ের পোস্ট :
Click This Link
১৫ ই আগস্টের বংগবন্ধু হত্যাকান্ড যদিও মর্মান্তিক ও সমর্থনযোগ্য ছিল না কিন্তু এটাও ঠিক যে জনগন একদলী বাকশাল শাসন থেকে মুক্তি চাচ্ছিল। যেকারনে ১৫ ই আগস্টের পর কেউ প্রতিবাদে একটি মিছিল ও করেনি।
এরপর মুশতাক সরকার (আওয়ামীলীগের নেতাদের দারাই গঠিত) নানান টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। হয়তো দেশ আবার গনতন্ত্রের দিক যেত। যেহেতু বাকশাল পতনের মধ্য দিয়ে মুশতাক সরকারের জন্ম তাই জনগন (এবং সেনাবাহিনী) বাকশালের পতনের পর গনতন্ত্র আসবে এই আশায় মুশতাক সরকারের বিরোধীতা না করে অপেক্ষা করছিল কি হয় দেখার জন্য ।
কিন্তু এর ই মধ্যে ৩ রা নভেম্বর ক্যু করেন খালেদ মোশাররফ। এবং এই ক্যুর পর পরই ঢাকার রাজপথে তার ভাই রাশেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ঢাকার রাজপথে ১৫ই আগস্টের বিপক্ষে মিছিল বের হ্য়। যার ফলে সেনাবাহিনী ও জনগনের মধ্যে একটা ধারনা হয় যে খালেদ মোশাররফের ক্যু হয়েছে বাকশালের সমর্থনে। এক ই সময় কাকতালী্য় ভাবে বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এছাড়া জিয়াকে গ্রেপ্তার ও সাধারন সৈনিকরা ভালচোখে দেখে নি। কারন জিয়া ছিল খুবই জনপ্রিয় ও ক্যারিশমাটিক অফিসার।
অন্যদিকে কর্নেল তাহের সেনাবাহিনীতে সিপাহীদের মধ্যে কাজ করছিলেন মুলত সমাজতন্ত্র প্রতিস্টার লক্ষ্যে। তিনি ও এই সুযোগে সৈনিকদের খেপিয়ে তুলেন অফিসারদের শোষনের কথা ও সৈনিকদের অধিকারের কথা তুলে । একদিকে বন্চনা আর অন্যদিকে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে বাকশালের সমর্থকরা আবার ক্ষমতায় আসছে। এই দুইয়ের মিলনে সেনা সদস্য ও জনগনের মধ্যে ক্ষোভের সৃস্টি হয়। যার ফলশ্রুতিতে সিপাহীরা বিদ্রোহ করে জিয়াকে মুক্ত করে। জনগনও হাপ ছেড়ে বাচে ও অনেকে সেনাসদস্যদের সাথে রাজপথে মিছিল করে 'সিপাহী জনতা ভাই ভাই বলে।
জিয়া ক্ষমতা নিয়েই দ্রুত সেনাবাহিনীতে চেইন অফ কমান্ড প্রতিস্ঠা করেন। দেশকে এক বিরাট বিশৃংখলা থেকে বাচান। তিনি আবার দেশে বহুদলীয় গনতন্ত্র প্রতিস্ঠা করেন যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনা । এমন কি বাকশাল গঠনের মধ্য দিয়ে যে আওয়ামীলীগ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল সেই আওয়ামীলীগ আবার পুনর্জন্ম লাভ করে।
সুতরাং ৭ ই নভেম্বর দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য একটি দিন। এই দিন ই দেশ আবার শৃংখলা ও গনতন্ত্রের দিকে অগ্রযাত্রা শুরু করে সিপাহী ও জনতার সম্মিলিত প্রচেস্টায়।