somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইভটিজিং : শুধু ছেলেরাই নয়, মেয়েরাও দায়ী, একটি বাস্তব ঘটনা

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে এক বখাটে। তার নাম ফখরুল ইসলাম। সে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনির্ভাসিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ছাত্র। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় এ ঘটনা বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল অফিসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম মোবাইলে জানান, বখাটে ওই যুবককে পুলিশের সোপর্দের জন্য থানায় যোগাযোগ করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় একাডেমিক ভবন ‘সি’ এর পাশে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার সময় ভয়ে ছাত্রী চিৎকার দেয়। চিৎকার শুনে ওই স্থানে ছুটে আসেন সিভিল এন্ড এনভাইরনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান জহির বিন আলম এবং ছাত্রী হলের প্রভোষ্ট ড. নাজিয়া চৌধুরী। পরে তাদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ওই বখাটেকে হাতেনাতে ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে। এ সময় ওই ছাত্রী বখাটের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগে দীর্ঘ এক বছর ধরে ওই বখাটে তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করছে বলে উলেখ করা হয়। অভিযোগ কারী ওই ছাত্রী আরো জানায়, বখাটে প্রায়ই তার পিছু পিছূ এসে তাকে উত্ত্যক্ত করত। এছাড়াও নগরীর টিলাগড় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বাসে নিয়মিত ক্যাম্পাসে আসত।

প্রক্টরীয়াল বডির জিজ্ঞাসাবাদের সময়্ ওই বখাটে শাহপরান হলের সাবেক ছাত্রশিবির সভাপতি সিতাব আলীকে তার বন্ধু বলে দাবী করে। ক্যাম্পাসে আসলে সে সিতাব আলীর রুমেই অধিকাংশ সময় ব্যয় করতো বলে জানান। তবে সিতাব আলীর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনেক মানুষই তো পরিচিত। তাকে ঘিরে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে কি না তিনি তা জানতে চান।

এটি একটি ফরমাল নিউজ

কিন্তু বাস্তব খবর হল, ওই মেয়েটির সাথে ওই ছেলের আসলেই সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরপরই তার ভাবসাব চেঞ্জ হয়ে যায়। তারপরও ওই ছেলেটি তার সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে তার প্রেমিকাকে ফলো করতে করতে সে ক্যাম্পাসে চলে আসত।

প্রেমিকের এহেন কর্মকান্ড দেখে সে তাকে শাস্তি দেয়ার জন্য তার সহপাঠীদের বলে তাকে শাসিয়ে দেয়ার জন্য। তো ওই মেয়ের সহপাঠীরা প্রস্তাব পেয়ে নায়ক বনে গেল। এই ভেবে, এইভার হয়ত সুযোগ অাসল কিছু করে দেখানোর।
তো ক্যাম্পাসে আসার পর সহপাঠীরা ওই প্রেমিককে ধরার জন্য ওতপেতে রইল। শেষ পর্যায়ে যখন ছেলেটিকে পাকড়াও করা হল, তখন ওই মেয়েটির ভাষ্যছিল এরকম-

'ওই তুই আমার পিছনে পিছনে ঘুরিস ক্যান। তুই আমারে অনেক জ্বালাইছিস, তোরে.......।

ওই প্রেমিকার মন্তব্য শুনলে যেকোন সুস্থ্য মানুষ অসুস্থ্য হয়ে যাবার কথা।

তারপর ওই প্রেমিকককে নিয়ে যাওয়া হল প্রক্টর অফিসে।

ছেলেটি ওই প্রেমিকার পা পর্যন্ত ধরতে চেয়েছিল, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এর আগে ছেলেটির ভাষ্য ছিল এরকম-
ওকে আমি ১০ বছর ধরে চিনি। তাকে আমি সত্যিকার অর্থেই ভালেঅবাসি। তার বাবা আমার শিক্ষক। তাদের পরিবারের সকলের সাথেও আমার ভাল সম্পর্ক। প্লিজ, আপনারা বিশ্বাস করুন, আমি ইভটিজার নই। ছেলেটির এসব আবেগজড়ানো অথচ সত্য কথাগুলো কেউ বিশ্বাস করেনি, কারণ ছেলেটি বহিরাগত।

পরে ওই মেয়েটির মায়ের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, আমার মেয়ের সাথে ওর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ওই ছেলের চেহারাটা দেখেছ, তার সাথে কী মেয়ে বিয়ে দেয়া যায় !!

প্রিয় ব্লগারবৃন্দ, চিন্তা করেছেন কী একবার, অভিবাবকের কী বক্তব্য প্রেম করা যাবে কিন্তু বিয়ে দিলেই প্রেসটিজ পাংচার।

এখন আমার প্রশ্ন একজন নিরীহ ছেলেকে ইভটিজার বানিয়ে শাস্তি দেয়ার নামকি ????

আমার প্রশ্ন, ছেলেদের ক্যান্টিনে একজন মেয়ে প্রবেশ করে ফেললে তাকে আধুনিকা বলা হয়, অথচ মেয়েদের ক্যান্টিনে ভুল বশত ছেলেরা প্রবেশ করে ফেললে তাকে টাংকীবাজ বলা হয় কেন????



ইভটিজিং এর জন্য দায়ী কী শুধুই ছেলেরা, মেয়েরা কী দুধে ধোয়া তুলসী পাতা/ মক্কার খেজুর???

ধিক ওইসব মেয়েদের, গার্ডিয়ানদের।।।
৫৩টি মন্তব্য ৪৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রোএক্টিভিটি এবং কম্পাউন্ড ইফেক্ট: আমার গুরুত্বপূর্ণ দুইটি শিক্ষা

লিখেছেন মাহদী হাসান শিহাব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১



আমার গুরুত্বপূর্ন দুইটা লার্নিং শেয়ার করি। এই দুইটা টুল মাথায় রাখলে দৈনন্দিন কাজ করা অনেক সহজ হয়। টুল দুইটা কাজ করতে ও কাজ শেষ করতে ম্যাজিক হিসাবে কাজ করে।

এক.

স্টিফেন কোভের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

লিখেছেন সায়েমার ব্লগ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৩

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ
ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

১।
যৌন প্রাকৃতিক, জেন্ডার নয়।জেন্ডার মানুষের সৃষ্টি (social, cultural construction)। যৌনকে বিভিন্ন সমাজ বিভিন্ন সময়ে যেভাবে ডিল করে, তাঁকে ঘিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্মৃতির ঝলক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনুভূতি এবং মনের শান্তির খোঁজে

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০১



সরল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণে একটি ঘূর্ণায়মান পথ জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর অবস্থানে আমি খুব শান্তি অনুভব করি। নদীর জল ছুঁয়ে পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে এক আন্তরিক সংযোগ অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×