somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিলম্বিত বোধদয়

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাহবুবুল আলম //

সম্প্রতি মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় ইংরেজী দৈনিক দি ডেইল স্টারের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেসরকারী টেলিভিশন এটিএন নিউজে ‘টকশো’তে প্রশ্নের মুখে ডেইলি স্টারের প্রকাশক ও সম্পাদক মাহফুজ আনাম গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, দায়িত্বশীলতা নিয়ে কথা বলেছিলেন। সে অনুষ্ঠানে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সূত্রবিহীন খবর যাচাই না করে প্রকাশের জন্য সাংবাদিকতার ‘ভুল’ স্বীকার করেছেন ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। প্রথমে তিনি ২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ডেইলি স্টারের বিতর্কিত ভূমিকার প্রসঙ্গ শুরুতেই সঞ্চালক তুললে তা অস্বীকার করেন মাহফুজ আনাম। পরে অনুষ্ঠানের অন্যতম আলোচক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ‘হেড অব কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স ও এডিটোরিয়াল পলিসি কো-অর্ডিনেটর’ গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদও তখন ডেইলি স্টার নিয়ে নানা অভিযোগের বিষয়টি তোলেন। ২০০৭ সালে জরুরী অবস্থা জারির পর সেনাহস্তক্ষেপে গঠিত ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ডেইলি স্টারের ‘সমর্থন’ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। তার আগে সিপিডির উদ্যোগে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সহযোগিতায় দেশজুড়ে নাগরিক সংলাপে ‘বিরাজনীতিকরণের’ প্রচার চালিয়ে অসাংবিধানিক সরকারের প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছিল বলেন আলোচকরা। এক পর্যায়ে মাহফুজ আনাম স্বীকার করেন,‘এটা আমার সাংবাদিকতার জীবনে, সম্পাদক হিসেবে ভুল, এটা একটা বিরাট ভুল। সেটা আমি স্বীকার করে নিচ্ছি।’ তিনি আরও স্বীকার করেন যে, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সরবরাহ করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবরের সত্যতা যাচাই না করেই প্রকাশ করে তার সাংবাদিকতা জীবনের সব চাইতে বড় ভুল তিনি করেছেন। তিনি বলেছেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অসত্য খবরটি ছাপানো তার সাংবাদিকতার জীবনে সম্পাদক হিসেবে একটা বিরাট ভুল।
তাঁর এই বিলম্বিত দায় স্বীকার নিয়ে সচেতন নাগরিক সমাজে আলোচনা সমালোচনা চলছে। এমন কি দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির মামলাও হয়েছে। তবে দেশের অনেক সাংবাদিক ও জনাব মাহফুজ আনামের কলিগরা তাঁকে ডিফেন করতে গিয়ে বলেছেন,‘মাহফুজ আনামের এ ভুল স্বীকার তার মহানুভবতারই পরিচায়ক। কিন্তু তিনি তার পত্রিকায় একটি মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন বা ছাপিয়ে শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও বিনাদোষে এক বছরের মতো কারাবাস, এ নিয়ে কিন্তু কোন কথা বলেননি। সাংবাদিকরা সাংবাদিকদের পক্ষে কথা বলবেন বা তাকে ডিফেন করার চেষ্টা করবেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। আমাদের দেশে সব পেশাজীবী মহলে সব সময়ই এমনটি হয়ে আসেছে তা আমরা দীর্ঘদিন ধরেই দেখে আসছি। এ নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে একটি ভুল বা মিথ্যা সংবাদ যে, একজন ব্যক্তি বা কোন কোন ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সমাজের কত বড় ক্ষতি করতে পারে তা আমরা ২০০৭ সালে সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ বিভিন্ন সামরিক শাসন আমলে দেখেছি।
সে যা হোক; ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলো এই দুটি পত্রিকার নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। কেননা দীর্ঘকাল পত্রিকা দুটি সাংবাদিকতার সুষ্ঠু নীতিমালা অনুসরণ করছে না দেশে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সময়ে আবদুল গফফার চৌধুরী, মাসুদা ভাট্টিসহ অনেক বরেণ্য সাংবাদিক ও কলামিস্ট, এই দুইটি পত্রিকার নিরপেক্ষতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন তোলেছে। অমর একুশে সঙ্গিতের রচয়িতা প্রখ্যাত সাংবাদিক গত বুধবার দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশিত তাঁর কলামে বলেছেন ‘নিরপেক্ষ সংবাদপত্র তো তারা নয়ই। বিগ বিজনেস, এক শ্রেণীর বিগ এনজিও এবং দেশের কায়েমী স্বার্থের পক্ষে তারা নিরপেক্ষতার নামে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার এমন বিরোধিতার নীতি গ্রহণ করেছিল, যা অনেক সময় দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও স্বৈরাচারী মহলগুলোতেও শক্তি যুগিয়েছে।”…তখনই অভিযোগ উঠেছিল ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলো পত্রিকা দুটি দেশে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের শাসনের অবসান ঘটিয়ে অসাংবিধানিক ও অনির্বাচিত সরকার দ্বারা দেশ পরিচালনার লক্ষ্যে ক্যাম্পেনের অংশ হিসেবে হাসিনাবিরোধী প্রচারণা শুরু করেছিল এবং সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও তাদের মাইনাস টু ফর্মুলাতেও সমর্থন জানিয়েছিল। অনেক পর্যবেক্ষকের অভিযোগ, পত্রিকা দুটির এই ভূমিকা দেশে গণতান্ত্রিক শাসনের সম্ভাবনা দূর করে সেনাশাসন দীর্ঘায়িত করার কাজে সাহায্য যোগাতে চেয়েছে। এটা শুধু সাংবাদিকতার নীতিমালা ভঙ্গ করা নয়, একটা অপরাধও। রাজনীতিকদের ঢালাওভাবে দুর্নীতিবাজ সাজিয়ে দেশের বিগ বিজনেস ও বিদেশী অর্থ পুষ্ট বিগ এনজিওর সমর্থিত কিছু এলিট ক্লাসের মানুষকে গুড গভর্নেন্সের ধারক বাহক হিসেবে তুলে ধরে অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার এই চেষ্টা আর যাই হোক দেশপ্রেমের পরিচায়ক নয়।’
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি সম্প্রতি তাঁর এক লেখায় বলেছেন,‘ ১/১১-র আমলটা যদি ফিরে দেখি তাহলে দেখতে পাই যে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে কেবল মিথ্যা সংবাদ কিংবা নির্যাতনের মুখে বিভিন্ন রাজননৈতিক নেতৃত্বের স্বীকারোক্তিই প্রকাশিত হয়েছে তা নয়, বরং গণমাধ্যম বিশেষ করে গণমাধ্যমের সম্পাদকগণ রাজনীতিবিদদের সরিয়ে তাদের জায়গাটি দখল করার চেষ্টায়ও লিপ্ত ছিলেন। ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো এই চেষ্টার অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে। আমরা জানি যে, ১/১১-র সরকার গঠনে ড. ইউনূস নেপথ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। পরবর্তীকালে প্রকাশিত বিভিন্ন সাক্ষাৎকার ও সংবাদ থেকে এও জানা যায় যে, তিনি আসলে ১/১১-র সরকারকে সামনে রেখে নিজে রাজনীতিতে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। এবং এই প্রক্রিয়ায় মাহফুজ আনাম যে ভূমিকা পালন করেছিলেন তাও এখন আর গোপন নেই। যে রাজনৈতিক দল ড. ইউনূস গঠন করতে চেয়েছিলেন তার দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি বা আহ্বায়ক হিসেবে মাহফুজ আনাম কাজ করেছেন।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা চলছে। যার কিছু সার সংক্ষেপ এখানে তুলে ধরছি। কেউ কেউ বলছেন, এখন যখন দুঃখপ্রকাশের সময় এসেছে তখন মাহফুজ আনাম তার এই রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে একটু হলেও দুঃখিত কিনা? কারণ, দেশের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বকে নোংরা ও অসত্য দিয়ে আঘাত করে সেই জায়গায় নিজেদের রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার যে কূটকৌশল তারা গ্রহণ করেছিলেন তা কোনও সুস্থ ও স্বাভাবিক সময়ের কাজ নয়, রাষ্ট্রকে একটি অস্থিরতার মধ্যে ঠেলে দিয়ে তার ভেতর দিয়ে নিজেদের রাষ্ট্র পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা। আমার মতে, ডিজিএফআই সরবরাকৃত সংবাদ ছাপানো গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ না হলেও রাষ্ট্রকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা নিঃসন্দেহে বড় ধরনের অপরাধ।
আরও একজন বলেছেন,‘ মাহফুজ আনাম ১/১১ সরকার গঠনের অনেক পরে জুলাই মাসের দিকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্পর্কিত যে লেখাটি দিয়ে এখন আত্মপক্ষ সমর্থন করতে চাইছেন তা আসলে নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারার পরের ঘটনা, অর্থাৎ যখন ক্ষমতার খেলায় তিনি ও ড. ইউনূস আর পেরে উঠছিলেন তা তখন তার মনে হয়েছে যে, গণতন্ত্রকে এভাবে রক্ষা করা যায় না। বিলম্বে হলেও বোধোদয় হয়েছে বুঝতে পারি কিন্তু তাতে কি তার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা উচ্চাভিলাসের অতীত কর্মকাণ্ডকে ঢাকা যায়? যায় না। বাংলাদেশের ভাগ্য ভালো বলতে হবে যে, তখন ড. ইউনূস বা মাহফুজ আনামরা তাদের এই উচ্চাভিলাসকে চরিতার্থ করতে পারেননি, পারলে আজকে বাংলাদেশের অবস্থা কী হতো? সে কারণেই বলছি যে, সম্পাদক হিসেবে মাহফুজ আনাম আজকে ভুল স্বীকার করলেও, সে সময়কার তার রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা দখলের চেষ্টাকে তিনি কিন্তু আমাদের সামনে এখনও ব্যাখ্যা করেননি।
আরও একজন বলেছেন,‘২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনেও স্টার-আলো মিডিয়া গোষ্ঠীর একই ভূমিকা ছিল। তবে আরও একটু প্রচ্ছন্নভাবে। ২০০১ সালের নির্বাচনের সময়ে তাদের ভূমিকাটি দেশের মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছিল। ফলে তারা সতর্ক হয়েছেন। তাছাড়া সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কাজে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দান এবং সেই সরকারের মাইনাস টু ফর্মুলায় নীরব সম্মতিদানের ভূমিকা ধরা পড়ে যাওয়ায় ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় দুটি পত্রিকাকেই সতর্ক হতে হয়েছিল। কিন্তু গোঁফ দেখে যেমন শিকারি বিড়াল চেনা যায়, তেমনি ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময়েও ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর প্রচারণার ধারা দেখে অনেকেরই বুঝতে বাকি থাকেনি, এই মিডিয়া গ্রুপের আসল লক্ষ্যটা কি?
আমাদের মতো অনেকের কাছেই জনাব মাহফুজ আনামকে নিরপেক্ষ সাংবাদিক বলে মনে হয় না। তিনি কারো না কারো পারপাস সার্ভ করেন! মাহফুজ আনাম যে আসলে ড. ইউনূসের রাজনৈতিক দল গঠন-প্রক্রিয়ার অন্যতম কুশীলবও এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে ড. ইউনূসের যে ক্ষমতার লড়াই বিগত কয়েক বছর ধরে চলছে তাতে মাহফুজ আনাম ও তার পত্রিকা ডেইলি স্টার যে তার অতীত অবস্থান থেকে এক চুলও নড়েননি, তার প্রমাণ বার বারই পত্রিকাটির পাঠক পাচ্ছে। জন্মের পর থেকে না হলেও এই পত্রিকাটি দীর্ঘকাল ধরে নিরপেক্ষতার আবরণে আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনার যে সমালোচনা করে আসছে, তাতে হাসিনা-বিদ্বেষ ও আওয়ামী লীগ-বিরোধিতার ছাপটি লুকানো যায়নি।
শেষ করতে চাই এই বলেই যে, জনাব মাহফুজ আনাম নিজকে যতই নিরপেক্ষতার আবরণে ঢেকে রাখতে চাননা কেন, তিনি যে চরম শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিরোধী তা অনেকের কাছেই আজ স্পষ্ট। আজকে তাঁ এই যে বিলম্বিত বোধদয় তাও হতে পারে অন্য কোন চালাকী। হয়তো তিনি এখন বুঝতে পারছেন, বর্তমানে শেষ হাসিনার সমালোচনা করে তাঁর পত্রিকার জনপ্রিয়তা ধরে রাখা যাবে না। যেখানে বিশ্ব নের্তৃবৃন্দ ও দেশের সিংহভাগ মানুষ মনে করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে, তখন মাহফুজ আনাম গংদের সমালোচনা যে হালে পানি পাবে না তা বুঝে শুনেই হয়তো তাঁর এ বিলম্বিত বোধদয়।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×