বেশ কদিন ধরে শুধু মাথায় বিতর্কিত বিষয়গুলি আনাগোনা করছে। কি আর করা আমি তো আর সাহিত্যিক নয় যে সাহিত্য লিখব।
মাননীয় অ্যাডমিন মহোদয়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী রাজনৈতিক বিতর্কিত লেখার জন্য।
শিরোনামটি বড় দল রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল ব্যাক্তির।
আচ্ছা বিএনপি'র কথা কি মানুষের মনে আছে? তাদের সময় বাজার দর কি ছিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি কি ছিল? কারণ বর্তমান সময় মনে রাখতেই মানুষ হিমশিম খাচ্ছে সে সময় মনে রাখার মত অবস্থা কোথায়?
বাজারে সব জিনিসের দাম কমতে কমতে এখন আর মানুষের কিনতে ইচ্ছে করে না। বেঁচে থাকার তাগিদে কিনতে বাধ্য হয়। মোটা চাউল ৬৫টাকা পিয়াজের সেঞ্চুরী আটার হাফ সেঞ্চুরীসহ যেদিকেই তাকাই না কেন শুধুই তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার নাই। কারেন্ট বাতি না জ্বালালেও বিল আসে ২হাজার। সব ঘরে এনার্জি সেভিং এলইডি ১৫ওয়াটের শীত আসছে আর দখিনের বাসা হওয়ায় ফ্যান ঘোরাতে হয় না বলে চলতি মাসে বিল আসল ১২৮১টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের দাম সর্বনিম্ন হলেও আমাদের দেশে সর্বোচ্চ। রাস্তাঘাটের কথা না হয় বাদই দিলাম, ৫মিনিটের রাস্তা ২৫মিনিট তাও আবার কোমড়ের হাড্ডিগুড্ডি নড়িয়ে।
যা হউক আমরা অভাবী মানুষ আমাদের চোখে উন্নয়ন পড়ে না; পদ্মাসেতু ফ্লাইওভার, ৪লেন। কারণ এগুলি বড়লোকের বিরাট কারবার। সম্ভবত ১৯৮৭সাল থেকে শুরু হওয়া ঢাকা চিটাগং ৪লেনর কাজ আজও অসমাপ্ত। আর রেল লাইন সে তো ব্রিজ উদ্বোধনের আগেই পিলারে ফাটল। নাহ এসব আর না বলি।
গার্মেন্টস ট্রেডে কামলা খাটি মাস শেষে যা পাই তা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চলি। কামলা মানুষ তাই আয়কর সনদ সেই কবে করেছিলাম ব্যাংক লোন নেয়ার সময় আর হালনাগাদ করা হয়নি। কিন্তু এমাসে আয়কর অফিস থেকে এসে হুমকি দিয়ে গেছেন ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর বিবরণী দাখিল করতে হবে। তা না হলেই জরিমানা।
মোটামুটি আয় কর সীমার মধ্যে নূন্যতম করের উপরে যেহেতু সেহেতু কোন ব্যাপার না। না হয় হাল নাগাদ করে দিলাম জমা আয়কর বিবরণী, কিন্তু অধিকাংশের নূন্যতম কর সীমার অনেক নিচে কর আসছে তাদেরকেও ৪০০০টাকা কর প্রদান করতে হবে। আর ঢাকা শহরের মধ্যে নাকি ৫০০০টাকা।
আমার বাচ্চারা নিম্নমানের স্কুলগুলোতে পড়াতে হয়; এই চারহাজার টাকা একটা বাচ্চার স্কুলের সারা বছরের বেতন। অথবা একমাসের কাঁচা বাজার খরচ।
সরকারী স্কুলে পড়াবো সেখানে এখন আর পড়ানোর পরিবেশ আছে এমন কেও হলফ করে বলতে পারবে না। এই তোরা লেখ বলেই শিক্ষক শিক্ষিকারা টেবিলে মাথাগুজলেন আর মোইলে পুটুর পুটুর তো আছেই। আবার সাথে যোগ হয়েছে ফ্রিতে পাওয়া সিমে ইন্টারনেট।
সরকারী চিকিৎসকেরা রোগির চাপে দিশেহারা। তারা রোগী দেখার সময় পান না তাই চিকিৎসার জন্য একই ডাক্টারের চেম্বারে দৌড়ঝাপ পাড়তে হয় কোমড়ে টাকাগুজে। কিছু বলবেন তাদের চড় থাপ্পর তো খাবেনই সাথে পুলিশে দিয়ে বাড়ী ঘর বিক্রি করিয়ে ছাড়বে। তাড়া কষ্ট করে বাপের সম্পদ বিক্রি করে পড়া লেখা শিখিছেন কি সরকারে কয়টাকা বেতন নিয়ে ফ্রিতে রোগী দেখার জন্য।
অভাবী মানুষ একঘাট থেকে আরেক ঘাটে যায় বাঁচার তাগিদে। আপনাদের এত্তসব অবদানের পরও কি মনে করেন মানুষ বিএনপির কাজ খুজবে? আর আপনার দলের নিম্নস্তর থেকে শুরু করে উচ্চস্তর সবার মারমূখী আচরণই কি যথেষ্ঠ নয়?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮