সারা বিশ্ব যখন গবেষণায় মগ্ন সেখানে মুসলিমরা বিবি তালাক সাথে নামাজ/জিকিরের মধ্যম নিয়ে ব্যস্ত। একদল আরেকদলকে কি করে হেনেস্তা করবে; কিভাবে তাদের বিরুদ্ধাচার করে নিজেদের পাণ্ডিত্য প্রচার করবে সে চিন্তায় ব্যাতি ব্যাস্ত। এর মধ্যে আরেক দল আছে শুধু আল্লাহ আল্লাহ কর; আল্লাহ তোমাকে সব দিয়ে যাবেন, জাগতিক কোন চিন্তা তোমার দরকার নাই। কেও আছেন ১হাফেজ ১৪জন বেহেস্তে; তাই হাফেজ বানাও যত পার (শুধু মাত্র আরবীতে কোরাণ মুখস্ত, না জানে অর্থ না বোঝে তার মর্মার্থ) সে হাফেজ কোরান মোতাবেক চলুক বা না চলুক। তাদের সাথে নতুন যোগ হয়েছেন আমিন ও শেয়ার পার্টি। কোন কিছু পেলেই আমিন না লিখে যাবেন না, সুবহানআল্লাহ বলেন, ঝড়ের গতিতে শেয়ার করেন, বিদ্যুৎতের গতিতে হাত চালান ইত্যাদি। এই দোয়া পরেন ৭০জন ফেরেস্ত নেকি লেখায় প্রতিযোগিতা করবে, এ দোয়া পড়ে ঘুমান, মইরা গেলে বেহেস্ত, তমুক কাজ করেন চৌদগুষ্ঠি বেহেস্তে।
কোরাণ একটি জীবন বিধান। জীবন কিভাবে অতিবাহিত করবেন তার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া আছে। মুসলিমরা যদি তাদের ধর্মগ্রন্থও মেনে চলত তা হলে আজ তাদের এই দুরাবস্থা হয় না। আল্লাহ বলছেন -তোমরা সালাত আদায় কর এবং হালাল রুজির সন্ধানে বেরিয়ে যাও। - আবার তোমরা জিহাদ কর- এই জিহাদের এখন একটাই সঙ্গা জানে অধিকাংশ মুসলিমেরা তা হল মারো অন্যজনকে। নিজের সাথে জিহাদে আমরা প্রস্তুত না। আমরা দিব্যি ঘুষের টাকা পকেটে নিয়ে মসজিদে যাচ্ছি, দান করছি, বাহাবা কামাচ্ছি। আর শুকুরের মাংস হারাম বলে দুরে ঠেলে দিচ্ছি। প্রথম হিজাদ করা দরকার নিজের কু-প্ররোচনার বিরুদ্ধে যেন খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বাচাতে পারি।
এরপর ভিন্নধর্মীরা আমাদের মাঝে ঢুকিয়ে দিয়েছে আরে ইসলাম তো শান্তির ধর্ম তুমি কেন অস্ত্র বানাবে তুমি কেন যুন্ধ করবে, তুমি থাকো মসজিদে। তোমার পড়া লেখার দরকার নাই; আল্লাহ বেহেস্তে থেকে তোমার জন্য খাদ্য পাঠাবো, তুমি বসে বসে খাবে আর বিবি নিয়ে বাচ্চা ফুটাবে। ব্যাস আমরাও বসে পড়েছি সে মোতাবেক। আজ সর্ব বৃহৎ কোরাণ শরিফ তৈরী করে মুসলিমেরা কিন্তু সর্ব বৃহৎ এটমিক বোমা বানাতে পারে না। আজ ৬বছরের বাচ্চাকে কোরাণ হাফেজ বানাতে পারে কিন্তু সেই বাচ্চা টর্চলাইটের পাছাই ব্যাটারি পুরতে পারে না। সর্বপরি নিজের নিরাপত্তায় তারা পুরোপুরি ব্যার্থ। ইসলামের সেনাপতি খালিদ প্রায় ৫৮টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষায় ও সমাজের কল্যানে আর আজ মুসলিমরা অস্ত্রের কথা শুনলেই নাউজুবিল্লাহ বলে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। আজ মুসলিমদের না আছে নিজের নিরাপ্তা দানের ক্ষমতা না আছে তার জাতির নিরাপত্তা দানের ক্ষমতা। বিশ্ব আনাবিক বোমা বানায় আর আমরা তাদের ফেলে দেয়া অস্ত্র কিনে সাজসজ্জা করি।
টিস্যু পেপার যেমন হালাক বাতাসেই নড়াচরা করে মুসলিমদের অবস্থাও তাই; তারা পাতলা হতে হতে এখন টিস্যু পেপারের মত।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৪