৪জনই কিশোর, তিনজনের বয়স বড়জোর ১২/১৩ অন্যজন ১৬/১৭ যিনি দলের কমান্ডর। ঘর গেট থেকে একটু ভিতরে আর সেই সুযোগে গাছে উঠে ব্যাগ ভর্তি করছে।
এদের এই কর্ম দেখে রাস্তার একজন বলল - এই তোমরা চুরি কর কেন? সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল- ঐ--- তোর বাপের গাছ, একদম খাইয়া ফালামু।
যদি ধরা পড়ে বড়টা দৌড়ে পালাবে, তাদের মধ্যে থেকে ছোট বা দুর্বলটা ধরা পরবে। বাড়ীওয়ালা ভদ্র ও বিনয়ী হলেও রাগের বসে চড় থাপ্তর দেয়াটা অস্বাভাবিক নয়। আর যদি সহনশীল না হয় তা হলে তা হলে হয়তো বেধে রাখবে; চরথাপ্পরের মাত্র বাড়বে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসবে মিডিয়া (এদেশে কাক আসতে দেরি হলেও মিডিয়া আসতে দেরি হয় না); সমাজের বুদ্ধিজীবি মহল; জ্ঞানীগুনী ব্যাক্তি; শুরু হবে গাছের মালিকেকে খিস্তি খেউর; আর ভিডিও ভাইরাল করতে পারলে তো কথাই নাই। হতে পারি পত্রিকার খবরও (কদিন আগে একজনার তরমুজ চুরি করে খাওয়ার অপরাধে চুল নেড়া করে বড় বিপদে পরেছিল লোকটি)
কথায় আছে কাচা আমে জিভে জল আনে কিন্তু তারও একটা সীমাবন্ধতা আছে। নিতান্তই শখের বসে ২/৪টা চুরি করা আর ব্যাগ ভর্তি করে পারার মধ্যে অবশ্যই কিছু পার্থক্য আছে। যেটা আমরা আবেগের বশবর্তী হয়ে ভুলে যায়। এই আমগুলি তারা বাড়ীতে নিয়ে যাবে, যদি তার পরিবার ভালো হত তা হলে অন্যের শাসনের দরকার পরত না বাবা-মা এমন শাসন করত যে আর আম ঘরে আনার সুযোগ পেত না। এছেলে গুলি পারিবারিক মদদে এগুলি করে এতে কোন সন্দেহ নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই দলগুলিই ছিনতাই; বাসা বাড়ীর চুরি থেকে সকল অপরাধ করে ঘরে ফেরে এবং তারদের পরিবার তাদের আশ্রয় পশ্রয় দিয়ে বড় করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৮