বাতাস খেলে যায় অবিন্যস্ত চুলে,
গোধূলির রাঙা আবীরে বিমোহিত মন
অ-প্রেমে গা ভাসিয়ে দিয়ে সময় অসময়ে
কাকও কোকিলের কণ্ঠ অনুকরণে ব্যস্ত।
ভালোবাসার ব্যাখ্যা জানতে চেয়োনা কখনো,
ভালোবাসার সঠিক সংজ্ঞা-ও অনাবিষ্কৃত;
প্রেমের বহু রূপ দেখেছি অতীত, বর্তমানে
আড়ালে আবডালে কিছুটা চোখাচোখি ইঙ্গিত,
শুধু সেই বোঝে-যে সাঁঝ বেলাতে কাজল আঁকে।
এইতো সেদিনের ঘটনা দ্যাখনি?
দুই সন্তানের জননী ঘর ছেড়ে পালালো!!
বয়সের তোয়াক্কা করেনি একবারও,
কিংবা লোকলজ্জার ভয়ে সিটিয়ে থাকেনি
হাড় জিরজিরে সংসারের জরাজীর্ণ দেয়ালে;
পাপের হিসেব নিকেশ, সেতো অন্তিম শয্যায়
আগে কাঁচা মনের হিসেব মিটিয়ে নিতে হবে,
একটা চকচকে আধুলি স্লিভলেস ব্লাউজের
ভাঁজে ভাঁজে রেখে আঙ্গুলের কড়া গুনে চলে,
ইশারায় জানিয়ে দেয়, আর মাত্র কয়েকঘন্টা
তারপরই কোজাগরী পূর্ণিমার লগ্ন কেটে যাবে;
ঘর ছেড়ে পালানোর এইতো মোক্ষম সুযোগ!!
অতি উৎসাহী কেউ কেউ প্রশ্ন করে বসে,
এই বয়সে এসব না-করলেই কি নয়?
অতঃপর ইনিয়ে বিনিয়ে ব্যাখ্যা চলে প্রেমে,
কিন্তু ভালোবাসা'রা এতোটা বেপরোয়া চলে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০