প্রিয়জনের কাছে সব কথা বলতে নেই৷
সেটা দুঃখের হোক,সুখের হোক বা কোন ইচ্ছা৷
যেমন আমার এখন ইচ্ছা করছে চন্দ্রা তার সেই বেগুনী রংয়ের শাড়িতে দেখতে৷ ওকে বললেই ও শাড়িটা পড়ে হাজির হবে,কিন্তু কেন যেন বলতে ইচ্ছা করছে না৷
চন্দ্রা যদি কোন মতে শোনে আমি ট্রেনের রাস্তা ধরে হাটছি তবে ও চলে আসবে৷কিন্তু আমি চাইনা ও জানুক৷
পথ ধরে হাটতে হয় একা একা এখানে শুধু পথ আর পথিক দুজনই সংগী৷পথে বেশিক্ষন হাটলে পথের প্রতি এক ধরনের মায়া চলে আসে৷এই মায়া জন্মাতে বৈরাগী হওয়া লাগেনা৷শুধু পথকেই নিজের সংগী বানাতে হয়৷
চন্দ্রার সাথে আমার প্রথম পরিচয় একটু অন্যভাবে,
একদিন আমি রাস্তার ধারে বসে এক পথশিশুর (মানে আমরা যাকে টোকাই বলি) সাথে গল্প করছি অবশ্য মাঝে মাঝেই করি৷ চন্দ্রা অনেকদিন যাবৎ আমায় ফলো করছে৷ সেদিন হঠাৎই সামনে এসে শাসনের সুরে বললো আপনি এসব উদ্ভট কাজ করে বেড়ান কেন?কথা শুনে মন হলো আমি যেন ওর অনেক আগের চেনা কেউ৷ আমি বললাম কি করি?
রাগস্বরে বললো,এদের সাথে গল্প করেন,রাস্তায় একা একা হাঁটেন,ভিক্ষুকদের সাথেও রাস্তায় খাবার খান!
আমি বললাম ও আপনাকে সাথে রাখিনি সেজন্য রাগ করছেন?
চন্দ্রা আরও রেগে গিয়ে বললো আপনাকে যেন আর এসব পাগলামি না করতে দেখি৷
আমি বুঝতে পারলাম ও আমায় ভালবেসে ফেলেছে৷ কোন নারী তখনই কোন পুরুষের প্রেমে পড়ে যখন তার মাঝে অন্যসব পুরুষের চাইতে আলাদা কিছু তার মাঝে খুঁজে পায়৷
আর ওর আমার এইসব কর্মকান্ডই ভাল লেগেছে৷
সেই থেকে ওর সাথে কথা বলা শুরু৷আমি চন্দ্রাকে ইচ্ছা করেই দূরে দূরে রাখি৷প্রিয়জনদের বেশি কাছে কাছে রাখতে নেই তাতে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ঠিকই কিন্তু পরস্পরের প্রতি টান টা কমে যায়৷আমি চাই আমার প্রতি ওর এই টান টা এভাবেই সারাজীবন থাকুক.....