somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ক্লে ডল
কান্না হাসির এই খেলা ঘরে।আমি এক জীবন্ত মাটির পুতুল।সব খেলা সাঙ্গ হবে একদিন।অপূর্ণ স্বপ্নদের কাকুতি থেমে যাবে।মায়ার পৃথিবীর সাথে হবে চির ছাড়াছাড়ি।

কৃত্রিম বৃষ্টি বা ক্লাউড সিডিং

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কার্টুনে ত সবই হতে পারে। বন্দুকের নল দিয়ে টমের বুলেট হয়ে ছুটে যাওয়া থেকে শুরু করে জেরীর নিজের ১০০ গুন বড় হাতুড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এ সবই হয়। একদিন কার্টুন দেখছিলাম। দেখি, একটা কার্টুন মই এনে কোন কিছুতে ঠেস না দিয়ে দাড় করিয়ে দিল এবং তরতর করে মইয়ের একেবারে শেষ প্রান্তে উঠে গেল। ওখানে দাঁড়িয়ে লগা ( ফল পাড়ার লম্বা চিকন বাশ বিশেষ) দিয়ে তার জমির উপর মেঘ টেনে আনল। এবং বৃষ্টি আরম্ভ হয়ে গেল। কি মজা তাই না!!

ধরুন আপনি তীব্র গরমে হাৎপাৎ করছেন । আর কেউ এসে বলল, দাঁড়াও বৃষ্টি নামিয়ে দেয় এবং দিলোও তাই। কেমন লাগবে?

হ্যাঁ। মানুষ নিজের মর্জি মাফিক বৃষ্টি নামাতে সক্ষম হয়েছে। তাকে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত বলে। "কৃত্রিম বৃষ্টিপাত" নামটা আমরা সবাই কম বেশি শুনেছি। কিন্তু কিভাবে এই বৃষ্টিপাত ঘটানো হয় আসুন তাই জানি।
বর্তমানে অবশ্য লেজার বীম ব্যবহার করে মাটি থেকেই বৃষ্টি নামানোর কথা ভাবা হচ্ছে। তবে বৃষ্টি নামানোর ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হল বীমানে করে বায়ুমণ্ডলের নির্দিষ্ট স্তরে গিয়ে বৃষ্টি উৎপাদক পদার্থ ছড়িয়ে দেয়া। এভাবে বৃষ্টি উৎপাদনে সাধারণত দুটি পদার্থ ব্যবহার করা হয়।


ড্রাই আইসঃ এ হল কঠিনিত কার্বন ডাই অক্সাইড। প্রচণ্ড চাপে সংকুচিত করে কঠিনে রূপান্তরিত করা হয়। অত্যধিক ঠাণ্ডা, তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৭৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। অত্যধিক শীতল বলে সাধারণত কোনো কিছুর হিমায়ন ঘটাতে ড্রাই আইস ব্যবহার করা হয়।


সিলভার আয়োডাইডঃ ড্রাই আইস থেকে কিছুটা ভিন্ন। ড্রাই আইস যেখানে তার প্রভাবে আশেপাশের অণুগুলোকে বরফ কেলাসে পরিণত করে সেখানে সিলভার আয়োডাইড নিজেই কেলাস হিসেবে কাজ করে। সিলভার আয়োডাইড একটি দারুণ পানিপ্রেমী বা হাইগ্রোস্কোপিক পদার্থ।

এখন বলি কিভাবে এগুলোর সাহায্যে বৃষ্টিপাত ঘটানো হয়-

তুলা সাদা মেঘগুলো বায়ুমন্ডলের ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে ভেসে বেড়ায়। এটিই মেঘেদের দেশ। মেঘগুলো ততক্ষণ পর্যন্ত ভাসে যতক্ষণ বৃষ্টিপাতের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ভারী না হয়।মেঘগুলো যতই ঠান্ডা হোক না কেনো এমনকি তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে হোক, নির্দিষ্ট ওজন না হলে বা ঘনীভূত না হলে তা বৃষ্টি হিসেবে ঝরে পড়ে না। এবং ঘনীভবন প্রক্রিয়া প্রকৃতি নির্ভর।

আর কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে এ ঘনীভবন প্রক্রিয়াটি উক্ত দুটি পদার্থের মাধ্যমে ঘটানো হয়। বিমান দিয়ে ট্রপোস্ফিয়ারে মেঘের স্তরের উপরে উঠে পদার্থ ছড়িয়ে দিয়ে আসা হয়। ড্রাই আইস বা সিলভার আয়োডাইড ঘনীভবনে ভূমিকা রাখে। তবে ড্রাই আইস ও সিলভার আয়োডাইডের কার্যপ্রক্রিয়া কিছুটা ভিন্ন। মাইনাস ৭৮ ডিগ্রী তাপমাত্রায় থাকা ড্রাই আইস আশেপাশের পানির অনুগুলোকে কেলাসে পরিণত করে। আর অন্যদিকে দারুণ পানিপ্রেমী বা হাইগ্রোস্কোপিক পদার্থ হিসেবে খ্যাত সিলভার আয়োডাইড নিজেই কেলাসে পরিণত হয়। কাজের প্রক্রিয়া ভিন্ন হলেও কাজ কিন্তু একি। মেঘের কণা গুলো ভারী করা। এবং
কণাগুলো যখন ওজনের কারণে আর বায়ুস্তরে থাকতে পারেনা তখনি হুড়মুড়িয়ে ধরাধামে নেমে আসে।

অতি সরল ও সংক্ষেপে লিখেছি। বিস্তারিত জানতে চাইলে......
view this link
view this link
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×