দুশ্চিন্তার আকাঙ্ক্ষা
দুশ্চিন্তা করতে ইচ্ছা হয় মাঝে মাঝে,
রাতে শুয়ে খুব সন্দিহান হতে ইচ্ছা হয়।
“দরজাটা লাগিয়েছি ত!”
“ছিটকিনি আটকেছে ত”
আমার দুশ্চিন্তা আসে না।
আমি যে গাছতলায় থাকি।
আবদার। মহাকালের কাছে।
দিন যা য়,
বছর যা য়,
শতাব্দী যা য়,
সহস্রাব্দ বয়ে যা য়
মুক্তেশ্বরীর স্রোতে।
ঘ নো
ধূসর কুয়াশা
ধী রে, ধী রে, ধী রে
নামে প্রতি রাতে।
মুক্তেশ্বরীকে চুপিসারে বলে,
হে মহাকাল,
দিও স্বচ্ছ একটা আগামীকাল।
পাঁজরের অন্দরমহল
সেখানে হৃদপিণ্ড ছিল না, ছিল একখণ্ড পাথর
সে পাথরে বালি ছিল না, ছিল শুধু ক্ষোভের আস্তর।
বৃষ্টি হয়ে ঝরেনি কোন জল, অক্ষিকোটর বেয়ে
চাতকের মত অপেক্ষায় ছিল,আকাশ পানে চেয়ে।
ছন্দ যে প্রাণে থমকে গিয়েছে, বাড়াতে পারেনি পা
সে প্রাণের সঙ্গী কি শুধু, নিদারুণ বিভীষিকা?
জীবন! দরজা খোল!
মধ্যরাতে প্রায়ই শুনি। আকুতি।
“জীবন, দরজা খোল! জীবন, দরজা খোল”।
হয়ত কাছের কোন বাড়িতে।
কখনো মৃদু ,কখনো অধীর কড়া নাড়ার শব্দ।
ধীরে, আকুতি বাড়ে।
“ভয়ানক ঝড়! জীবন! দরজা খোল”!
জীবন দরজা খোলে না।
তারপর, মঞ্চ তৈরি হয়,
মজবুত নীরবতার মঞ্চ,
মেঘের জল চোখের জল সেখানে যুগলবন্দী নাচে।
দীর্ঘশ্বাসেরাও হয়ত কিছুক্ষণ ডানা ঝাপটে
একসময় সকাল আসে। সূর্যও হাসে।
কিন্তু জীবন দরজা খোলে না।
ব্যক্তি হারিয়ে যায় জনস্রোতে। আকুতি মিশে কোলাহলে।
মূক ও বধির। জীবন থাকে জীবনের মত,
ও আকুতি শোনে না। দরজাও খোলে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩০