হয়ত আমি হতাশার উপাসনা অনেক বেশি করেছি। তাইতো জীবনের তারগুলোতে বড় বিশৃঙ্খল হয়ে আচড় কেটেছি । ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। বড় বেসুরো আর কর্কশ হয়ে বেজেছে। আসলে তোমাতে অনেক বেশি মনোযোগী ছিলাম। চাইতাম আমাতে আছন্ন হয়ে থাকো। হ্যাঁ। আমার ঘোরে।আমার নেশায় বুদ হয়ে থাকো তুমি। কখন তোমার চোখের তারায় ঔদাসীন্যের ছায়া, কখন তোমার কথার মাঝে জিজ্ঞাসা চিহ্নের অভাব, কখন হৃদস্পন্দনে ছন্দপতন হচ্ছে। সব ধরা পড়ত আমার কাছে। সব।
কি যে আমার আমিত্বকে জাহিরের অশুভ শক্তি ভর করল! অভিমানী আমি একেবারে সব লণ্ডভণ্ড করে দিলাম।
তবে তুমি জানো ত আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। আমার মঙ্গল, অমঙ্গল, দুঃখ-সুখ যে তাঁর নিয়ন্ত্রণে। জিনিসটা আমি মেনেছি। নির্ঘুম রাত গুলোর গা বেয়ে গড়িয়ে পড়া জলের প্রতিটি বিন্দুর পারিশ্রমিক তিনি দিবেন। সেকথা নিজেকে বারংবার শুনিয়েছি। দমে দমে আমি প্রার্থনা করেছি লণ্ডভণ্ড করা সে ঝড় থামিয়ে দেওয়ার।
হা হা হা!! ঝড় শেষে আবিষ্কার করলাম। আমি তোমার বুকেই আছড়ে পড়েছি! কৃতজ্ঞতা সৃষ্টিকর্তার প্রতি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:০৮