somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেন্টমার্টিনে ডুবে যাওয়া রহস্য বনাম ভোঁদাই মিডিয়া

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ওদের সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার খবরটা শুনেছিলাম পহেলা বৈশাখ রাতে....আপনজন তো নয় তবুও মানুষ হিসেবে যতোটুকু মন খারাপ হওয়ার ততোটুকুই হয়েছিলো...টিভি, রিপোর্ট, পত্রিকার পাতা সবখানেই হারিয়ে যাওয়া তাজা প্রাণগুলোকে নিয়ে রিপোর্ট...আর ফেবুতে তো নানা ধরনের পোস্ট ওদের নিয়ে...কারো স্ট্যাটাসে হারিয়ে যাওয়া তরুণদের নিয়ে শোকগাঁথা..কারো স্ট্যাটাসে ওই দলের মৃত এক তরুণের স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে অলৗকিকতার ছোঁয়া...কারো বা এক সেকেণ্ডের নাই ভরসা টাইপ পোস্ট...আরো কতো কী...কেউ কেউ দেখলাম গুগল আর্থ থেকে সংগৃহীত ছবি দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের মৃত্যু ফাঁদ নিয়ে সম্যক জ্ঞান দিচ্ছেন...সবই বুঝলাম, দেখলাম...কিন্তু আসল জিনিস কাউরে লেখতে দেখলাম না...কোন পত্রিকাও লেখলো না..কোন টিভি দেখাইলো না...কোন রেডিও গাইলো না....
এর মধ্যে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আবার বললেন, এখন থেকে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে গেলে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে (যদিও আমার মোটা মাথায় কিছুতেই ঢুুকছে না অনুমতির সঙ্গে পর্যটক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কী সম্র্পক)। ভাবখানা এমন শুধু শিক্ষা সফরে গেলেই মানুষ সমুদ্র ডুবে মরে বাকিরা মরে না।
আর নববর্ষ উদযাপনে যে ৩৪ ছাত্র সেন্টমার্টিনে গিয়েছিলো তারা কিন্ত শিক্ষা সফরে যায়নি তারা গিয়েছিলো নিজ উদ্যোগে আনন্দ ভ্রমনে। তাই তাদের পর্যটক হিসেবে ট্রিট করতে হবে। আর পর্যটক হিসেবে গননা করলেই যে বিষয়টি প্রথম মাথায় আসে তা হচ্ছে ‘নিরাপত্তা।’ সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার, ইনানী, পতেঙ্গা অথবা কুয়াকাটা এই সমুদ্র সৈকতগুঅেতে পর্যটকদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা আছে তা যদি এই অধমরে বলতেন সকলে...
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে (প্রাথমিক পর্যায়ে) গড়ে তোলা ইয়াসির লাইফ গার্ডের কয়েকজন সদস্যকে দেখা যায় ইতিউতি ঘুরে বেড়াতে (তাগো অবস্থাও ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দার)...এছাড়া জোয়ার ভাটায় জেলা প্রশাসনের লাল-সবুজ পতাকা সার্ভিস ছাড়া আর তো কোন ব্যবস্থা চোখে পড়ে না...এটাতো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কথা কইলাম..সেন্টমার্টিন, ইনানী বা কুয়াকাটায় কোন লাইফগার্ড তো দূরের কথা পতাকাও চোখে পড়ে না...এইসব সমুদ্র সৈকতে কোন ডুবন্ত মানুষকে সাহায্যের জন্য একজন অভিজ্ঞ লোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না... তবে মানুষটি ডুবে মরেছে নিশ্চিত হলে কোস্টগার্ড, পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড ও মিডিয়াকর্মদের সহায়াতা পাওয়া যেতে পারে।
তাই বলি মামদোবাজি ছাড়েন সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যা যা করনীয় তা করেন...তা না হইলে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত আর অপরূপ সৌন্দর্যের প্রবাল দ্বীপ বইলা বইলা মুখে ফেনা তুইলা ফালাইলেও সমুদ্রের গোড়ালি পানিতে পা ভিজিয়ে চলে আসার মতো পর্যটক খুঁজে পাবেন না সামনে...
সমুদ্রে মানুষ নামবেই তাকে সর্তক করার দায়িত্ব আপনাদের...তার নিরাপত্তার দায়িত্বও আপনাদের...বিপদে পড়লে উদ্ধারের ব্যবস্থার দায়িত্বও আপনাদের...‘জোয়ারের সময় পানিতে নামবেন না’ শুধু দায়সারা এই টাইপের বিলবোর্ড লিখে পার পাবেন না...নাহলে আজ মরেছে ওরা ৬ জন কাল হয়তো লিস্টে আপনার সন্তান...থুক্কু অাপনাদের সন্তানরাতো আবার অস্ট্রিলিয়া আর ইউএস এর বীচ ছাড়া নামে না...আর ওখানে ওদের নিরাপত্তায় আছে পামেলারা...আহারে বে-ওয়াচ...
শুনেন শেষ কথা কই, অন্য কোন দেশ হইলে এইভাবে ৬ টা ছেলের মৃত্যুর কারনের সুলুক সন্ধানে স্থানীয় প্রশাসনকে ছিঁড়ে ফেলতো মিডিয়া...আপনাগো কপাল ভালো এই দেশের মিডিয়াতে আমার মতো ভোঁদাইরা কাজ করে...তবে মনে রাখবেন আজকের ভোঁদাই আগামীর ভবিষ্যত...তাই সাবধান!
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×