ফ্রান্সিসকো লেন্তিনি- মানব ইতিহাসে ব্যতিক্রমী এক পুরুষ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
মানব ইতিহাসে ব্যতিক্রমী শারীরিক গঠনের অধিকারী ফ্রান্সিসকো লেন্তিনির জন্ম ইতালির রোসলিনি নামক স্থানে। লেন্তিনি তার শরীরে মোট তিন পা , দুটি সম্পূর্ণ পুরুষ জননতন্ত্র এবং একটি অপূর্ণাঙ্গ পাদদেশ নিয়ে ভুমিষ্ট হন। নেন্তিনির ৩নং পা-টি সৃষ্টি হয়েছিল অবিকাশিত জমজ ভ্রুণ থেকে যেটি তার শরীরের ডান দিকের নিতম্ব থেকে শুরু হয়েছিল এবং অপূর্ণাঙ্গ পাদদেশটি হাটুর সংযোগস্থলে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। এভাবে অস্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়া নেন্তিনির তিন পায়ে সর্বমোট ৪টি পায়ের পাতা এবং ১৬ টি আংগুল ছিল। জন্মের পর নেন্তিনির অদ্ভুত শারীরিক গঠন দেখে তার পিতা মাতা তাকে প্রত্যাখ্যান করলে তার খালা তাকে প্রতিবন্ধী শিশু আশ্রমে স্থানান্তরিত করেন। নেন্তিনি নিজেও তার দেহের অতিরিক্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এর কারণে আত্মগ্লানিতে ভুগতেন । তার শরীর নিয়ে কেউ যাতে উক্তি করতে না পারে এই জন্য তিনি আশ্রমে কেবলমাত্র অন্ধ, বধির , বোবা শিশুদের সাথে সখ্যতা বজায় রাখতেন। এভাবে তিনি আশ্রমে থেকে পদব্রজে ভ্রমণ, স্কেইটিং, রশিধরে লম্ফ ঝম্ফ ইত্যাদি খেলার কৌশল রপ্ত করেন। তাছাড়া তিনি ৩ নং পা দিয়ে সজোরে ফুটবলে লাথি দিতে পারতেন যা ছিল তখন অনেকের কাছে বিস্ময়ের ব্যাপার। অবশেষে শিশুকাল থেকে কিশোর জীবন আশ্রমে পার করার পর ১৮ বছর বয়সে লেন্তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ইতালি ত্যাগ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এসে লেন্তিনি সার্কাস দলে যোগদান করেন এবং অবাক করার মত ফুটবলে লাথি দিয়ে সেখানকার দর্শকের মন অতিদ্রুত জয় করে নেন। এক পর্যায়ে এসে তিনি দর্শকদের কাছে " দি গ্রেট লেন্তিনি " নামে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন। লেন্তিনি তার ৩ নং পা দিয়ে চমৎকারভাবে সজোরে লাথি মেরে ফুটবল গ্যালারী পার করে দিতে পারতেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকের কাছে "তিন পাওয়ালা ফুটবলার" নামে পরিচিত ছিলেন।
যাহোক জন্মের পর লেন্তিনির পা তিনটি যদিও সমানতালে বেড়ে উঠছিল কিন্তু বয়ঃবৃদ্ধির সাথে সাথে তার তিন নং পায়ের বৃদ্ধি লোপ পেতে থাকে। তাছাড়া তার সামনের দুটি পা একটি অপরটির চেয়ে কয়েক ইঞ্চি ছোট বড় হওয়ার কারণে লেন্তিনির তিনটি পা থাকা সত্বেও একজোড়া সদৃশ্য পা ছিল না ।
১৯৬৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার জেকসনভিল শহরে ৭৭ বছর বয়সে লেন্তিনি ইহকাল ত্যাগ করেন ।
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
হার জিত চ্যাপ্টার ৩০
তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবনাস্ত
ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে
প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের দাদার দাদা।
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।
আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?
আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন