ছবি : গুগল
ডায়রিয়া রোগীরা যেমন ল্যাট্রিনের দিকে ঘনঘন ছুটাছুটি করে, পহেলা বৈশাখে মেয়েরাও তেমনি পার্লারের দিকে ছুটাছুটি করে।
নারীরা বই নয়, অলংকার উপহারে খুশি হয়।
ধৈর্যহীনরা বেশি অসুখী।
প্রকাশনা ব্যবসার মূল তত্ত্ব হলো কৈ’র তেল দিয়ে কৈ ভাজা!
বাংলাদেশে বোরকা পর্দা নয় বরং ফ্যাশন হিসেবেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
স্ত্রী এবং লেখক উভয়ই প্রতিনিয়ত প্রশংসা কামনা করে।
মেহমানের উপস্থিতিতে গ্রামের মানুষ খুশি আর শহরের মানুষ বিরক্ত!
বিয়ের অনুষ্ঠানে অবিবাহিত তরুণ তরুণীদের মুখ্য উদ্দেশ্য দাওয়াত খাওয়া নয়, নিজেকে মেলে ধরা।
যে পরিবারে স্ত্রীর মেজাজ খিটখিটে সে পরিবার সবচেয়ে বেশি অসুখী।
জীবিতাবস্থায় যারা পিতা-মাতার ভরণ-পোষণেরও দায়িত্ব নেয় না, মৃত্যুর পর তারাই পূণ্যের আশায় শ্রাদ্ধের আয়োজন করে।
বই ধার নেওয়ার পরই সৌখিনগণ পাঠক ভুলে যান বই ফেরত দেওয়ার কথা।
অন্যত্র বিবাহিত প্রেমিকা পরবর্তীতে প্রেমিকের বোন হয়ে যায়।
ছাত্রীর সাথে স্বামী উপস্থিত থাকার মুহূর্তে অনেক প্রিয় আর পরিচিত শিক্ষকও সহসা অপরিচিত হয়ে যায়।
শিক্ষকদের বেলায় যা বেতন, ইমামদের বেলায় তা-ই হাদিয়া।
বিবাহিত প্রেমিকের উপস্থিতি নিশ্চিত হলেই পুরনো প্রেমিকা অভিমানের ঘ্রাণ গায়ে মেখে মুক ও বধির হয়ে যায়!
মারফতি ধারার পুরুষ জানে-নারী হলো নদীর মতো! সেখানে ছোটো-বড়ো, ধনী-গরিব সকলেই বিধিনিষেধ ছাড়াই অবগাহন করতে পারে।
তাল ছাড়া যেমন ফাল ওঠে না, তেমনি লেবাস না ধরলেও যথাযথ সম্মান মিলে না।
প্রতিভাধারী কেউ পদে ওপরে উঠলে প্রথম হিংসাময় বাহ্বা প্রকাশ করে তারই কাছের বন্ধুরা।
স্ত্রী স্বামীর সেবা-যন্তে উদাসীন হলে সে স্ত্রীর প্রতিও স্বামীর অনাস্থা চলে আসে।
বেশি কথা বললে বেশি ভুল হওয়ার সম্ভাবনা যেমন থাকে তেমনি মাফ চাওয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
অডিও ক্যাসেটের জায়গা নিভৃতে দখল করে নিয়েছে সিডি, আর হস্তলিখিত ব্যানারের জায়গা দখল করে নিয়েছে ডিজিটাল ব্যানার!
বাংলাদেশের সব দোকান, অফিস কিংবা গৃহে ডাস্টবিন রাখা বাধ্যতামূলক করলে পরিবেশ দূষণ অর্ধেকেরও বেশি কমে যাবে।
উচ্চপদস্থ লেখকের সার্কেল সৃষ্টি হয় উচ্চপদস্থদের সাথেই।
যারা কথা বেশি বলে তারা কম কাজ করে।
মিথ্যে দিয়েই সত্যকে জয় করতে হয়।
মুনশি আলিম
জাফলং, সিলেট
[email protected],
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২০