রাগীব রাবেয়া মেডিকেলের বহির্বিভাগে ছেলেকে দেখানোর জন্য যথারীতি নিয়ম মেনে টিকেটের লাইনে দাঁড়ালাম। টিকেটের জন্য পাবলিকের ভিড়ও ছিলো চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর সিরিয়ালের সুযোগ এল। টিকেট কাউন্টারের কর্তব্যরত ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন-নাম কী? আমি হাসি মুখেই বলি-নাবহান আলভি মুক্ত। বয়স জিজ্ঞেস করার আগেই বললাম চার দিন।
ভদ্রলোক ইশারায় বললেন পাশের লাইনে গিয়ে দাঁড়াতে। আমি ভিড় থেকে দ্রুত পাশের লাইনে গিয়ে সিরিয়াল ধরি। নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতেই কর্তব্যরত অপর মহিলা প্রেসক্রিপশনটিকেটটি আমার হাতে দিলেন।
ছেলের নামের প্রথম প্রয়োগের অপার কৌতূহল থেকেই আমি প্রেসক্রিপশনটিকেটের নামের দিকে তাকাই। বিস্ময়ে আমার চোখ তো ছানাবড়া হওয়ার মতো অবস্থা!
টিকেট কাউন্টারের কর্তব্যরত ব্যক্তি ছেলের নাম লিখেছে-নাবহান আলভি গুপ্ত! প্রথম প্রায়োগিক ব্যবহারে ছেলের নামের বিবর্তন দেখে ভাবছি- মা-বাবা উভয়ের সম্মতিতে রাখা ছেলের নামটির অস্তিত্ব শেষপর্যন্ত থাকবে তো?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯