somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে ৫টি প্রধান কারনে কমমূল্যের স্মার্টফোন কিনবেন না ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




এখন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস মাত্র ৩০ ডলারে পাওয়া যায় তাও কন্ট্রাক্ট ছাড়া ।অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকার হিসেবে প্রায় ২৫০০ টাকা মাত্র।আর সস্তা ডিভাইসেতো আর সব সুবিধা পাওয়া যায় না।এছারাও যেখানে আপনি একটি স্যামসাঙ এর মোবাইল কিনতে হচ্ছে ২০-২৫ হাজার টাকা দিয়ে সেখানে একইরকম কনফিগ এর মোবাইল পাচ্ছেন মাত্র ৮-১০ হাজারে। আর অনেকেই কমমূল্যের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন কিনে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। এর কারন হচ্ছে কমমূল্যের অধিকাংশ স্মার্টফোনই নিম্নমানের হয়ে থাকে।আর এর অসুবিধাগুলো নির্ভর করে ব্যবহারের উপর।ব্যবহার যদি শুধুমাত্র বেসিক কাজেই হয় তাহলেতো আর সমস্যা হবে না।বেসিক কাজ গুলো হচ্ছে কল,টেক্সট এবং লিমিটেড ইন্টারনেট ব্রাউজিং। আর শুধুমাত্র এই কাজ করেতো আপনি অ্যান্ড্রয়েডের মজাই পাবেন না।কারন অ্যান্ড্রয়েডের জগৎ যে অনেক বিশাল। কথায় আছে “দুধের স্বাদ ঘোলে মিটে না। ” কমমূল্যের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস না কেনার অনেকেগুলো কারনের মাঝে আমি আজকে আপনাদের প্রধান কয়েকটি কারন বলব।আমার বিশ্বাস এই প্রধান কয়েকটি কারনের জন্য আপনি কমমূল্যের ডিভাইস পরিহার করলে ভাল হবে।

কারন ১: নিম্নমানের টাচস্ক্রিন :

বেশিরভাগ কমদামী স্মার্টফোনই নিম্নমানের টাচস্ক্রিন সম্পন্ন হয়ে থাকে।এইক্ষেত্রে টাচ ঠিকমত কাজ করে না।অর্থাৎ আপনার ট্যাপ ওনুযায়ী রেসপন্স করে না। অ্যান্ড্রয়েড এর ভাল অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য ভাল টাচস্ক্রিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আপনি একটু অনুমান করলেই বুঝতে পারবেন। যদি আপনি বিভিন্ন অ্যাপস এবং মুভি ঠিকমত চালাতেই না পারেন তাহলে অ্যান্ড্রয়েডের মজা কিভাবে পাবেন? গেম টা যদি স্ক্রিনে প্রানবন্ত না দেখায় তাহলে খেলে কি মজা পাওয়া যাবে?

কারন ২: ধীর গতির প্রসেসরস + অল্প RAM :

একটু উন্নত মানের স্মার্টফোনে এখন ডুয়েল কোর প্রসেসর এভিলেবল।শুধু তাই নয় এখন কোয়ার্ড কোর প্রসেসর ও পাওয়া যাচ্ছে হামেশাই।অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের প্রসেসিং পাওয়ার ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছে এবং নতুন অ্যাপ গুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হচ্ছে যে সেগুলো মাল্টিপল কোর প্রসেসর এ ভাল কাজ করবে। বর্তমানে বেশিরভাগ গেমেরই অ্যাডভ্যান্টেজ পাওয়া অ্যাডভান্সড GPUs এ। সাধারণত সস্তা স্মার্টফোন গুলোর প্রসেসর সিংগেল হয়ে থাকে এবং প্রসেসর ১গিগা হার্জের চেয়েও কম হয়ে থাকে। এমনকি কম দামের মদ্ধে কোয়াড কোর অ পাবেন তবে দেখা যাবে সেটা ভাল ব্র্যান্ড এর ডুয়াল কোর এর চেয়েও খারাপ পারফর্মেন্স দিচ্ছে! এছারাওএমন GPUs থাকে যে গ্রাফিক্যালি অ্যাডভান্সড গেম গুলো রান হয় না। যদি আপনি সস্তা ডিভাইস পছন্দ করেন তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই আপনি তেমন ভাল হার্ডওয়ার পাবেন না যেটা আপনাকে অ্যাডভান্সড অ্যাপস গুলো ব্যবহারে সহায়তা করবে। যদি আপনি আজকে সস্তার প্রতি ঝুকে থাকেন তাহলে আগামীকালের বিপত্তির জন্যও প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন।
অল্প পরিমানের RAM, Android OS কে বাধ্য করবে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থকা অ্যাপকে কিল করতে।আর এর কারন হবে আপনার নতুন অপেন করা অ্যাপের RAM কভারেজ করার জন্য।কমদামের অ্যান্ড্রয়েডে RAM ৫১২ এমবি অথবা তারও কম হয়ে থাকে। অ্যাপ যত বড় পরিমানের হবে তার RAM ক্ষুধা তত বেশি হবে। গুগল ইতোমধ্যে অ্যাপ সাইজের লিমিট ৪জিবি করেছে। তাই আপনার RAM খাদক অ্যাপগুলোর ক্ষুধা মেটাতে নূন্যতম ১ এমবি RAM থাকা প্রয়োজন।

কারন ৩: নিম্নমানের বিল্ডিং-মেটেরিয়াল :

অনেক্ষেত্রে প্লাস্টিকের উপরে গ্লাস অথবা স্টিল ব্যবহার করা হয়ে থাকে আমি সেই রাস্তার কথা এখন বলতে চাচ্ছি না।যদিও প্লাস্টিকের মজবুতি ভেরি করে অনেক। আপনি অবশ্যই চাইবেন আপনার ফোনটি কয়েক বছর ব্যবহার করতে,আর এই সময়ে আপনার ফোন কনক্রিটের মেঝেতে পড়তে পারে। চান্দি গরম হইলে মাঝে মাঝে আছাড়াও দিতে পারেন।আবার পানিতেও পড়তে পারে। বর্তমানে একটু উন্নত মানের স্মার্টফোনে গরিলা গ্লাস ব্যাবহার হচ্ছে যেটি থাকলে আপনার স্ক্রিনে স্ক্র্যাচ পড়বে না। শুধু তাই নয় কিছু স্মার্টফোন আছে ওয়াটার প্রুফ।ইচ্ছা হলে মাঝে মাঝে মোবাইল গোসল করতা পারবেন। বেশিরভাগ কমদামী মোবাইল একবার পড়লেই চিঁচিঁ শব্দ করে।শুধু তাই নয় যত আজিব শব্দ আছে সবই শোনাবে আপনাকে। আর অল্প কয়েক মাসের মাথায়ই আপনার স্ক্রিনে আর ব্যাকপার্টে যে স্ক্র্যাচ পড়ে ভরে যাবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কারন ৪: অ্যান্ড্রয়েড আপডেটস :

আপনি জানেন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন কোম্পানি গুলো তাদের টপ ডিভাইস গুলোতে অ্যান্ড্রয়েড আপডেটের ক্ষেত্রে কত স্লো! কয়েকটি কোম্পানি অ্যান্ড্রয়েডের নতুন ভার্সন কিটক্যাট (৪.৪) নিয়ে এসেছে। কিন্তু অনেক ডিভাইসেই এই অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আপডেট দেয়ার কোন সুযোগ নেই। কমদামের বেশিরভাগ ফোনেই এই সুবিধা থাকে না।ফলে আপডেট ভার্সন থাকা সত্তেও আপনাকে ব্যাকডেটেড থাকতে হবে। অন্যদিকে উন্নত মানের ডিভাইস গুলোতে রয়েছে এই আপডেট দেয়ার সুবিধা।

কারন ৫: ওয়ারেন্টি :

একটি ভাল স্মার্টফোন এখন ২০০ ডলারেরও কম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনি ১ বছরের ওয়ারেন্টি পেয়ে থাকবেন। তবে এইক্ষেত্রে স্যামসাং দিচ্ছে ২ বছরের ওয়ারেন্টি। আর অবশ্যই আপনি এই ওয়ারেন্টি পাবেন না যদি না আপনি ইস্যুড সেন্টার থেকে ডিভাইস না কিনেন। আমার বিশ্বাস আপনাদের সবারই কোন না কোনভাবে ওয়ারেন্টি সহ একটি ভাল ডিভাইস আছে।
এডিশনাল কারন।# ক্যামেরা ঃ এতক্ষন পারফর্মেন্স এর কথা বলে গেলাম। তবে কম দামি মোবাইল গুলর আরেকটা প্রবলেম হলো ক্যামেরা! সনি অথবা স্যামসাঙ দেখবেন ৩০-৪০ হাজার টাকার দিভাইস এ যে ক্যামেরা দিচ্ছে তা আপনি ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা মোবাইলেও পাচ্ছেন। ক্লিয়ার করি, ধরুন সনি একটি ৩০ হাজার টাকার দিভাইস এ দিচ্ছে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। তবে আপনি কিন্তু আমাদের দেশীয় কোন দোকান অথবা আন্দাজি নামক কনো ব্র্যান্ড থেকে কিনলে সেই ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাই পাবেন ১০ হাজারে তবে সনি এর ৮ মেগাপিক্সেল এ যতটা ভাল ছবি উঠবে তার তিন ভাগের একভাগ ভালো ও হবেনা আপনার কমদামের সেই ৮ মেগাপিক্সেল এ। কিন্তু কেন? ভাই কথায় আছে না, উপরে ফিটফাট কিন্তু বাহিরে সদরঘাট।
এখন অনেকে বলবেন টাকা দিমু কম তো এত বেশি খাইতে চামু কেন! হ্যাঁ আপনি রাইট। তবে, আমি তাদের বলছি যারা মনে করেন একই কনফিগ এর মোবাইল আমি সনি কিংবা স্যামসাঙ নতুবা অন্য ব্র্যান্ড থেকে না কিনে নাম না জানা কোন ব্র্যান্ড থেকে কিনলে অনেক কম দামে পাবো। যদি আসলেই এন্ড্রয়েড অপারেটিং এর মজা পেতে চান তাহলে অবসশই উপরের পয়েন্ট গুলো আপনার লাগবেই। আর যদি বলেন না নোকিয়া ৩৩১০ ইউজ কইরা আইছি অহন একটা স্মার্ট না কি জানি কয় অইগুলা নিমু তাইলে পারফেক্ট আপনার জন্যেই খায়ের ব্র্যান্ড এর মোবাইল।

*** নোকিয়া ৩৩১০ আমিও ইউজ করছি সুতরাং আমার কথাটি ভিন্য পয়েন্ট এ নিবেন না। আমি কি বুঝাতে চেয়েছি তা আপনি বুঝছেন আশা করি

***অনেক হিজিবিজি কথা বলে ফেললাম।আর এই হিজিবিজির মাঝেই আছে সেই ৫ টি সেরা কারন যেগুলোর জন্য আপনি কমদামী স্মার্টফোন
কিনবেন না। ফ্রি পরামর্শ দিলাম বাকীটা আপনার।


এছাড়া সবসময় মোবাইল ও ইন্টারনেটের খুটিনাটি জানতে এ পেজ ক্লিক করুন। হয়ত পেয়ে যাবেন আপনার প্রত্যাশিত অজানা তথ্যটি এবং আপনার জানা বিষয়টিও এ পেজ এ শেয়ার করলে আমরা অনেকেই উপকৃত হতে পারি।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×