১) গণভোটের নাম ব্রেক্সিট রাখার মধ্য দিয়েই আসল গেমটি শুরু হয়।আমরা জরিপে দেখতে পাই কাছাকাছি সং্খ্যক ভোটাররা পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট প্রদান করেছে।কিন্তু যে অংশটি রিমেইনের পক্ষে ছিল খোদ 'ব্রেক্সিট' নামটি সেই অংশকে এক্সক্লুড বা বাতিল করে গঠিত হয়েছে।ফলে ব্রিটেন রিমেইন বা ব্রিরিমেইন না বলার মধ্য দিয়েই ব্রেক্সিট নামকরণের পেছনের ক্ষমতা নিজেকে মানুষের মনস্তত্ত্বে জোরেসোরে জেঁকে বসিয়েছে।
২) ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় হলো না বিপক্ষে?
গণতন্ত্র কি মেজরিটির আলাপ না মাইনরিটির? কোন রায় কখন মানতে হবে? লক্ষ্য করলে দেখবেন, রায় নির্ধারিত হয় তার পূর্বের শর্তাবলীর উপর।অর্থ্যাৎ কোন রায় মেজরিটির ভোট দ্বারা নির্ধারিত হবে নাকি মাইনরিটির সুবিধা মাফিক হবে তা ভোটের আগেই নির্ধারণ করে দেয়া থাকে।নারীর জন্য সংরক্ষিত আসন বন্টন বা মাইনরিটির বিশেষ সুবিধা কেবলই মেজরিটির ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না, পাওয়ার দ্বারা সেইসব সুবিধা নির্ধারিত হয়।মেজরিটি যেন কোনভাবেই সং্খ্যাগরিষ্ঠতার জোরে মাইনরিটিকে বঞ্চিত করতে না পারে সংবিধান ওরফে পাওয়ার তা আগে থেকেই নির্দেশ দিয়ে থাকে।ফলে পপুলার ভোট মাত্রই গণতন্ত্র নয়।সেইহেতু যে ৪৮% ইইউতে থাকার পক্ষে রিমেইন ভোট দিয়েছে সেই ৪৮% এর রায় নাকচ হয়ে গেছে পূর্বে নির্ধারিত শং্খ্যাগরিষ্ঠতার শর্তাবলীর কারণে।এর পেছনে আছে সেই পাওয়ার যা কিনা 'ব্রেক্সিট' নামকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।এই পাওয়ারকে যদি আমরা ইগনোর করি তাহলে গণতন্ত্রে সেই পুরনো সমস্যায় আমরা নিপতিত হই। পুরনো তর্কের পেছনে আছে জাস্টিসের ধারণা। সমাজের কোন অংশ ( মেজরিটি না মাইনরিটি?) জাস্টিসের পক্ষে আছে?
৩) ফলে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত ভোট নিয়ে আমরা যদি পাওয়ারের দাসত্ব না করতে চাই তবে অন্য সব ভোটের মতই এই ভোটের আলাপেও এটা নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে যে কার জয় হলো; কার পক্ষেই বা জাস্টিস আছে? মেজরিটির ভোট বৈধ হয় কোন পাওয়ারের ফলে?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩