বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসলাম ধর্মভীরুদের দেশ। এখানে ধর্মীয় বিষয়ে যে কোন প্যাঁচ কিংবা টালবাহানা এখনো সহজে হজম করে না মানুষ। সরকারগুলো প্রতিযোগীতায় নামে কে কার চেয়ে বেশী ধার্মিক সেটা দেখানোর। আওয়ামী লীগ নিজে চাইলেও জনরোষের আশংকায় রাষ্ট্রধর্ম এখনো বাতিল করার সাহস পাচ্ছে না। শুক্রবারের ছুটি বাতিল করতে পারছে না। হজ্জ্ব নিয়ে মন্তব্য করার পর একজনের মন্ত্রীত্ব চলে যায়। যদিও একই আওয়ামী লীগ কথায়, কাজে অনেক ইসলাম বিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে। মতিঝিলে ৪০+ মাদ্রাসা ছাত্র হত্যার পরও এই সরকারের কেউ কিছু করতে পারেনি। এখন আর আওয়ামী লীগ কোন আন্দোলনকে ভয় পায় না।
পত্রিকায় পড়লাম, এবার নাকি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা করতে বলা হয়েছে। এটা করে আওয়ামী লীগের বাড়তি কী লাভ হবে আমার মাথায় ঢুকে না(ঠিক যেমন ঢুকেনা সুপ্রীম কোর্টের সামনে মূর্তি বসানোর ব্যপারটা)। বিরোধী মত দমন করার পাশাপাশি সরকার উন্নয়নও করছে ভালো কথা সেখানে এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে শান্ত জনতাকে কেন অশান্ত করা হয় সেটা বোধগম্য নয়।
প্রতিটা দেশ নববর্ষ পালন করতেই পারে। আমরাও গর্বিত আমাদের একটা আলাদা বর্ষপুঞ্জি আছে। কিন্তু পহেলা বৈশাখের এই কথিত শোভাযাত্রা কোন সার্বজনীন শোভাযাত্রা নয়। এটার বৈশিষ্ট্য হলো এখানে পেঁচা, বাঘ. ময়ুর সহ আরো কিছু বড় বড় মানুষের মুখোশ/প্রতিকৃতি থাকতে হবে। আর এখানেই ইসলাম ধর্মভীরুদের যত আপত্তি। খেয়াল করেন, কোন মুসলমান রথযাত্রা নিয়ে কথা বলছে না। বলছে পহেলা বৈশাখের 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নিয়ে। আর নাম এবং উদ্দেশ্যটাও(নতুন বছরে নাকি পেঁচা দিয়ে মঙ্গল হবে!) তো ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক।
বি এন পি মৃত একটা দল। জামায়াত কোণঠাসা। হেফাজতকেও সাইজ করা হয়েছে। এই সরকার অনায়াসে তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে কেন মাঝে মাঝে এসব 'আজাইরা' সিদ্ধান্ত গুলো(ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী) নেয়া হয় বুঝে আসে না। এখন যদি অন্য পক্ষ একটা পাল্টা শোভাযাত্রা করে আর এই মূর্তি, মুখোশগুলো নষ্ট করতে চায় তখন এর দায়ভার কে নেবে? এতদিন পর্যন্ত এটা এমনিতেই চলছিল। হুজুরেরাও কিছু বলেনি। এখন বাধ্যতামূলক করার কারণে হুজুরেরাও উত্তেজিত হয়ে এখন এটা প্রতিরোধের কথা বলছে। তাহলে আমার এই শান্ত দেশটাতে কিছুটা অমঙ্গলের আশংকা করতেই পারি। মাঝে মাঝে যৌন নিপীড়নের কথা নাই বা বললাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৫১