এ কী দেখলাম আমরা? আল্লামা শফি সাহেবের পাশে হাস্যোজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই শেখ হাসিনার সরকারের সময় নাস্তিকতা বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়েই আমরা জানতে পারি 'হেফাজতে ইসলাম' নামে কোন একটা অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন আছে। তারা আবার দাবি করে কোন দলের ক্ষমতায় যাওয়ার বা পতনের সিঁড়ি তারা হবেন না। খুবই ভালো কথা। আপনাদের ছাড়াই বি এন পি বা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে বা যায়।
কিন্তু ৬ই মে, ২০১৩ কী হয়েছিল শাপলা চত্বরে সেটা কি সবাই ভুলে গিয়েছেন? সবাই ভুলে গেলেও শফি হুজুরের তো ভুলে যাওয়ার কথা নয়। নাকি নিজে হেলিকপ্টারে করে হাটহাজারি চলে যাওয়ার কারণে মতিঝিলের দিকে আর ফিরে তাকাননি! সরকারী হিসেবেই সেদিন মারা গিয়েছিল ৪০ জনের উপর হেফাজত সমর্থক। হেফাজতিদের ভাষায় কয়েক শত সমর্থক সেদিন মারা গিয়েছিল। আজকে ঐসব শহীদের পরিবারের কাছে কীভাবে মুখ দেখাবেন তিনি?
শাপলা চত্বরের ঘটনার কিছুদিন পর মিডিয়াতে আসে হেফাজতের সাথে সরকারের অলিখিত আপস হয়ে গিয়েছে। হেফাজতকে কয়েক কোটি টাকা দামের জমি দান করা হয়েছে। হেফাজত আর মাঠে থাকবে না। শোনা যায় হেফাজতের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা। সব কিছু মনে হয়েছিল অপপ্রচার। কারণ, তারা ইসলামের পক্ষে। তারা এভাবে বিক্রি হয়ে যেতে পারেন না।
আজকে সেই আশঙ্কাই সত্য হলো। রাজনীতিতে অসাধারণ দক্ষ(পড়ুন চালাক) শেখ হাসিনার কাছে পরাজিত হলেন আল্লামা শফি। নিজ দলের কর্মীদের লাশের উপর দিয়ে শেখ হাসিনার পাশে গিয়ে বসলেন। অনেকে হয়ত, যুক্তি দেখাবেন, কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি আদায়ের জন্য সরকার প্রধানের পাশে বসতে হয়েছে। আর যেহেতু অরাজনৈতিক সংগঠন সেটা প্রমাণেরও দরকার ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় তিনি না গিয়ে অন্য কাউকেও সেখানে পাঠাতে পারতেন। শেষ বয়সে এসে ঈমানী পরীক্ষায় হেরে গেলেন বলে মনে হয় আমার।
শুনুন শেখ হাসিনা শফি হুজুরের ব্যপারে কী বলেছিলেন -
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫০