গতকাল গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাইয়ের ব্লগে একটা কৌতুক দিয়েছেন এরকম ঃ
এক মৌলবী সাহেব সাধ্যমতো ধর্মকর্ম করতেন আর সময় পেলেই করতেন ওয়াজ। মৃত্যুর পর তিনি বেহেশতে ছোটখাটো একটা বালাখানা পেলেন। আর অল্প কিছু দাস দাসী। সেখানে তার সুখেই দিন কাটতে লাগল।
একদিন মর্নিং ওয়াক সেরে ফেরার পথে তিনি পাশের আলিশান বালাখানাটার মালিকের দেখা পেয়ে গেলেন। আরে , এ যে তাঁর দুনিয়ার প্রতিবেশী বাস ড্রাইভার। লোকটা মদ খেত, বউকে পেটাত, জুয়া খেলত। আর সেই কিনা বেহেশতে এমন বালাখানা হাঁকিয়ে বসেছে!
মৌলবী সাহেব একদিন ফেরেশতার দেকা পেয়ে রহস্যটা কী জানতে চাইলেন।
ফেরেশতা বলল, আপনার বালাখানা ছোট হবার কারন হল, আপনার ওয়াজ অধিকাংশ শ্রোতা মনে রাখে নি। দু’ একজন মাত্র আল্লাহর নাম
মৌলবী সাহেব বললেন, তা ওই ড্রাইভার ব্যাটা কী করেছে, জানতে পারি কি!
ফেরেশতা বলল, সে যখন দু’ বোতল দেশী মদ টেনে বাস চালাত, তখন বাসের সকল যাত্রী তো বটেই, রাস্তার সব পথচারীও আল্লা! আল্লা! করত। তারই পুরস্কার ওই বিশাল বালাখানা।
এবং
আমার আবিষ্কার ঃ
এক মহিলা সাধ্যমতো ধর্মকর্ম করতেন । মৃত্যুর পর তিনি স্বর্গে ছোটখাটো একটা বালাখানা পেলেন। সেখানে তার সুখেই দিন কাটতে লাগল।
একদিন মর্নিং ওয়াক সেরে ফেরার পথে তিনি পাশের বালাখানাটার বাড়িটার মালিকের দেখা পেয়ে গেলেন। আরে , এ যে তাঁর দুনিয়ার পরিচিত এক মেয়ের। মেয়েটা মদ খেত, ইয়াবা খেত, আর বহু ধনীর দুলালের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। আর সেই কিনা স্বর্গে এমন বালাখানা হাঁকিয়ে বসেছে! শুধু তাই নয়। পরপর আরো কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দাই ছিল দুনিয়ার জীবনে বেসামাল।
মহিলা একদিন দেবদূতের দেখা পেয়ে রহস্যটা কী জানতে চাইলেন।
দেবদূত বলল, আপনার বালাখানা ছোট হবার কারন হল, আপনার ধর্মকর্ম অনুযায়ী ঐটাই প্রাপ্য ছিল।
মহিলা বললেন, তা ওই মেয়েটা কী করেছে, জানতে পারি কি!?
দেবদূত বলল, বাংলাদেশের কিছু ধনীর দুলালের সাথে কিছু প্রতিষ্ঠিত মডেল/অভিনেত্রী/আপার ক্লাস মেয়েদের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সেই ধনীর দুলালের বান্ধবীদের লিস্ট দেখে পুলিশও খুব অবাক হয়ে যায়। তবে লিস্ট কখনো প্রকাশ হয়নি। সেই ধনীর দুলালের সাথে যত মেয়ের সম্পর্ক ছিল সবাই সেই দিন থেকে ধর্ম কর্ম শুরু করে। আর স্রষ্টার নাম নেয় যাতে তাদের নাম পরিচয় কোনদিন প্রকাশ না পায়। তারই পুরস্কার ওই বিশাল বালাখানাগুলো।
মোরাল অব দ্য স্টোরি : দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয় তাহলে দাগই ভালো!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৮