প্রথমেই বলে রাখি আমি সাকিব হেটার নই। সাকিব আমাদের অনেক দিয়েছেন আরো দিবেন আশা করি। আমিও জানি সাকিব একজন মানুষ। তারও একটা জীবন আছে। কিন্তু একজন খেলোয়াড়ের জন্য জাতীয় দলের চেয়ে বড় আর কী হতে পারে? সব সময় হাহাকার শুনি আমরা কেন বেশী বেশী টেস্ট খেলিনা - এটা নিয়ে। সেখানে সাকিবের মত বড় মাপের একজন খেলোয়াড় কীভাবে টেস্ট খেলতে অনীহা(৬ মাসের জন্য) প্রকাশ করেন? তাও আবার কোন দুর্বল দল নয়। কবে আবার দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ম্যাচ পাওয়া যাবে কে জানে।
সাকিবের বিশ্রাম প্রসঙ্গে মুশফিকুর রহিম সরল মনে যে কথাটা বলেছেন(এত বড় খেলোয়াড় হইনি যে বিশ্রাম নিব) সেটা এক দিক দিয়ে বলতে গেলে আমাদের সাধারণ মানুষেরই কথা। সাকিব বড় খেলোয়াড় হয়েছেন ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের ক্রিকেট সূচী তো ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মত ব্যস্ত নয়। এই সময় বিশ্রাম নেয়াটা কী যুক্তিসঙ্গত ছিল? আর বিশ্রাম টা তো এই সফর শেষেই নেয়া যেত। কিংবা যে কোন একটা ফ্রাঞ্চাইসি টি-টুয়েনটি না খেললেই তো বিশ্রামটা হয়ে যায়। নাকি অর্থের ব্যপারটা চলে আসে? এভাবে জাতীয় দলের খেলা থেকে বিরত থাকাটা মানা যাচ্ছে না।
যদিও বিসিবি তার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দ্বিতীয় টেস্টের পথ খোলা রেখেছেন। তবে আমার মনে হয় সাকিব ফিরলেও তার পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়বে। কারণ, বোঝা যাচ্ছে তার টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি একটু অনীহা হচ্ছে। এখন চাইলেই বিশ্রামে যাওয়ার মত অবস্থানে চলে এসেছেন তিনি। এই বিশ্রাম, ছুটি, অনীহা যেন আবার তার ক্যারিয়ারের জন্য কাল না হয়ে দাঁড়ায় সেই কামনা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫