গত কয়েকদিন আগে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগীতার জন্য বাংলাদেশী প্রতিযোগী বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এর আগেও বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগী গিয়েছিল ঐ প্রতিযোগীতায়। এবারই অবশ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত অনুষ্ঠানের(বি এন পি থাকলে অনুমতি পেত কিনা সন্দেহ আছে) মাধ্যমে বাছাই করা হলো। যাই হোক, বিজয়ী নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিডি নিউজে বিজয়ীর একটা সাক্ষাৎকার পড়লাম। তার কিছু পয়েন্ট হলো -
জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল: আমার কথা হলো, আমি যেহেতু হয়েই গেছি আর তো কিছু করার নাই। এখন আমাকে আপনাদের সাপোর্ট দেওয়া উচিত। আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিন। নিজেকে আরো ইমপ্রুভ করে বাংলাদেশের মান-সম্মানটা যেন রাখতে পারি। বাংলাদেশের মানুষের উচিত আমাকে ইন্সপায়ার করা। আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা উচিত না।
আমার বেশ কিছু দুর্বলতা আছে। যেমন, খুব দ্রুত ইংরেজি বলতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলি। আর বাংলা শুদ্ধ হয় না। একটা মানুষ তো সবকিছু নিয়ে পরিপূর্ণভাবে জন্মায় না। ইংরেজির কিছু কোর্স শুরু করেছি। আর বাংলায় কয়েকজন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছি। কাল থেকেই ক্লাস শুরু করব।
বিশ্বমঞ্চে গিয়ে আমাকে পারতেই হবে। আমি যেহেতু বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি, আমাকে পারতেই হবে। দেশের মান-সম্মান আমাকে রাখতেই হবে।
আমার বয়স যখন ষোল, তখন বাবা আমাকে জোর করে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। আমাদের চিটাগাংয়ে একটা নিয়ম আছে, মেয়েরা একটু বেশি সুন্দরী হলে সবাই বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। বিয়ের জন্য ফ্যামিলিকে খুব বেশি ‘প্যারা’ দেয়। এটা চিটাগাংয়ের স্বাভাবিক ঘটনা।
তো আমাদের ক্ষেত্রেও তেমনটা ঘটে। ছোটবেলায় খুব সুন্দরী ছিলাম আমরা দুই বোন। প্রতিবেশীরা বাবাকে বলত, আপনাদের মেয়েকে বিয়ে দেন। এগুলোতে প্রভাবিত হয়ে বাবা রাজি হয়ে যান। আমাকে বিয়ের চাপ দেন। আমি খুব বেশি দুরন্ত ছিলাম। আমি নিজের মতো থাকতে চাইতাম। অল্প বয়সে বিয়ের প্যারার মধ্যে ঢুকে যেতে চাইনি। বাবার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ওখান (চট্টগ্রাম) থেকে চলে আসি। আমি স্টাডি করব, নিজের ক্যারিয়ার গড়ব। এখন অ্যাকচুয়ালি বাবার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
মা আমাকে নিয়ে সবসময় স্বপ্ন দেখতেন। আমার মা আমার সুপারউইমেন। যেখানেই বাধা পেয়েছি মা উৎসাহ দিয়েছেন।
view this link
আওয়ামী লীগ , বি এন পি যে কোন কর্মসূচীতেই বলে জনগণ তাদের সাথে আছে! অথচ কত জন তাদের সাথে আছে সেটা তারা কখনোই জানার বা বোঝার চেষ্টা করেন না। বিজয়ীও চিন্তা করলেন না তার সাথে বাংলাদেশের কতজন মানুষ আছেন। প্রথম কথা হলো, বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মানুষই মিস ওয়ার্ল্ড-এর মত দেহ প্রদর্শনের প্রতিযোগীতায় দেশী প্রতিযোগী পাঠানোর বিপক্ষে। আপনি ওখানে গিয়ে হারেন বা জিতেন দেশের কিছু যায় আসে না। জিতলে বরং মুসলিম বিশ্বে একটু নাম খারাপ হবে। আপনার ভালোর জন্য আপনার পিতা বিয়ে দিতে চেয়েছিল বলে আপনার পিতা হয়ে গেল খারাপ, সম্পর্কই আর রাখলেন না আর আপনার মা আপনাকে নগ্নতার পথে অনুমতি দিয়েছে বলে সুপারওইমেন হয়ে গিয়েছেন। এটা কখনোই আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের সাথে যায় না। তাই আপনাকে আমরা বাংলাদেশের প্রতিনিধি মনে করি না।
আপনার নামের সাথে জান্নাত যুক্ত আছে। প্রথম রানার আপের নামের সাথেও জান্নাত যুক্ত আছে। আপনাদের কাছে মাফ চাই। এই জগৎে থাকলে জান্নাতের দেখা পাবেন না। দোয়া করি এই জগৎ থেকে ফেরত আসবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৪০