সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির ২ বছর পূর্ণ হলো। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দাবি অনুযায়ী যেসব ঘটনার জন্য তাকে ফাঁসি দেয়া হয় ঐ সময় তিনি দেশেই ছিলেন না। তার দাবির স্বপক্ষে তিনি দেশী বিদেশী সাফাই সাক্ষীর নাম দেন। ঐ তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর উপদ্ষ্টো সালমান এফ রহমান, হাইকোর্টের বিচারপতি শামীম হাসনাইন এবং পাকিস্তানের কয়েকজনের নাম ছিল। যারা তার দাবি অনুযায়ী সাক্ষ্য দেয়ার কথা যে, তিনি ঐ সময় পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
সালমান এফ রহমান সম্পর্কে সালাউদ্দিন কাদেরের খালাতো ভাই। আরেক খালাতো ভাই কাইয়ুম রেজা চৌধুরী(সাবেক প্রধান বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরীর ছোট ভাই এবং তিনিও সাফাই সাক্ষী ছিলেন ) নাকি সালাউদ্দিন কাদেরকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিয়ে আসেন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সহ আরো কয়েকজনও সালাউদ্দিন কাদেরের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ এম্বেসী তাদের ভিসা দেয়নি। হাইকোর্টে কর্মরত থাকার কারণে বিচারপতি হাসনাইনকেও সাক্ষ্য দিতে অনুমতি দেয়া হয়নি। সালমান এফ রহমান সাক্ষ্য দেয়ার জন্য নির্ধারিত তারিখে দেশে ছিলেন না।
হিন্দি ছবি এক রুখা হোয়া ফয়সালা (12 angry man - এর কপি) - তে আমরা দেখি কীভাবে মাত্র এক জন জুরি ধীরে ধীরে বাকী এগার জুরিকে কনভিন্স করে একজন ফাঁসির আসামীকে খালাস করে আনেন! আর এখানে একজনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে অথচ তার অপরাধকালীন সময়ের অবস্থান সম্পর্কে সাক্ষ্য না নিয়েই তাকে ফাঁসি দিয়ে দেয়া হল। সালাউদ্দিন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ছিলেন, তাই দেশী প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের মতই নানা অপরাধও করেছেন তিনি। কিন্তু এখানে তার ফাঁসি দেয়া হল তার দাবিকে(অপরাধকালীন সময়ে দেশে না থাকা) উড়িয়ে দিয়ে।
জানিনা, বিচারপতি হাসনাইন, সালমান এফ রহমান রাতে কীভাবে ঘুমান। যদি সত্যিই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পাকিস্তানে অবস্থান সম্পর্কে ওনারা জানতেন তাহলে কি তাদের উচিত ছিল না সামনে এসে এসব কথা বলা? ঘুমের মাঝে কি সালাউদ্দিন এসে তার খালাতো ভাইকে জিজ্ঞেস করে না কেন তুমি সত্য প্রকাশ করলে না?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৭