somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামহোয়্যার ইন ব্লগ গল্প সঙ্কলন ডিসেম্বর - ২০১৪

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



উৎসর্গঃ
কাইয়ুম চৌধুরী ( জন্ম: ৯ মার্চ ১৯৩২ - মৃত্যু: ৩০ নভেম্বর ২০১৪)
ইমন জুবায়ের ( জন্ম: ১৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৭ - মৃত্যু: ৪ জানুয়ারি ২০১৩ )


বাবা ছিলেন কো-অপারেটিভ ব্যাংকের কর্মকর্তা। অডিট করতে হতো তাকে। অডিট পেন্সিল ছিল লাল এবং নীল সিসের। একই পেন্সিলের অর্ধেকটা লাল বাকি অর্ধেকটা নীল। সেই পেন্সিল দিয়ে বাবা ছবি আঁকতেন। অবাক বিস্ময়ে দেখতাম। বাবার লেখালেখির অভ্যেস ছিল। পাণ্ডুলিপির কভারে তার আঁকা ছবি থাকতো। পাল তোলা জাহাজ, মরুভূমিতে উট প্রভৃতি। বাবার পেন্সিল হাতিয়ে আমারও আঁকিবুঁকি চলতো। ছবি আঁকার প্রেরণা বাবাই উসকে দিয়েছিলেন। তবে এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে তখনকার দিনের শিশু-কিশোরদের জন্য প্রকাশিত গল্পের বই। আমি তখন বাবার চাকরিসূত্রে নড়াইলে। গল্পের বই পড়ার প্রচণ্ড নেশা। পড়ার বইয়ের ফাঁকে লুকিয়ে রাখি গল্পের বই। আকর্ষণ ছিল দেব সাহিত্য কুটিরের প্রকাশিত বই। তাদের হয়ে ছবি আঁকতেন প্রতুল চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। কী যে সব অসাধারণ ছবি! সে সময় দেব সাহিত্য কুটির একটা রহসরোমাঞ্চ সিরিজ বের করত কিশোরদের জন্য। কাঞ্চনজঙ্ঘা সিরিজ। বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাহিত্যিকেরা সে সিরিজে লিখেছেন। এমনকি পথের পাঁচালীর রচয়িতা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত রহস্যরোমাঞ্চকর বই লিখেছেন। নাম ছিল ‘মিসমিদের কবচ’। তার ওপর হেমেন্দ্রকুমার রায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, অখিল নিয়োগী, প্রবোধকুমার সান্যাল – সব্বাই লিখেছেন। প্রতি মাসে একখানা বই বেরুত। দু’বছর সিরিজটি চলেছিল। মোট চব্বিশখানা বই। আট আনা করে দাম।

টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে বই কিনতাম রূপগঞ্জ বাজারে গিয়ে। মহকুমা শহর নড়াইল আর রূপগঞ্জ বাজারের মাঝখানটা ছিল নির্জন। চিত্রা নদীড় পাড় দিয়ে শর্টকাট রাস্তা ছিল। প্রায় দৌড়ে চলে যেতাম বই কিনতে। কী যে সব অসাধারণ ছবি সেসব বইতে! প্রতুল ব্যানার্জির আঁকা। জলরঙের পাশাপাশি রূপালি কিংবা সোনালি। বুকে করে বই নিয়ে আসতাম। রাত্রে ঘুমোবার সময় বালিশের নিচে বই গুঁজে রাখতাম। আগে আমি পড়বো তারপর অন্যরা। ছবি দেখতাম আর ভাবতাম, এরকম ছবি আঁকতে পারলে জীবনটা সার্থক হতো!

-------------( ভালোবাসার জগৎ / কাইয়ুম চৌধুরী )-------------




ছোটগল্প - নগর নির্বাক ডায়েরী - শাহরিয়ার খান শিহাব
উড্ডয়নিকা - হাসান মাহবুব
আজমতের কিংবদন্তি - এনামুল রেজা
কিম্ভুত সেই ভূত (ছোটো গল্প) - স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা
ডিফেন্স মেকানিজম (উৎসর্গ- মহান স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন) - আহমাদ ইবনে আরিফ
একলা যাপন (হরর গল্প) - শ্লোগান০০৭
গল্পঃ অধ্রুব ভালবাসা - নাসরিন চৌধুরী
মাতাল মধ্যরাত্রি - তাসনিম রিফাত
ছোটগল্পঃটান - মাহফুজ তানজিল
ঘুড্ডিওয়ালী - এস.কে নূরমোহাম্মদ
বড়গল্প: অগোচরের সুপ্ত শীতলতা । - কলমের কালি শেষ
বন্ধু হতে চেয়ে তোমারঃ গল্প (সম্পুর্ণ) - আল মামুন খান
এটি কোন গল্প নয় - দীপংকর চন্দ
অচ্ছুৎ (ছোট গল্প) - আল মামুন খান
ববি এবং জেনি - হাসান মাহবুব
বন্ধ জানালা : সম্পুর্ণ গল্প - আল মামুন খান
শেষ দু’ফোটা জল - মহামতি আইভান
কল্প-গল্পঃ প্রজেক্ট ডিডাব্লিউ এক্স ০০০০৫৬০২০২ - অপু তানভীর
ক্রিপ - হাসান মাহবুব
দা রেড ডায়রি ! - নাভেদ
গল্পঃ সভ্যতা'র আঁচলে লাগেনি মেহেদী'র রঙ! - নাসরিন চৌধুরী
শাদা বাড়ি - এনামুল রেজা
ইতস্তত কয়েকটি ময়ুর - মুরাদ-ইচছামানুষ
~কাঠের মোমবাতি~ - শিশু বিড়াল
লেখক - জলমেঘ
পরাজিত একজন মানুষ - মু.ই.মা ইমন
রহস্য গল্পঃ রহস্যময় ব্লগ এবং মেয়েটি......... - জিরো ডাইমেনশন
24/12/14 - রামগড়ু
দা পেইন্ট ! - নাভেদ
কামনার পরাগ রেণু - হঠাৎ ধুমকেতু
বিবর্ণ শেষকীর্তির সফল সমাপ্তি - কলমের কালি শেষ
রহস্য থ্রিলারঃ ছায়া - রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার )
এতিম শিশুর সেন্টার পরীক্ষা - প্রামািনক
আমি আর মৃন্ময়ী - নির্বাক রাজপূত্র
গল্পঃ একটি আধুনিক রূপকথা - সন্ধ্যা প্রদীপ
১০৪ নম্বর রুম (গল্প) - তাহসিনুল ইসলাম
রিফাত আর জারিনের গল্প - অপু তানভীর

বছরের শেষের এই শীত-শীত কুয়াশা-কুয়াশা সময়টার জন্য অপেক্ষা করি। যখন ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে ভোরগুলি, শহরের দালানকোঠা। আমার যদিও বাঙালি কবির স্বভাব: ভালো লাগে জুনের অঝোর বৃষ্টি, ব্যঙের ডাক, মেঘলা দিন- তবু কুয়াশার ভোরে প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে ফুটপাত ধরে হাঁটার জন্য আজও অপেক্ষায় থাকি পৌষের। আমার স্বভাবে প্রখর কুঁড়োমি থাকলেও পৌষের খুব ভোরে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ি।

শান্তিনগর মোড়ের কাছাকাছি বাড়ি। এও এক বিরল সৌভাগ্য। যেহেতু বেইলী রোডটা খুব কাছে। বেইলী রোড দিয়ে দিয়ে হেঁটে গেলেই রমনা পার্ক। অমন সুন্দর ঘাস ও গাছপালাময় নির্জন স্থান ঢাকায় ক’টি আছে বলুন? এখন তো ওই নিভৃত স্থানটিও ভিড়ের দখলে চলে গেছে! অথচ আমাদের ছেলেবেলায় অত ভিড়ভাট্টা ছিল না। ছেলেবেলায় রমনা পার্কে কত বার যে গিয়েছি। তখন তো এত কড়াকড়ি ছিল না। পাড়ার বন্ধুদের নিয়ে রমনা পার্কে যেতাম।ভোরে কি বিকেলে। আমি ১৯৮০-৮১ সালের কথা বলছি। ফুটবল খেলতাম। কখনও ক্রিকেট। কাজেই পার্কটির ঘাস, গাছপালা ও কৃত্রিম হ্রদটি আমার শৈশবের স্মৃতিতে একাকার। পৌষের কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে পার্কটিকে অন্যরুপে আবিস্কার করি অবশ্য আরও পরে। আমার তরুণ বয়েসে। লক্ষ্য করেছি-আমার স্পর্শকাতর মনে কবিতার উন্মেষের পর পৌষের ধোঁয়াটে কুয়াশার ভিতরে দাঁড়িয়ে থাকা রমনা পার্কের গাছগুলি আমার কাছে হয়ে ওঠে গভীর ইঙ্গিতময়। আমার স্বভাবে প্রখর কুঁড়েমি থাকলেও তরুণ বয়েস থেকেই পৌষের ভোরে উঠে চলে যাই পার্কে।

-------------( পৌষ বন্দনা: ভোরে, কুয়াশায়... / ইমন জুবায়ের )-------------




মুক্তিযোদ্ধা ও এক কিশোরীর গল্প - বিএম বরকতউল্লাহ
লড়াই - (ছোটগল্প) - গেন্দু মিয়া
ছোটগল্প 'মুক্তিযোদ্ধা শ্বশুর' - ¯^cœwejvmx
গল্পঃ দ্বিতীয় পরাজয় (মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক) - পার্থ তালুকদার
স্তব্ধানুভুতির বিজয় (ছোটগল্প) - আলম দীপ্র

পৃথিবীর সব ছেঁড়া ছাতা দেয়ালে হেলান দিয়ে বিশ্রাম নেবে একদিন; জবুথবু বৃষ্টিতে ভিজবে বেগনী নয়নতারা, শাদা রাজহাঁস, ধূসর ছেলেবেলা। রূপোর জল কুচি হবে তেতুল পাতায়, রবি শঙ্করের সেতারে। আষাঢ়ের বুনোবৃষ্টি বইয়ের তাকে কালিদাসের মতো পা দুলিয়ে বসবে, জ্যামিতির অজানা সম্পাদ্য কাগজের নাওয়ের মতো টেবিলে বিব্রত হামা দেবে। মেঘদূতের খোঁজ কে নেয় এমন দিনে! এমন দিনে কে কড়া নাড়ে খিল-কপাটে, বলে, ‘বাড়ী আছো?’

আমি বাড়ীতেই ছিলাম। আলনায় ঝুলানো শার্ট, শার্টের হাতা, আর বক্রম দেয়া সটান কলার বিশ্রাম নিচ্ছিল হ্যাঙ্গারে। এ দৃশ্য লোভীর মতো দেখতে দেখতে আমিও ঝুলে পড়ি কড়িবর্গায়। দোল খাই। একবার ডানে, আরেকবার ডান থেকে বায়ে। হরদেও গ্লাস ফ্যাক্টরির মোটকা বয়ামের গায়ে কয়েকটি লাল পিপঁড়ে, একবার আমাকে দেখে নেয়। আমি হাত নাড়িয়ে তাদের ‘হ্যালো’ জানাই। উঁচু থেকে সবকিছুই ছোট দেখায়, এমন কী পিপঁড়েদেরও। আমার পড়ার টেবিলে কালিদাস, যিনি পা দুলিয়ে বসে আছেন, বলেন, ‘মাই টার্ন’, আজ তারও দোল খাওয়ার শখ। আমি সে কথা না শোনার ভান করে আলোচনায় ফিরে আসি। বলি, ‘তারপর?’ ‘তারপর আর কী? মেঘগুলো বৃষ্টি হলো। আর ছাতাওয়ালারা কোমর ভিজিয়ে পরেরদিন অফিসে গেল!’, কালিদাস ঝটপট উত্তর দেন। এভাবে গল্প জমে না। একজন সিলিংয়ে, আরেকজন টেবিলে- এমন রুদ্ধদ্বার বৈঠক অসফল হবে- চোখ বুজেই বলা যায়। আমি চোখ বন্ধ করি। গল্পটি আবার শুরু যাক, যাকে বলে- একেবারে শুরু থেকে শুরু। কিন্তু বুড়োটিও যে চোখ বুজে আছে! ভুল হলো, বলা উচিত, তিনি আঁখি মুদে আছেন।

কালিদাস চোখ বুজেছিলেন কোন কালে!

-------------( কালিদাসের মেঘ / মোস্তাফিজ রিপন )-------------




শেকড়ছিন্ন মহাকাশের কৃষ্ণগহ্বরে - দীপংকর চন্দ
অনুগল্পঃ মুখোশ - আমি স্বর্নলতা
ক্ষুদে হকার - এস.কে নূরমোহাম্মদ
তবু মনে রেখো - আমি ময়ূরাক্ষী
ছোটগল্পঃ ঠকা - হাতপা
অনুগল্পঃ মুখ ও মুখোশ - কাল্পনিক_ভালোবাসা
প্রথম দেখা - অনিকেত নন্দিনী
ফেরা - আহমাদ জাদীদ

...তারপর সে ঠিক করলো যে সে একাই থাকবে।

তার ছোট্ট মাটি-ঘরটার দক্ষিণপাশে দাঁড়ানো জলপাই গাছের ছায়া আর লৌহ-জানালার ফাঁক দিয়ে অনুপ্রবেশকৃত লেবুপাতার সুঘ্রাণ দুপুরের এই কড়া রোদে নীরব সম্মতি জানালো। ঠাণ্ডা মাটির মেঝের উপর শুয়ে থাকা শীতলপাটি আর শক্ত চৌকির নরম উষ্ণতা দ্বিমত পোষণ করেনি। মধ্যবয়সী উত্তপ্ত টিনের চালের শুকনো পাতা আর নিচু ছাতের বাঁশের পাটাতন সংলগ্ন মোটা কাঠের তক্তাখানি নিশ্চুপ-গম্ভীর। ঘরের কোনে জ্বলন্ত উনুন। আগুন অথবা মধ্যাহ্নের আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে। উনুনের উপর ভাত-পোড়া গন্ধ।

ঘটনার ঘনঘটায় পূবদিকের আম্রকানন আর উত্তরের বাঁশঝাড়ের চকিত চোখাচোখি দেখে থম্‌কে দাঁড়ালো পাশের পুকুরের কচুরিপানার উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক ডাহুক। সতীর্থ এক নারকেল গাছ থেকে তাই দেখে রীতিমত অবাক্‌ এক দোয়েল। তার আবেশে আবেশিত দেবদারু গাছের ঐ কাঠঠোকরা। স্তব্ধ এই দুপুরের নীরবতা ভাঙতে অস্বীকৃতি জানালো সে। এত সুনসান নীরবতা তবে ভালো লাগছে না এক গৃহপালিত মুরগীর। মা’র চোখে বিরক্তি দেখে কোন ভাবান্তর হোলো না বটে ছানাপোনাদের। নির্বিকার তারা। চড়ে বেড়াচ্ছে উঠোন জুড়ে। ছোট্ট এই উঠোন। এতগুলো সাদা ছানাদের মাঝে হঠাৎ কৃষ্ণকায় কৌতূহলী একজন এগিয়ে গেলো এক ছোট্ট মাটি-ঘরের দিকে। দরজার কপাট খোলা। ঘরের ভেতর ভাত পোড়া গন্ধ।

উঠোন জুড়ে শুধু এক এলোকেশী ছায়া।
আর দাওয়ায় ফেলে যাওয়া রমণীয় পায়ের ছাপ।

-------------( এলেবেলে / আকাশ অম্বর )-------------




জ্যোৎস্নার মেঘমালা অথবা আশা-ফুল - অপর্ণা মম্ময়
যে মায়ায় আচ্ছন্ন পৃথিবীও - ভুল উচ্ছাস
ইচ্ছেপূরণ পূনর্জন্ম - অনিকেত নন্দিনী
::: অ রু ণা র চি ঠি ::: - সকাল রয়

রাশেদ প্রথম জন্মদিনের উপহার পেয়েছিল সাত বছর বয়সে।

ওর বাবা রাশভারি মানুষ, কথা খুব কম বলতেন। একটু বোকাটে ছিলেন। সবার বাবা যেমনটা হয় আর কি। সেদিন সকালে বাবা ওর ঘরে এলেন। হাতে একটা কাপড়ে ঢাকা বাক্স। একটু বিব্রত কণ্ঠে তিনি ওকে জাগালেন, তারপর জিজ্ঞেস করলেন, রাশেদ কি বাক্সটা খুলে দেখতে চায়? ইচ্ছে করলে সে খুলে দেখতে পারে। আজ ওর জন্মদিন কিনা, তাই তিনি একটা উপহার কিনে নিয়ে এসেছেন। এই কথায় এক ঝটকায় রাশেদের ঘুমের ঘোর ভেঙে যায়, উৎসাহিত আঙুলে সে বাক্স খুলে ফেলে, তারপর দেখে, 'উপহার'টা আসলে একটা খাঁচার ভেতরে দুটো টুনটুনি পাখি। সে অবাক হয়ে বাবার দিকে তাকালে তিনি অপরাধী মুখে কৈফিয়ত দেন, রাশেদের বুকের শূন্য খাঁচাটা দেখে উনার অস্বস্তি লাগে। মানুষের বুক তো খালি রাখার মতো জিনিস না। খালি রাখলে শাশ্বত, প্রাচীন নিয়মগুলির অবমাননা করা হয়। তাই উনার ইচ্ছে, সে পাখি দুটোকে তার বুকের খাঁচায় ভরে রাখুক। দেখতে ভাল লাগবে। এই বলে তিনি ওর বুকের খাঁচার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে থাকেন।

-------------( নিঃশব্দে খুঁজি পুরাণপাখি / প্রোফেসর শঙ্কু )-------------



অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের দুইটি গল্প - আমি তুমি আমরা

একটি সূর্যাস্তের ঠিক কী মানে? যখন নিস্তেজ মৌন রোদ ছড়ায় শহরের গাছগুলির ওপর; যখন কাকের কোলাহল সেই মৌনতাকে খানখান করে ভাঙ্গতে থাকে; যখন দিগন্তের আলো দ্রুত নিভতে থাকে আর ব্যাপক কুয়াশার ভিতর জড়ানো থাকে একটি রাত্রির ইঙ্গিত; যখন একটি শীত শীত দিনের শেষ বেলাকে কেউ ফিসফিস করে বলে:বিদায়। আজ সূর্যাস্তের সময় মনে হবে ঝরে গেল আরও একটা বছর।

ঝরে গেল আরও একটা বছর। এই অনুভূতি আমাকে কেমন অবশ করে দেয়। কেননা, জীবন আরও গভীরে গড়াল কিংবা হারাল মহাকালের কিছু মুহূর্তসমষ্টি-যে মুহূর্তসমষ্টি আমি লাভ করেছিলাম জন্মমুহূর্ত থেকেই। সেই মুহূর্তসমষ্টি কি আমার? মহাকালের তরফ থেকে আমাকে সচেতনভাবে দেওয়া হয়েছিল? এই প্রশ্নটিই আমাকে বিব্রত করে দেয়। কেননা, আমি দেখেছি অভাবী নারী ফুটপাথে তার শিশুটিকে নিয়ে অনাহারে কাটাচ্ছে অর্থহীন মুহূর্তসমষ্টি; তবে আমি কেন আমার মুহূর্তসমষ্টিকে সুখি ও শিল্পায়িত করার জন্য অহরহ চেষ্টা করব? আমি কেন নিজেকে নির্বাচিত ও বিশেষ ভেবে উৎফুল্ল হয়ে উঠব? এই বোধ আমার স্নায়ূতন্ত্রকে বিকল করে দিতে যথেস্ট।

-------------( ঝরে গেল আরও একটা বছর... / ইমন জুবায়ের )----------




♣বই প্রকাশের আদ্যোপান্ত♣ - আরজুপনি
নবীন লেখকলেখিকাদের জন্য :: কীভাবে বই বের করবেন - সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই



[ আজ শ্রদ্ধেয় ইমন জুবায়ের এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী। ইমন জুবায়ের এর মতো গুণী একজন মানুষ যে সামহোয়্যার ইন ব্লগের এই প্লাটফর্মটিতে ব্লগিং করে গেছেন মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত; এটা আমাদের সবার জন্য একটি পরম পাওয়া।

তাই খুব সঙ্গত কারণেই ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ যেন তারা ব্লগের সাইড বারে ইমন জুবায়ের-এর ছবি সম্বলিত ব্লগলিংক পুনরায় সংযুক্ত করে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ধারা অব্যহত রাখেন।


সবাইকে নিরন্তর শুভেচ্ছা ]


পিডিএফঃ সামহোয়্যার ইন ব্লগ গল্প সঙ্কলন ডিসেম্বর - ২০১৪



__________________________

বিশেষ কৃতজ্ঞতা - প্রবাসী পাঠক
পিডিএফ - অপ্রতীয়মান
__________________________
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯
৫০টি মন্তব্য ৫০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×