ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলার পাঁড় ভক্ত ছিলাম। সেই কোনমতে কথা বলার বয়স থেকে দেখা শুরু হয়েছে এশিয়া কাপ, ৯২ এর বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে সব বিশ্বকাপের হাতেগোণা কিছু খেলা বাদে দেখা হয়েছে সবই। ৯৬ সালে সার্ক ক্রিকেট দেখা দিয়ে স্টেডিয়ামে খেলা দেখা শুরু, বাংলাদেশে কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টই এরপর থেকে বাদ যায়নি। স্বপ্নটাও ছিল ক্রিকেটার হবার, দারুণ সব পুল-হুক-কাভার ড্রাইভ খেলবো লারা'র মত, সেন্ঞ্চুরি করে ব্যাট তুলে দর্শকদের অভিবাদন জানাবো, মাঝে মাঝেই সেই ছবি কল্পনা করে হাত তুলে ফেলতাম। ঘরের ভেতর একটা ব্যাট আর টেনিস বল নিয়ে দেয়ালে বল ছুঁড়ে ১০০ করে কত যে ব্যাট তুলেছি হিসাবও নেই। একটু বড় হয়েই অবশ্য বুঝে গেলাম, খেলোয়ার হবার শারীরিক সক্ষমতা বা প্রতিভা, কোনটাই নেই, পাড়ার মাঠেও সবচেয়ে বাজে খেলোয়ার হিসেবে নাম কিনে ফেললাম, এরপর স্কুল-কলেজের ক্লাসের টিমেও বড়জোর দর্শকসারি ছাড়া আর কোথাও জায়গা পাইনি।
ক্রিকেটার হবার সাধ যখন ঘুচেই গেল, অন্যদিকে মন দিলাম। পাড়ার কিন্ডারগার্টেনে মোটামুটি ভাল ফল করে গুডবয় হিসেবে একটা নামডাক হলো, তখন থেকেই শখ, ভাল ছাত্র হতে হবে। তৎকালীন সময়ে ভাল ছাত্র হবার একটা শর্ত ছিল, গণিতে ১০০ পেতে হবে, তবেই তাকে আইনস্টাইনের নাতি হিসেবে একটা স্বীকৃতি দেয়া যায়। একটা বড় স্কুলে এসেই বুঝে গেলাম, এতদিন ছিলাম বনগাঁয়ে শেয়াল রাজা, আমার চেয়ে অনেক বড় বড় কুতুবও এখানে কল্কে পায় না। গণিতে ১০০ পাওয়ার চেষ্টায় অবশ্য ক্ষান্ত দিলাম না, কিন্তু এবারেও আবিষ্কার করলাম, উপরওয়ালা আমাকে আর যাই দিন, গণিত বোঝার বুদ্ধিশুদ্ধি একেবারেই দেননি। নানা রকমের পুরস্কার ঘোষিত হলো, কিন্তু ১০০ দূরে থাক ৮০ তুলতেই জান বের হয়ে যায়। গণিতে আমার অবস্থা শেষমেশ এতই করুণ দাঁড়ালো যে ক্লাস নাইনের বার্ষিক পরীক্ষায় ৯০ পাওয়াতে খুশি হয়ে বাপ-মা অনেকদিনের দাবী একটা ক্রিকেট ব্যাট আর সত্যিকারের ক্রিকেট বল কিনে দিয়েছিলেন, সেটা দিয়ে বাসার কয়েকটা কাঁচ ভাঙবে জেনেও।
না, রূপকথার মত কোন কাহিনী ঘটেনি, জীবনটা রূপকথাও নয় যে এখানে সবকিছু বদলে যাবে। এখনো আমি ব্যাট ঠিকমত ধরতে জানি না, আর গণিতে দক্ষতা দূরে থাক, দিন দিন ভীতি বেড়েই গেছে, দেশব্যাপী গণিত অলিম্পিয়াডের ব্যাপক প্রচারনাও সেই ভীতি একবিন্দু কমাতে পারেনি। ভার্সিটিতে আসার পরে গণিতের কোর্সগুলোতে পুরো ব্যাচে সর্বনিম্ন গ্রেড আদায় করে "আর্টসের ছাত্র" হিসেবেও নাম করে ফেলেছি। আর সবকিছুর মতই আমার ১০০ করার বা ১০০ পাবার আশা পূরণ হয়নি। তাহলে আজকের এই লম্বা কাহিনী ফাঁদার অর্থ কি? ঘটনা হচ্ছে, আজকে একটা ১০০ করে ফেলেছি। ১টা ২টা করে দীর্ঘ ২ বছর ৭ মাসে সামহোয়্যারইন ব্লগে আমার ১০০ পোস্ট পূর্ণ হয়ে গেল এই পোস্টের মাধ্যমে, আর কেউ না হোক, নিজের কাছে এটা বেশ আনন্দের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে।
কেউ এসে বলতে পারে, এই নার্সিসিজমের অর্থ কি? তুমি ব্যাটা ১০০ পোস্ট দিয়ে কি দুনিয়া উদ্ধার করে ফেলেছ? বা এই ১০০ পোস্ট দিয়ে কারো কি বিন্দুমাত্র উপকার হয়েছে অথবা এই ১০০ টা লেখার মাঝে কি বিন্দুমাত্র কাজের কিছু আছে? সবক'টারই উত্তর হলো,"না"। তবে ব্যাপারটা কি, মানুষ তো, নিজের আনন্দ অন্যকে বিরক্ত করে হলেও মাঝে মাঝে জানাতে চায়। একটা মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপনের কথা মনে আছে? এক ছেলে কলেজের করিডোরে দাঁড়িয়ে পরীক্ষার ফলাফল দেখছে, সবাই একটানা ফেল, হঠাৎ দেখে, নিজের নামের পাশে লেখা--"পাসড"। আনন্দে কি করবে বুঝতে পারছে না, কখনো লাফ দিয়ে উঠতে চায়, কখনো চারপাশে তাকায়, স্ক্রিনে লেখা ওঠে, শেয়ার ইওর জয়, এসএমএস এভরিওয়ান অ্যাট ব্লা ব্লা ব্লা। নিজের জীবনেও এমন অভিজ্ঞতা আছে, এইচএসসি'র ফল দেখার দিন যখন টেনেটুনে পাশ করি কিনা (২ বছর টেবিল টেনিস খেলা আর ক্লাসে ঘুমানোর কুফল) দেখার জন্য অন্য বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে কলেজে গেছি, বেশ অপ্রত্যাশিত ফল দেখে চারপাশে তাকিয়ে দেখি, এই আনন্দ জানাবার কেউ নেই, যে ছেলেটা আছে পাশে, তার সাথে তেমন একটা খাতির কখনোই ছিল না। তো কি, তাকেই টেনে নিয়ে গিয়ে আইসক্রিম খাওয়ালাম রিকশাভাড়ার টাকা দিয়ে। খুবই অবাক হয়েছিল, এই ফলাফলে এত আনন্দের কি আছে? আজকে পরিস্থিতিটা ঠিক এমন না, তবে একটা ১০০ যে করেই ফেলেছি, সেটা সবাইকে হইহই করে জানাতে এসএমএস বা আইসক্রিম খাওয়ানোর পয়সাও লাগবে না, ব্লগে জ্বালাতে পয়সা লাগে না।
বকবকটা আরেকটু টেনে লম্বা করি। সমসাময়িক, এমনকি পরে আসা অনেক ব্লগারও যখন ৫০০ বা ১০০০ পোস্ট দিয়ে ফেলেছেন, সেখানে ১০০ পোস্টে খুশি হবার কি হলো? তাও যদি এমন হতো যে এই লেখার কোন গুরুত্ব আছে, বা এ থেকে জীবিকার কোন ব্যবস্থা হবে, বা এর কোন স্বীকৃতি আছে। কোনটাই না, স্রেফ মনের খুশিতে লিখে যাওয়া, অন্যের সাথে গলা ফাটানো, রাতের পর রাত প্রায় অর্থহীন সময় নষ্ট করা। এখানে, এই ব্লগারের ব্লগে কোন কাজের ডকুমেন্ট পাওয়া যাবে না, কোন গবেষণা কর্ম নেই একটা পোস্টেও, নেই এমনকি কোন সুচিন্তিত বুদ্ধিদীপ্ত মতামতও যে ভবিষ্যতে কেউ কখনো পড়বে। তারপরেও এত খুশির একটা কারণ, জীবনে সম্ভবত এত বেশি দিন কোন কিছু আমাকে আটকে রাখতে পারেনি। মানে কিনা, এই যে ২ বছর ৯ মাস কোন কিছুর সাথে লেগে থাকা, হোক অর্থহীন বা অর্থপূর্ণ কারণে, হয়নি। সবকিছুই খুব সহজে ছেড়ে দিয়েছি, খুব কাছে এসে শুধুমাত্র নিজের অবহেলার জন্য ফসকে গেছে অনেক সুযোগ। যতটা নিষ্ঠার সাথে ব্লগে লেগে ছিলাম, কাজের কাজ করলে সম্ভবত এতদিনে বেকার না থেকে কিছু একটা গতি হয়ে যেত, সবাই বলে। ব্লগেও যে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে লেগে ছিলাম তা-ও না, শুধু কেন যেন ছাড়তে পারিনি। হয়তো সাময়িক বিরতি পড়েছে, কিন্তু ফিরে আসতেই হয়েছে। প্রথম জেনারেশানের ব্লগারদের লেখা পড়ে শুরু, তাদের যখন শেষদিক, তখন সাহস করে টুকটাক লিখেছি, এলিটরা কেউ পড়েও দেখেননি, এখনো মাঝে মাঝে তুলনা করতে গিয়ে দেখি, তাদের ধারেকাছেও তো লিখতে পারলাম না কোনদিন, পড়বে কিভাবে? আস্তে আস্তে পরের জেনারেশান চলে এসেছে, তারাও অনেকে চলে গেছে, অনেকে অনিয়মিত হয়ে গেছে, তারও পরের জেনারেশান এসে গেছে, কিন্তু আমার মত আরো ২-৪ জন ঠিকই রয়ে গেছে, তেলাপোকার মত।
এভাবে লেগে থাকার আসলে মানে কি? উত্তরটা নিজের কাছে যা পেয়েছি, মায়া। ঠিক ব্লগের না, বা হতেও পারে, জড়বস্তু যেমন পুরনো চেয়ার-টেবিল-ঘড়ির দিকে মানুষের মায়া থাকতে পারে, ব্লগের মত একটা বিমূর্ত জিনিসের দিকেও মায়া থাকাটা বিচিত্র কিছু নয়। তবে ব্লগের চেয়েও ব্লগের মানুষগুলো অনেক বেশি জীবন্ত, অনেক বেশি বাঙ্ময়, ব্লগের মায়া যদিও বা ছাড়তে পারতাম, মানুষের মায়া উপেক্ষা করবার মত শক্ত চরিত্র এখনো গড়ে ওঠেনি। প্রথম যখন ব্লগ লেখা বা পড়া শুরু করি, চরিত্রগুলোকে দূরের মনে হতো, এমনকি শুধু যদি পড়া বা সত্যিকারের লেখকদের মত নিস্পৃহভাবে লেখা দিয়ে যেতে পারতাম সেক্ষেত্রে হয়তো দূরত্বটা রেখে যাওয়া সহজই হতো। কিন্তু সমস্যা হলো যে এই অধম লেখক নয়, ব্লগে লিখতেও আসিনি, নিজের ভাবনাচিন্তা ভাগ করে নেবার জন্যই এখানে আগমন। আর যখনই ভাগ করতে যাই, পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া শুরু হয়, তখনই এই মায়ার জালে জড়িয়ে যাওয়া শুরু। এই চরিত্রগুলোকে তখন আর কিছুতেই ভার্চুয়াল বা মনিটরের উল্টোদিকের কোন কৃত্রিম মানব ভেবে উড়িয়ে দিতে পারি না। চায়ের দোকানের বা পলাশীর মোড়ের সেই আড্ডার মতই, বা ক্যাফেটেরিয়ার একটা টেবিলের মত গ্রুপগুলো, একটা আড্ডাবাজ একদিন গরহাজির থাকলে সবার কেমন উসখুস শুরু হয়ে যায়, আড্ডার তাল-লয়টা কেটে যায়, খোঁজখবর নেয়ার জন্য ছোটাছুটি শুরু হয়। ক্যাফেটেরিয়া বা চায়ের আড্ডাখানার মতই এখানে ঝড় ওঠে, বন্ধুত্ব হয়, তর্ক হয়, টেবিল চাপড়ানোর কিছু না পেয়ে কীবোর্ডই চাপড়ানো হয়, কিন্তু সেই তর্কের কোন কুশীলব অনুপস্থিত থাকলে তার খোঁজও শুরু হয়ে যায় এমনকি শত্রুশিবির থেকেও, উপযুক্ত প্রতিপক্ষ
না পেলে তো টেবিল চাপড়েও আনন্দ নেই।
অন্য অনেক ব্লগারের মত ব্লগের বাইরে আড্ডা দেয়ার ব্যাপারে কখনোই খুব একটা উৎসাহী ছিলাম না, কারণ পরিচিত মহলের বাইরে বরাবরই একটু অস্বস্তি বোধ করি, ডিজুস ভাষায় যাকে বলে--"খ্যাত"। ব্লগারদের বড়সড় আড্ডায় যাওয়া হয়নি কখনো, সামনাসামনি দেখা হয়েছে মাত্র কয়েকজনের সাথে। দরকার দেখি না, কারণ দেখা না হলেও কারো সাথে দূরত্ব বোধ করি না কখনো, অনেক চেনা মানুষের চেয়েও এখানকার অনেকে আপন হয়ে গেছে। মানুষ মানে তো তার ভাবনার সমষ্টি, তার জন্যই সমাজ, সেই ভাবনাকে ভাগ করার জন্যই তার দলবদ্ধতা, ব্লগে সেই সুযোগ ভালমতই পাওয়া যায়। যখন কোন কিছু দেখে ভেতরটা জ্বলে ওঠে, বিক্ষুদ্ব হয়ে উঠি, ঝালটা ঝেড়ে দিই এখানে এসে। দেখে অবাক লাগে, আরো কতশত জন ঠিক আমার মতই ভাবছে। কখনো যখন একাকী গভীর হতাশায় ডুবে যেতে থাকি নিজের ব্যর্থতায়, ব্লগে প্রকাশিত সেই অর্থহীন হাবিজাবি পড়ে অনেক দূরের শত ব্লগার নিজের সহমর্মীতা জানিয়ে যান, মনে হয়, একা নয়, পাশে আছে
অনেকে। প্রশ্নটা হলো, লাভ কি হয় কোন? তাহলে আমিও পাল্টা প্রশ্ন করি, বাস্তবেও কি লাভ হয়? মানুষ তো আজন্ম একা, আসলে সবাইকেই নিজের রাস্তা নিজেই করে নিতে হয়, তারপরেও তো মানুষ সঙ্গী খোঁজে, সেটা বাস্তবের বদলে ভার্চুয়াল কমিউনিটি হলেই মন্দ কি? ব্লগের কালো কালো অক্ষরে ওপ্রান্তের মানুষটাকে চিনে নিতে কিন্তু খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না।
কথায় কথায় সম্ভবত এতক্ষণে অনেককেই বিরক্ত করে ফেলেছি, একান্তই ব্যক্তিগত প্যাচাল শুনতে কারো আগ্রহ থাকার কথা নয়। তারপরেও যদি কেউ কষ্ট করে এ পর্যন্ত এসেই পড়েন, তাদের কাছে আগাম কৃতজ্ঞতা জানাই। এবং তেলবাজি ভেবে বসতে পারেন কেউ কেউ এটা জেনেও বলে রাখি, ৩-৪টা ব্লগে ঘোরাঘুরি করেও ঠিক এখানেই ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকার কারণও কিন্তু এখানকার এইসব সহমর্মী ব্লগাররাই। এখানে সহানুভূতি আছে, ঝগড়া আছে, ফাউ প্যাচাল আছে, গুরুগম্ভীর আলাপ আছে, হইহল্লা আছে, শোক আছে। সাবাশ বলে যেমন হাততালি আছে, বেচাল করলে লাঠি হাতে তাড়া করবার লোকজনও আছে। কোন এলিট ব্লগের মত এখানে ড্রেসকোড রাইটিং কোড মেনে ঢুকতে হয় না, আবার সারাক্ষণ পিঠ চাপড়ানো পাবার সম্ভাবনাও নেই। সামহোয়্যারইন ব্লগকে অনেক সময়ই মনে হয়েছে বারোয়ারি সদর রাস্তার মত, চারপাশে তাকালেই এখানে আমজনতার দেখা পাওয়া যাবে, সেলিব্রিটির চেয়ে যেখানে পথচারীর কদর বেশি। বাজারী হইহল্লার জায়গা বলে অনেক সময়ই এলিটরা এখানে অস্বস্তি বোধ করেন, এ নিয়ে হালকা হাসাহাসিও দেখেছি কোথাও কোথাও, তবে কিনা, ড্রয়িংরুমে বসে পরিবর্তন বা মুক্তচিন্তার চর্চা হয়না, সেটার জন্য আমজনতার সামনে দাঁড়িয়ে মহল্লায় গলাবাজি করে তাদের প্রভাবিত করাটাই সম্ভবত সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। হয়তো স্বপ্নটা বাড়াবাড়িই হয়ে যায় এখন, কিন্তু পরিবর্তন যে বাস্তব দুনিয়া থেকেই শুরু করতে হবে, এমন দিব্যি কে দিয়েছে কবে? কে জানে, কোনদিন হয়তো এমন কোন মহল্লামার্কা ভার্চুয়াল দুনিয়া থেকেই দিনবদলের শুরু হবে, আমরা না পারি, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম হয়তো পারবে, আশা করতে দোষ কি?
উপসংহার করেই ফেলেছি, তবে নার্সিসিজম দিয়েই পরিশিষ্ট দিই। ১০০তম লেখাটা বেশ গুছিয়ে লিখতে হবে, এমন একটা পরিকল্পনা মাথায় ঢুকেছে ৮০ পার হবার পরই। কত কত ব্লগার এসে গেছে, সবার নামধাম দিয়ে লিখবো, এমন একটা ভাবনা আরকি। আসলে ব্যাপার হলো কি, জীবনের প্রথম সেন্ঞ্চুরি কিনা, আজীবন ডাক মারা ব্যাটসম্যান পয়লা শতক পেটানোর কাছে এলে তো বুকে
হাতুড়ির বাড়ি পড়বেই আর কিভাবে সেটা উদযাপন করা যায় সেটা ভেবে রাতের ঘুম নষ্ট হতেই পারে। আর নার্ভাস নাইনটিতে ঢুকেও বুক কাঁপে না, এমন বাপের ব্যাটা দুনিয়াতে কয়টা আছে? কিন্তু লিখতে গিয়ে যথারীতি এলোমেলো হয়ে গেল, আর ব্লগারদের নাম বলতে গিয়ে মনে হলো, কাকে রেখে কাকে বলবো? তারচেয়ে দরজা খোলা থাক, কষ্ট করে যাঁরা এসেছেন, আর যাঁরা আসবেন, নিশ্চিতভাবেই জানবেন, দরজা সবসময় খোলা, আর এই অধম সবসময়ই আপনাদের সহমর্মীতা কৃতজ্ঞতার সাথে মনে রাখবে। কারো নাম আলাদাভাবে বললাম না, এসে টোকা দিলেই পেয়ে যাবেন, আমি বাড়ি আছি, যতদিন সবাই মিলে থাকতে দেবেন, থাকবো। যাবো না কোথাও, যতদূর গেলে পলায়ন হয়, আসলে তো কেউই আর ততদূর যেতে পারে না, তাই না? ব্লগার, ডেভেলপার, এবং
অবশ্যই কমিউনিটি বাংলা ব্লগ দিয়ে নতুন এক ধারণার সূচনাকারী আরিলকে, কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা। ভাল থাকুন সবাই। সবাইকে কীবোর্ড উঁচু করে অভিবাদন।