বেসরকারি চাকরি মানেই যেন –নিশ্চয়তাহীন, কঠোর প্ররিশ্রম,অবমূল্যায়ন আর কষ্ট । আর একটু বয়স হলেই চাকরি শেষ । অবসর ভাতার প্রশ্নই আসে না। খাতা কলমে অবসর ভাতা বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা লেখা থাকলেও কর্মীর বয়স বাড়লে ও বেতন বাড়লেই তাকে ছাটাই করে দেওয়া হয়। কোন রকম একটা টোটো কম্পানির সার্কুলার হলেই হাজার হাজার বেকারদের ভীড় ।এই অবস্থার চেঞ্জ হবে কবে? বেসরকারি চাকরিজীবীদের অত্যন্ত কষ্ট ও টেনশন নিয়ে চাকরি করতে হয়। কারণ তার মত কর্মীর কম্পানির কাছে কোন মূল্য নেই। কম্পানি সার্কুলার দিলেই আবার ক্যান্ডিডেট পাবে।
খুব সস্তায় কম্পানিগুলো উচ্চশিক্ষিত বেকার হাতে পাচ্ছে। তারপর কয়দিন তাদের কাজে লাগিয়ে ফেলে দিচ্ছে। তারপর আবার নতুন কম বয়সী কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে।
শাফায়েত চাকরি করে একটি কম্পানিতে। সকাল ৮ থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত অফিস। রাতে ঘুমানোর জন্য বাড়ী আসতে সময় লাগে (জ্যাম মোকাবেলা) করে এক ঘন্টা। বুকে থাকে টানা শ্বাস।বেতন পান ত্রিশ হাজার টাকা। কিন্তু শান্তি নেই। একটু ছুটি নেই। চাকরির নিশ্চয়তা নেই।
এনজিওর চাকরি করেন মোফেদ। এক বছর মেয়াদি চুক্তি । চুক্তি শেষে আবার বেকার হবেন তিনি।এভাবেই তার চাকরি জীবন।দুই বছর চাকরি করে তিন মাস বেকার ।আবার আরেক প্রজেক্টে ঢকেন। তারপর মেয়াদ শেষ হলে আবার বেকার।এই ভাবে আর কতকাল?
বেসরকারি চাকরির কোন নীতি নেই। বেকারদের কর্মসংস্থানের কোন গাইডলাইন নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৫২