[পৃথিবীর জ্বর]
১) পৃথিবীর ভীষণ জ্বর, ক্ষয়ের বীজ বুনে গেছে বয়ঃসন্ধির শিক্ষিকারা। পুড়ে যাচ্ছে আস্থার হাত ধরে সাঁকো পেরোনোর স্মৃতি। প্রিয় গন্ধে লেগে গেছে বাণিজ্যের রঙ। একদিন পরিচিত ঘাসফুলের বুকে জমবে স্থানুর অবসাদ জেনেও খোলা রাখতে হয় দরজা, ঘর থেকে মুছে যাচ্ছে চোখ। ভাঙ্গা ঘড়ির কাঁটায় কাঁটায় ভবঘুরে হুইসেল। রোদউল্লাসে, স্নেহের গোপন টানেলে, বিভ্রান্তির নাইটিতে নকশা হয়ে ঝুলে আছে আগুনের আঙুল। তোমাদের আত্মা কাপছে। পালাও ফিঙে, আমিষের সম্ভাবনা নিয়ে মাছরাঙা। রক্তক্ষরিত বিমানের জানালা দিয়ে দেখে নাও - যারা আছে, সুখে নেই।
২)
[খুনস্তাত্ত্বিক]
কেউ একজন হামাগুড়ি দিতে এগিয়ে আসছে তোমাদের নরম - নরম সুখের শহরের দিকে, বুকে নিয়ে চোরাগুপ্তা ব্লেড।
সারমেয় জীবন ছিঁড়ে ঘোষণা করবে সময়শূণ্যতার। শহরের সবচেয়ে সুন্দর হাসির মুখে এঁকে দিবে জোকারফেস। সুন্দর চোখ আড়াল করে দিবে ধানেরশীষের ঘুম।
আশংকার ফেরি কড়া নাড়বে দরজায় দরজায়, অবসরে প্রিয়তমাকে চুমুর পরিবর্তে শহরের সবচেয়ে নিরীর প্রেমিকও করবে কবর চাষ।
স্বামীরা সঙ্গম ভুলে যাবে,স্ত্রী'দের আঁচলে বিদ্ধ হবে বিশ্বাসঘাতক হারপুণ। যুদ্ধশিশুর আর্তনাদে খসে পড়বে তোমাদের আদরের সন্তানদের খেলনা।
বাতাসে ভাসছে খুনস্তাত্ত্বিক চিৎকার। আজ শহরে অন্ধ হয়ে যাবে সকল রাধাচূড়া ফুল, বিবিধ মায়া।
-খুনস্তাত্তিক এসতেহারটির জন্ম প্রিয় গল্পকার হাসান মাহবুবের এই গল্প থেকে। সংগত কারণে পোস্টটি তাকেই উৎসর্গ করা হলো।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৫