মহা বিব্রত আমি যখন!
জেলা সদর হাসপাতালে একজন রুগী নিয়ে বেশ ক" রাত আমার থাকার সৌভাগ্য হয়েছিলো!
১ম দিন হতেঃ প্রচুরসংখ্যক রুগী,বেশির ভাগই নিন্ম আয়ের মানুষ, কনো খাঁলি বেড নেই,
পরদিন দেখি নিচে থাকা কয়েকজন রুগী বেড পেয়েছে,মনে হলো তাহলে আমরা পেলাম না কেনো! কৌতুহল বসতো বেড পাওয়া রুগীর সঙ্গীয় মানুষ কে জিজ্ঞেস করলাম, কেমন করে বেডে আসলেন? উত্তরে একজন মাঝবয়সী মহিলাকে দেখিয়ে বললেন,উনাকে ৪০ / ৫০ টাকা দিয়ে রাখেন,তিনি একজন আঁয়া !!
রাত তখন ২টা মতো হবে, দেখলাম সেই মধ্য বয়সী আয়া ওয়ার্ডের রুগীদের ইনজেকশন দিচ্ছেন ও ঔষধু খাওয়া বুুঝিয়ে দিচ্ছেন, আমি নার্স খুজতে গিয়ে, নার্সিং রুমের দরজা বন্ধ পেলাম,ধাক্কা দিয়েও দরজা খুললো না! জানালা দিয়ে দেখলাম ৫ জনের সবাই আরামের ঘুম!!! ইতিমধ্যে এক রুগীর অবস্থা খারাপ হলে, নার্সদের ডাকা হলো,তবে ১০ / ১৫ বারের কান্না জড়িত ডাক আর স'শব্দ দরজা ধাক্কার কারণে একজন বিরক্ত চোখ মুছতে মুছতে অবশেষ আসলো!! তারপর রুগীর সঙ্গীয় মানুষের সাথে যে কর্কশ ব্যবহার করলো! আমিতো " হা " হয়ে গেলাম।
পাশের বারান্দা হতে দূর্গন্ধ আসছে দরজা খুললেই! ৪৮ ঘন্টাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তরের দেখা পেলাম মাত্র একবার,তাও রুগীর কাছে সময় দিচ্ছেন মাত্র ৫ / ১০ সেকেন্ড!! ( আমার কাছে অবশ্য ২০ মিঃ)
খেয়াল করলাম নার্স সকল রুগী দেখে দেখে তাদের হাতে একটা টুকরো কাগজে ঔষুধের লিষ্ট দিয়ে বলছেন নিচে ( হাসপাতালের ভেতরে) ঔষুধ ঘর হতে নিয়ে আসুন, বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক লাগলো,
খোলা বাতাসের জন্য মধ্যরাতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছি,দেখি ঔষুধ ঘরে আমার ওয়ার্ডের দুজন নার্স গল্পে মগ্ন! কৌতুহল বসতো কান আঁড়ি পাতলাম -
যা শুনলামঃ দোকানদার বলছে - আরে শনেন, গায়ে বাছুড়ে মিল হলে সবি হয়!! আপনেরে টা তো দিচ্ছিই, তার পরও ঠিকমতো বেশি বেশি তালিকা পাচ্ছি না কেনো! আর এই এই ( নতুন কিছু ঔষুধ) নাম লিষ্ঠে যোগ দিবেন!!!!
আমি তো আকাশ হতে পড়লাম, হাই হাই করে কি এরা!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১০