'ধর্ম যার যার উৎসব সবার'' এই বাক্যটাতে আজকাল দেখছি অনেক মানুষের এলার্জি। আজ থেকে বিশ ত্রিশ বছর আগে ইন্টারনেট নামক কোন বস্তু ছিল না। হাজার হাজার মানূষের সাথে মতবিনিময় হবার কোন রাস্তা ছিল না। সীমিত গন্ডির মাঝে ছিল মানুষের পদচারনা।ইন্টারনেটের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভারী ভারী তত্ব বা ভাষ্যের সাথে ছিল না মানূষের পরিচয়।
শৈশবে হিন্দু প্রতিবেশীর পুজার নারু, লুচি, সব্জি বা ক্রীস্টান পরিবারের কিস্মাসের কেক খাবার সময় কোনদিন কেউ মনে করিয়ে দেয়নি যে এই খাবার খাওয়া যাবে না। তারাও আমাদের শবে বরাতের হালুয়া রুটী, রোজার ইফতার দারুন উপভোগ করত। পুজায় বন্ধুদের সাথে মন্ডপ পরিদর্শন করেছি, ক্রিসমাসে বন্ধুর বাসার ঝলমলে ক্রিস্মাস পার্টীতে গিয়েছি আবার তারাও আমাদের ঈদের দিনে নতুন জামা কাপড় পড়ে ঈদের আনন্দে সামিল হয়েছে। কোনদিন মনে হয়নি যে তাতে আমাদের জাত/ ধর্ম চলে যাচ্ছে।
এখন টেকনোলজি উন্নত হয়েছে। বেড়েছে চেনাজানার গন্ডী। কিন্ত মানুষে মানুষে বাড়ছে বিভেদ, অবিশ্বাস। হাজারো মানুষের সাথে মতবিমিময় মানুষকে উদার করার পরিবর্তে করে দিচ্ছে সংকীর্ন মনের অধিকারী। ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভেদের সীমারেখা হিসেবে যা কোনদিনই কাম্য নয়।একদল অতিমাত্রায় ধর্মকে উচ্চ মাত্রায় তুলতে চাচ্ছে তো আরেক দল তা টেনে নামাতে বদ্ধপরিকর। এই ধরনের হিংসাময় পরিবেশ নতুন প্রজন্মের বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার জন্য কোন অবস্থাতেই সুস্থ পরিবেশ নয়। তাই সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সকল ধর্মের সমন্বয়ে একটি সুস্থ সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করার দায় আপনার আমার সবার।
সামু ব্লগের ব্লগারদের শারদীয় শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৬