(আইজ ৩৩ এর ২!)
একবার সর্দারজী দরদী সিং এর ফলিটিক্স করার শখ চাপছে । তো সর্দারের পো যখন ফলিটিক্স এর কিছু জানে না, সে গেছে তার ল্যাঙ্গটিয়া ইয়ার, জ্ঞানী খৈল সিং এর কাছে ।
'আরে ইয়ার এই বয়সে ফলিটিক্সে ঢুইকো না । সুইসাইড করনে অনেক রাস্তা আছে, সেগুলি অনেক কম দিগদারির । টাইম নিয়া আইসো, আমি লেকচার দিমুনে । বুকাচুদারা ফলিটিক্সে জুইত পায় না । এইডা চালাকচুদাগো ফিল্ড ।'
'তুমি সুইসাইড করছো?'
'করি নাই যে দেখতেই পাইতেছো ।'
'তাইলে ফাউল প্যাঁচাল বন করো । ফলিটিক্স সম্বন্ধে কও ।'
'ফলিটিক্স শিখতে হইলে তৃণমুল পর্যায়, মাঠকর্মী হিসাবে শুরু করো ।'
'হ! ক্যামনে? তৃণমুল পর্যায়টা কী ?'
'এইডা মাঠে গিয়া ঘাস খাওনের মতন । যেইখানে মিছিল-মিটিং হয় সেইখানে গিয়া ফুট-ফরমাইশ খাটবা আর কী । তয় যাওনের আগে বৌ-বাচ্চারে বীমা কইরা যাইও ।'
__
তার কয়দিন পরে দুপুরবেলায় জ্ঞানী খৈল সিং রাস্তায় গিয়া দাঁত মাজতেছে, দেখে তার ল্যাঙ্গোটিয়া ইয়ার সর্দারজী দরদী সিং উর্ধ্বশ্বাসে ছুইটা আসতেছে । ব্রাশটা নামায় খৈল কয়, 'কী হইছে? কী লৌড়ায় তোমার পিছে? পাগলা কুত্তা?'
'ফলিটিক্স! তৃণমুল পর্যায়ের ফলিটিক্স!'
'ও মামারা দাবড়ানি দিছে না? তা এই বয়সে ভালই লৌড়াইতে পারো তো তুমি!'
'দাদারা দিছে!'
'ক্যামনে ?'
'তুমি ঠিক কইছো । ফলিটিক্স বুকাচুদার কারবার না ।
'আরে হইছেটা কী ইয়ার?
'জমায়েত হইছে । শুরুতে দাদারা কইছে তারা মতামত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী । সমস্ত কমরেড য্যান তাগো বিবেকের কথা শোনে । এবং সেইমত কথা বলে । আমি বুকাচুদা বিশ্বাস করছি তাগোর কথা!'
'হ!'
'তারপরে স্লোগান পাড়ছে 'দুনিয়ার সর্দারজী!'
আমি পিছ থিকা কইলাম 'ঠিক হও!'
কয়েক ক্যাডার পিছন ফিরা আমারে দেখছে, কিন্তু কিছু কয় নাই । তারপরে স্লোগান উঠল
'লড়াই লড়াই লড়াই চাই!'
আমি কইলাম
'লড়াই হইলে আমি লৌড়াই!'
'তারপর?'
'তারপর থিকাই লৌড়ের উপর আছি!'
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫৫