অপহরণ
রোমানিয়ানদের রীতি অনুসারে কোন পুরুষ যদি কোন নারীকে অপহরণ করে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ দিন আটকে রাখতে পারে তাহলেই তাকে নারীটির স্বামী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে। তখন কি ভেবে এই রীতি চালু হয়েছিল সেটা নিয়ে অনেক কথা-বার্তা থাকলেও অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে এখনো অব্দি এই রীতিকে মেনে নিয়ে সুন্দরী কোন এক নারীকে অপহরণ করে ফেলে তার স্বামী হয়ে যান অনেক পুরুষই!
পশুর সাথে বিয়ে
ভারতের কিছু স্থানের এক অদ্ভুত বিয়ের রীতি রয়েছে। আর সেটি হল কোন মেয়ের যদি দাঁত মাড়ির ওপরের দিকে ওঠে তাহলে বুঝতে হবে যে সে খুব দ্রুতই মারা যাবে। কারণ ভূতেরা তাকে পছন্দ করেনা। আর তাই ভূতেদের কবল থেকে রক্ষা পেতেই তখন কুকুরকে বিয়ে করতে হয় তাদের। তবে সেটা খুব অল্প সময়ের জন্যেই। মূলত, নিজের ভাগ্যকে পরিবর্তন করতেই এমনটা করা হয়। পরে সব ঠিকঠাক হয়ে গেলে আবার একজন পুরুষকেই বিয়ে করে নারীটি।
ময়লা ফেলা
স্কটিশ পুরুষেরা বিয়ের আগে এই রীতি অনুসরণ করে যত ধরনের ময়লা পাওয়া যায়, যেমন- কয়লা, কেরোসিন, আলকাতরা, পচা দুধ সবকিছু নিয়ে ফেলতে শুরু করে হবু বউ এর মাথায়। পুরোপুরি যদি ডাস্টবিন বানিয়ে দেয় তাকে। এবং সে যদি কিছুই না বলে। তাহলে মনে করা হয় এতে করে হবু বউ এর মেজাজ সম্পর্কে একটা আন্দাজ পাওয়া যায়।
মোটা হওয়া
আফ্রিকার মৌরিতানিয়ায় মেয়েদেরকে ফ্যাট ফার্ম বা মোটা হওয়ার খামারে পাঠানোর রীতি ছিল। যাতে করে মেয়েরা দ্রুত বেড়ে ওঠে, মোটা হয় এবং বিয়ে করতে পারে। পরবর্তীতে অবশ্য সামরিক শাসন শুরু হলে ব্যাপারটি বন্ধ হয়ে যায়। সত্যিই তো! যেকোন পরিস্থিতিতে দৌড়ে পালানোটা মোটা মানুষদের পক্ষে অনেক বেশি কষ্টকর
বাথরুম না
মালয়েশিয়ায় একসময় প্রচলিত এই রীতি অনুসারে বিয়ের দিনটিকে সবচাইতে বাজে দিন করে তোলা হতো বর-কনের সাথে। কম পানি আর কম খাবার খেয়ে মোট ৭২ ঘন্টা থাকতে হত তাদেরকে একটা বদ্ধ ঘরে। তার কোন রকম বাথরুম না করে! না ছোট, না বড়- কোন রকমের নিঃষ্কাশন যাতে না করতে পারে বর-কনের সেদিকে কড়া নজর রাখতো পরিবারের লোকেরা। বিশ্বাস করা হত, তিনদিন এভাবে কাটাতে পারলেই বাকী জীবন একসাথে কাটাতে পারবে নববিবাহিতরা!
এই সব আজব নিয়মনীতি এখনো কিছু কিছু রয়েছে। যা দেখলে অনেক সময় আমরা হা হয়ে যাই আবার মজাও পাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৭