somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বায়া উপজাতিদের উদ্ভট রীতি

২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের বিশ্বে অনেক রকম জাতি ও উপজাতি বসবাস করে। সবাই ভিন্ন ভিন্ন রীতিনীতি মেনে চলে এবং তাদের সমগোত্রীয় হতে হলে তাকে তাদের মতোই হতে হবে।

নর্থ-আফ্রিকার ক্যামেরুন থেকেও ৩৫০ কি.মি এর বেশি দূরে রয়েছে বায়া নামক এক উপজাতি। বায়াদের গ্রামটি খুবই ছোট। এতটাই ছোট যে, সেখানে মাত্র ২৬ জন বসবাস করে। নেই কোন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, নেই কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা। কোন প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সেখানে নেই। সবচেয়ে কাছের শহরটা গ্রাম থেকে ২০০ কি.মি দূরে। আফ্রিকা বলতে আমরা যা ধারনা করে থাকি তার সবটাই সেখানে আছে। যেমন কাল বর্ণের মানুষ, প্রচণ্ড গরম, খাবার পানির সঙ্কট, পোশাকে ভিন্নতা, আর খাওয়া দাওয়া। বায়া উপজাতির নারীরা ঘর আর বাচ্চা সামলায় আর পুরুষেরা বাইরে।

বায়াদের প্রধান খাদ্য রক পাইথন। যাকে বিশ্বের ভয়াবহ সাপেদের মধ্যে একটি বলে গণনা করা হয়। নাবালক পুরুষেরা সাবালক হবার পরিচয় দেয় রক পাইথনের গর্তে নিজের মাথা ঢুকিয়ে তাকে বাইরে বের করে নিয়ে এসে। কি অদ্ভুত রীতি তাই না? কিন্তু তাকে এই কাজ করতেই হবে। নইলে পুরো গ্রামটাই অনাহারে থাকবে। অর্থাৎ পুরুষেরা শিকার করে নিয়ে আসবে এবং গ্রামের সবাই সেটা খেয়েই জীবন ধারন করবে। আসলে বেঁচে থাকতে হলে সামনে যা আসে তাই খেয়েই টিকে থাকার এই লড়াই চালিয়ে যেতে হয়।

শুধু তাই নয়...

মৌমাছির বাসার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে মধু নিয়ে আসতে হবে একজন নাবালককে। তাও আবার একদমই খালি হাতে।

রাগী মৌমাছির দল কি ওকে ছেড়ে দেবে বলে আপনার মনে হয়?

শত শত হূল ঢুকিয়ে দেওয়া শর্তেও ওকে সেই ভয়ানক কাজটিই করতে হবে। ওর বিচক্ষণতা প্রমাণ করতে না পারলে সমাজে ওকে কেউই মূল্যায়ন করবে না। মেয়েরা ওকে হাসির পাত্র বানাবে। আর ওকে নিয়ে মজা করবে। তাছাড়া ওকে কেউই বিয়ে করতে চাইবে না। কারন সে সাবালকের প্রমাণ দিতে অক্ষম।

আর রাতের মজা উঁই পোকাদের সাথে। ঝাকে ঝাকে উঁই পোকারা আগুনের আলোতে এসে খেলা করে আর বায়ারা সেগুলো ধরেই মুখে ঢুকিয়ে নেয়। তাছাড়া নাচ-গান তো আছেই। পাতা আর বাকলের তৈরি অর্ধনগ্ন পোষাক পরে নিজস্ব রচিত গান ও নিজস্ব বাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে নিজস্ব নানান ভঙ্গিমায় নাচ করে তারা। সবাই সেটা বেশ উপভোগ করে। তখন তাদের দেখলে মনে হয় তারা তাদের জীবন নিয়ে সত্যিই অনেক খুশি। পৃথিবীর বুকে টিকে থাকার লড়াই কতটা কঠিন ও ভয়াবহ তা বায়া উপজাতিকে দেখলে বোঝা যায়।
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×