somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্যক্তির নিরাপত্তা কতটুকু এখানে

০৫ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যতদুর মনে পড়ে সামহোয়ারের প্রথম খবরটা পাই কোন পত্রিকায় । সাথে সাথে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলি । অন্যসবজায়গার মতো আমি এখানে নিজের নাম নিয়েই একটা ব্লগ খুলি । একসময় বাংলা একটা ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত ছিলাম । সেকারনেই এখানে ঢুকতাম দেখি-এরা-কি-করছে মনমানসিকতা নিয়ে । পরে পরে একটার পর একটা ভালো ভালো নতুন ফিচার যোগ হতে দেখে আঠার মতো লেগে থাকলাম । নিজেরা যেটা করতে পারিনাই সেটা কেউ করতে পারছে দেখে ভালো লাগতো । ভালো ভালো চিন্তাশীল লেখার সাথে সাথে ঢাকায় নিজের সার্কেলের কিছু পরিচিত মুখও দেখতে পেতাম । জানতে পারতাম তাদের এখনকার চিনত্দাভাবনা ।
এসবের মধ্যেই মাঝে মাঝে দেখতাম কিছু নেটদস্ু্য এসে ফ্রন্ট পেইজে নোংরা পোস্ট দিতে । সাইটের ভালো চায় এরকম কিছু ব্লগাার দেখেছি আর কিছু না পেরে ফ্লাডিং করে করে প্রথম পাতা থেকে পোস্টগুলো সরাতে । আমি নিজেও একদিন সারারাত জেগে বসে থেকে একাজ করেছি । নিজেকে প্রবোধ দিয়েছি এ বলে যে ঢাকায় ওরা এখন ঘুমোচ্ছে । সকালে অফিসে গিয়ে ঠিক করে ফেলবে । তারা সকালের দিকে সাইটের ওসব পোস্ট মুছেও দিতো । তো এরকম টম এ্যান্ড জেরী খেলা ভালোই চলছিলো । নেটদস্যুরা নতুন নতুন নিক রেজিস্ট্রেশন করে নতুন নতুন পোস্ট ছাড়তো । বস্নগাররাও ফ্লাডিং করে সেগুলো সরাতো ।
সমস্যা দেখা দিলো তখনোই যখন দস্যুরা সাইটের লুপহোলগুলো খুজতে খুজতে একেবারে সাইটের এ্যাডমিন সেজে বসলো । রাতারাতি কিছু ব্লগারের পোস্ট হাওয়া হলো । চোর নামের এক বস্নগারের পোস্ট ডিলিট হলো । তার মধ্যে একটা ব্যাকআপসহ ! অপরিসীম ধৈর্যের অধিকারী অনেক ব্লগার নানা উপদেশ আবেদন অভিযোগ নিয়ে পোস্ট মন্তব্য করে গেলো । ওগুলোতে কান না দিয়ে বাংলাদেশের টিপিকাল কতর্ৃপক্ষ শ্রেনীর মতো সাইটের ডেভলপাররাও উটপাখি নীতি মেনে চলতে থাকলো । বিএনপি সরকার যেমন সন্ত্রাসবাদ নেই নেই বলতে বলতে একদিন 64 জেলায় একসাথে একটা বড়ধরনের *ো*ামারা খেলো, এদেরকেও আজ এরকম একটা খেতে দেখলাম । নোটিশবোর্ড আইডি হাইজ্যাক করে এক বিশিষ্ট দস্্যু আমার এই পোস্ট লিখতে লিখতে প্রায় 2000 মনত্দব্য করে ফেলেছে ।
মডারেটর/এ্যাডমিন প্রজাতীর সাথে কোনকালেই আমার তেমন ভাবভালোবাসা হয়নি । অল্প বয়স হলে এদের এই দুর্গতি দেখে হয়তো হেসে গড়াগড়ি খেতাম । কিন্তু আমি এখন কেন যেন সেরকম কোন অনুভুতি নিজের মধ্যে দেখছি না । আমি দু:খিত হচ্ছি । আমি শংকিত হচ্ছি । দু:খিত হচ্ছি বাংলা ব্লগিংকে যারা মাস লেভেলে নিয়ে আনলো তাদের দুর্গতি দেখে । তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা মাটিতে গড়াতে দেখে । শংকিত হচ্ছি নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে । আজকের নোটিশবোর্ড আইডি যেখানে হ্যাক হতে পারে সেখানে আমার আইডিও যেকোন সময় হ্যাক হতে পারে । নিরাপত্তার এই লুপহোপ ধরে কোন দসু্য বস্নগারদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ করতে পারে । আমার নাম নিয়ে হয়তো কোন পরিচিত বস্নগারের বস্নগে গিয়ে মনত্দব্য করে আসবে যেটা আমার সাথে তার সম্পর্ক খারাপ করবে । হয়তো দেখা যাবে সেই হ্যাকড মন্তব্য আবার বই আকারে বইমেলায় বেরিয়ে যাবে ! মাঝখানদিয়ে আমি ধরা ।
পরীক্ষা মাথায় নিয়ে এইসব প্যাচাল পাড়ার কোন ইচ্ছাই ছিলো না । উটপাখি নীতিমালায় বিশ্বাসী নোটিশবোর্ড এটা খুলে দেখবে না বলাই বাহুল্য । ওরা এমনকি আমার কোন মনত্দব্যেরও কোন জবাব দেয় নাই কখনো । ওরা হয় নিজেদের ঠু স্মার্ট ভাবে । সমস্ত সমস্যা নিজেরাই জানে এরকমটা মনে করে । আর কারো কথা শোনার দরকার নাই । অথবা ওরা হয়তো ভাবে এসব আবালের (রাগইমনের উপাধি ব্যবহার করলাম) কথা শুনে শুধু শুধু সময় নষ্ট । আমি শেষেরটাই ধরে নিলাম ।

আমি রাতে ব্লগে কিভাবে একটা পোস্টে এতগুলো মন্তব্য হলো সেটার একটা ধারনা দেবার জন্য একটা স্ক্রিন ক্যাপচার করেছি । 2 মিনিট লম্বা । 20 মেগা সাইজ । ডাউনলোড করে দেখতে পারেন ।
[link|http://www.esnips.com/web/Whatreallyhappened/| Bwm
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
৪০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×