somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

By Default দুই নম্বরী কয়েকটা ব্যবসা

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১। পুরানো পত্রিকার হকার: এরা বাসা বাড়ি ঘুরে ঘুরে পুরোনো পত্রিকা কিনে। একটা দাড়িপাল্লা এবং ৫০০ গ্রামের একটা বাটখারা নিয়ে। ৫০০ গ্রাম দিয়ে একবার ওজন করবে, পরে সেই পত্রিকা অন্যদিকে দিয়ে ১ কেজি করবে বাটখারা সহ। তারপর ওজন করবে। এই হকারদের আপনার কাছ থেকে হয়ত ৫ কেজি কিনে নিলো, কিন্তু আপনি সেই পত্রিকাই বাইরে কোথাও ওজন করলে সেটা ওজন হবে কমপক্ষে ১০ কেজি। এরা যে দাড়িপাল্লা ব্যবহার করে, সেটাতে ঘাপলা থাকে।


২। গুড়ামশলার দোকানী: এখন এই দোকানীদের উপদ্রব কমে এসেছে, কারণ এখন সবকিছু প্যাকেটে পাওয়া যায়। তারপরও এদের কাছে অনেকেই যায়। চাল, মশলা, মরিচ, হলুদ গুড়া করার জন্য। চালে কোনো ভেজাল করে না এরা। কিন্তু হলুদ কিংবা ধনিয়াও সস্তা, এখানে ভেজাল করে কম। জিরাতে ভেজাল করে বেশি। মরিচের গুড়াতেও। এইসব মিলিং এর দোকানে দেখবেন, বাইরে কিছু টিনের বক্সে গুড়া হলুদ, মরিচ বিক্রি করছে, এইসবই চুরির জিনিস। ঢাকায় একটা দোকান দেখলাম, তারা বলছে, ১কেজি জিরা মিলিং করতে দিলে তারা ওজন করে ফেরত দিবে ৯০০ গ্রাম, বাকীটা সিস্টেম লস হিসাবে দিতে হবে। এরা হলুদ, মরিচ , জিরার সাথে চালুর গুড়া মিশিয়ে দেয়।


৩।গরুর কসাই: বাজারে যারা নিয়মিত ক্রেতা, তাদের সমস্যা হয় না। কিন্তু আপনি যদি হঠাৎ করে গরুর মাংস কিনতে যান, তবে কপালে খারাপী আছে। আপনাকে দেখিয়ে ওজন করে দিবে ঠিকই ১ কেজী (যদিও তখন পরিমাণে কম থাকে)। এরপর বলবে, এই চর্বিটুকু ফ্রী দিলাম, সাথে ২টা নরম হাড্ডি। (আসলে এইসব দিয়ে ওজন মিলায়, আপনি পরে ওজন করে দেখবেন ঐ ১ কেজিই, কোনো এক্সট্রা পাবেন না)
এরা গরুর কলিজা বিক্রি করে পানিতে ভিজিয়ে, যাতে ওজনের সাথে অনেক পানি যায়। গরুর মাংশ ওজন করে একদিকে ছুড়ে মারে কেটে দেওয়ার জন্য, এই ফাঁকে আরো হাড় মিশিয়ে দেয় তারা।

৪। ফল বিক্রেতা: ফলমূলের ব্যবসা করতে গেলে পঁচা ফল হাতে আসবেই। তাই দোকানীদের টার্গেট থাকে এই নষ্টফল যে কোনো ভাবে ক্রেতাকে গছিয়ে দেওয়া। যেমন আপনি কমলা/আম কিনবেন। আপনি যদি নিয়ে হাত দিয়ে না নেন, তবে ২-১টা নষ্ট ফল আপনার পড়বেই। আমি এমনও দেখেছি, আমি নিজের হাতে দিচ্ছি, আর বিক্রেতা যে ঠোঙাতে নিচ্ছে, সেখানে আগে থেকেই নষ্ট আপেল দিয়ে রেখেছিলো।

৫। দুধওয়ালা এরা যে পানি মিশায়, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

৬।স্বর্ণকার: সবাই না, কেউ কেউ। তাদের থেকে কিনার সময় আপনাকে খাদ, পাথর সবকিছুই স্বর্নের দামে কিনতে হবে। মানে ১৬ আনাতে ভরি, এতে হয়ত ২ আনা খাদ মিশানো থাকে। আপনি কিনার সময় আপনাকে ১৬ আনা স্বর্ণের দামই দিতে হবে। কিন্তু যখন আপনি বিক্রি করতে যাবেন এই স্বর্ণ একই দোকানীর কাছে, তখন সে আপনাকে ১৪ আনার দাম দিবে। কোনো স্বর্ণ গলিয়ে যদি নতুন করে গড়ে দিতে বলেন, তবে তো তাদের পোয়াবারো। ইচ্ছেমতো খাদ মিশিয়ে স্বর্ণ সরাবে।

একবার আমার মায়ের একটা চেইন শুধু ছিড়ে গিয়েছিলো, সেটা জোড়া লাগাতে দিয়েছিলাম। বাসায় নিয়ে আসার পর দেখি, চেইনটা ছোট হয়ে গেছে, মেরামত করতে গিয়ে সে আরো কয়েক টুকরো কেটে নিয়েছে।

পরে দোকানে গেলাম, সে অস্বীকার করলো। আমার আর কিছুই করার ছিলো না।


আর মনে আসছে না, মনে পড়লে যোগ করে দিবো। আপনারাও জানাতে পারেন।

সব ব্যবসায়ীই খারাপ না, ভালো খারাপ সবপেশাতেই আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১৯
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×