বেশ কয়েকদিন আগের কথা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুভির লিষ্টে দেখলাম ৩৫০ নং। ভাব্লাম সেইরকমের হবে বোধও ডাউনলোড করলাম। আইএমডিতে খোজ নিয়ে জানতে পারলাম ড্রামা,থ্রিলার,ওয়ার জ়েনারের মুভি এটি। তাইলেতো কথাই নাই।
নেদার ল্যন্ড কিংবা হলান্ডের মুভি। বেশ কয়েকটা ভাষায় ডাবিং হয়েছে। মুভিটার পুরস্কারের কথা যদি বলতে হয় তাহলে উল্লেখ করার মত কিছুই নেই BAFTA Film Award নোমিনি পেলেও জিতেনি। অন্যান্য ১৫ জিতেছে ১৩ টা নোমিনি।
মুভিটা আমার কাছে অসাধারন লেগেছে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের মুভিগুলো সাধারনত ২ টা ভিউ থেকে হয়। আমেরিকান ভিউ থেকে মুভিগুলো দেখতে দেখতে অনেকেই হয়তো আমার মত বোরিং হয়েছে পরেছেন। এটা কিন্তু আমেরিকান ভিউ না আবার জার্মান ভিউ না। Hail Hitlar . নেগেটিভ ভিউ। এবং নেদারল্যান্ড পাশাপাশি ৩য় পক্ষের দৃষ্টি কোন।
গল্পটা একটু শুনি।
এক ইহুদি মেয়ে। যুবতী। সু-সলিলা। Rachel Stein । তিনি বার্লিনে থাকতেন যুদ্ধের আগে। ১৯৪৪ । যুদ্ধ ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করেছেন। লাগালাগি আর হানাহানি শুরু হয়েছে। নেদারল্যন্ডের শাসন থেকে মুক্রি আশায় Rachel Stein পালিয়ে যাবে ভাবল। সুনিপন একটা গল্পে পরিচালক সেটা দেখালেন। কিন্তু আর হলো না পালানো, নিজের সামনে বিজের পরিবার কে মরে যেতে দেখতেন। এবং ঐই লঞ্চের সবাইকে। দৈব্যক্রমে বেচে থাকলেন তিনি। যেহেতু তিনি বেচেছেন, গল্প তাকে নিয়েই।
বেচে গেলেও তিনি পালতে পারলেন না। থেকে গেলাই এখানেই। ফিরে আসলেন শহরে এসে ইহুদিদের একটা প্রতিরোধ সংস্থার সাথে যোগ দিলেন। চুল সোনালি করলেন, শরীরে যতস্থানে কাল চিন্ত ছিল সব সোনালি করলেন। শুরু হলো ফাকিবাজি। লান্ডিস সেজেই থেকে গেলেন তিনি। নাম হলো Ellis de Vries । আর ভিতরে ভিতরে চলছে প্লান।
ট্রেনে টিকেট ফাকি দিতে গিয়ে Ellis পালাল সে ডি কমান্ডার Müntze । মেয়েদের সেই চেনা শক্তি। পটিয়ে ফেললো মিনিটের মাথায়। পার্টিতে আসার প্রতিশ্রুতিতে বিদায়।
যা হোক পরিকল্পনা এক পর্যায়ে গড়ায় যে Müntze সাথে গিয়ে থাকা শুরু করে Ellis । সেখানে থাকতে শুরু। সবাইকে এইজন লান্ডিস হিসেবেই বেশ মাতোয়ারা করে ফেলে। প্রতিরোধ টিমের কয়েকজন কয়েদ বন্দি হয়। Ellis এর উপর দ্বায়িত্ত পরে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা।
আর এভাবে ড্রামা আগায়। এই পর্যন্ত থাক এর পরে আরো যদি বলি তাহলে স্পয়লার হয়ে যাবে।
Carice van Houten মুভির নায়িকা। নায়িকার কথা আর না বললেই না। সেইরকমের লেগেছে। টম ক্রজের ভাল্কিরি মুভিতে আছে। ওটাও দেখবো। আর তার অভিনয়ের জুড়ি ফিল্ম। পুড়া ফিল্মে খুব কম সময়ে সে ক্রিনে অনুপুস্থিত ছিল। মোটকথা গল্পটা তার। সে ছাড়া আর কারো কিছু দেখানো হয় নাই।
Paul Verhoeven নামের এই মুভি পরিচালকের এই কাজ কেউ বিশ্বাস করবেনা। কারন তার পুর্ব লিষ্টে সেরা ফিল্মগুলো হলো Basic Instinct (1992),Total Recall (1990),Starship Troopers (1997),RoboCop (1987) । বোঝাই যাচ্ছে উনি সাধারনত একশন ফিল্ম করেন। কিন্তু এটা একেবারেই আলাদা।
ফিল্মের সেট, ব্যাক গড়াউন্ড মিউজিক, লাইটিং আর সংলাপ যে কেউ প্রশংসা করবে। ভাষা যদিও একটু সমস্যা করবে। একটু হাতাহাতি করে ইংলিশ ডাব নামিয়ে দেখতে পারেন।
ফিল্মের শেষে একটা টুইষ্ট আছে। মানে সেইরকমের টুইষ্ট না। হালকার উপর ঝাপসা। কিন্তু ব্যাপারটা আমার কছে ধোয়াটে।
বিঃদ্রঃ মুভিতে বেশ কিছু ভায়োলেন্স সিন আছে। তাছাড়া বেশ কয়েকটা আডাল্ট সিনও রয়েছে। সেক্ষেত্রে যেটা প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করুন
মুভি বিষয়ভিত্তিক পোষ্ট সংকলন
http://cineghor.blogspot.com/
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৯